নিরাপত্তা বাহিনীর ক্যাম্পের জায়গা দখল করে ধর্মের নামে চলছে সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম।

0

রাঙ্গামাটি জেলার লংগদু উপজেলার বগাচতর ইউনিয়নের শিবারআগা এলাকায় পার্বত্য চুক্তির পূর্বে ছিলো একটি সেনা ক্যাম্প। যা চুক্তির পর তুলে নিয়ে উক্ত জায়গাতে পুলিশ ক্যাম্প স্থাপন করে সরকার। পরবর্তীতে সেটাও তুলে নেওয়া হয়। তুলে নেওয়ার কয়েকদিন পরেই উপজাতি সন্ত্রাসীরা এসে ক্যাম্পের জায়গা দখল করে নেয় এবং পরবর্তীতে কৌশলে সেখানে তাদের ধর্ম ঘর তৈরী করে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে। এনিয়ে বাঙ্গালীরা অনেক দৌড় যাপ করেও কোন প্রতিকার পায়নি। পরে রাজনগর বিজিবি জোন থেকে ক্যাম্পের জায়গার মধ্যে সাইনবোর্ড লাগিয়ে দেয়, তারপরেও তারা তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যায়। গতকাল ১০ সেপ্টেম্বর এপিবিএন ব্যাটালিয়ন ক্যাম্পের জন্য উপজাতিদের ধর্ম ঘরের (পূর্বের ক্যাম্পের জায়গা) দু একর ৩৫ শতাংশ জায়গা বাদ দিয়ে, ক্যাম্পের নির্ধারণিত পূর্বের ৫ একর জায়গা থেকে ২একর ৯৫শতাংশ জায়গা ক্যাম্পের জন্য নির্ধারণ করে আর্মড পুলিশ এক ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি একে এম মোশাররফ হোসেন মিয়াজি, আর্মড পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মফিজুর রহমান ও সিনিয়র এ এসপি মাজহারুল হক।
এর পর থেকে স্থানীয় জেএসএস সভাপতি তপন চাকমা, মহিলা কালেক্টর নতুনা চাকমাসহ অনেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিথ্যাচার করে যাচ্ছে যে তাদের ধর্মীয় উপসাালয়ল দখল করে ক্যাম্প করা হচ্ছে, যা সম্পূর্ন মিথ্যা ও বানোয়াট। যেখানে তারা ক্যাম্পের জায়গা দখল করে সেখানে ধর্মের নামে সন্ত্রাসীদের অবয় স্থল নির্মাণ করেছে। সেখান থেকে প্রতিনিয়ত সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচারনা করে থাকে জেএসএস। ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের নামে সন্ত্রাসীদের উত্থান ঘটাচ্ছে তারা। এর পূর্বেও এই ধর্মীয় উপসনালয়ের বিরুদ্ধে অনেক অপকর্ম ও সরকারি জায়গা দখলের অভিযোগ রয়েছে। চুক্তির পর যে সকল জায়গার ক্যাম্প তুলে নেয়া হয়েছে সেগুলোতে বিভিন্নভাবে উপজাতি সন্ত্রাসীরা দখল করে ধর্মীয় উপাসনালয় নির্মাণ করে কৌশলে সব দখল করে নেয়। এটিও তার একটি অংশ। এটি সরকারের ব্যর্থতা ছাড়া কিছু না। যেখানে নিরাপত্তা বাহিনীর বলয় স্থান ছিল সেটি কিভাবে একটি সন্ত্রাসী গুষ্টি দখল করে নেয়! এ কি তাহলে জনগণের নিরাপত্তাহীনতার অসহনীয় সংকেত?

বিঃদ্রঃ
সন্ত্রাসীদের সুবিধা অনুযায়ী ভিতরের একটি মাঠে তারা ক্যাম্প করার জন্য জোর করছে। যা করলে সন্ত্রাসীরা নিরবে আসা যাওয়া করতে পারবে। গত দুদিন আগেও স্থানীয় সুফিয়ান নামক এক কৃষকের মাথায় অস্ত্র ও গলায় চুরি ধরে টাকা দাবী করে মারধর করেছে অভিযোগ রয়েছে। কোন কারণে যদি ক্যাম্প না হয় তাহলে এলাকায় সামপ্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টি হবে নিশ্চিত। কারণ এলাকায় তারা সর্বদা অস্ত্রের রাজত্ব করে যাচ্ছে। তাই প্রশাসনের
দৃষ্টি আকর্ষণ করছি দ্রুততম সময়ে এর ব্যবস্থা নিয়ে সাধারণ জনগনকে নিরাপদ রাখতে সহায়তা করুন।

আগের পোস্টপাহাড়ে ইসলামীকরণ চলছে নাকি ব্যাপকহারে খ্রিস্টধর্মে ধর্মান্তরের ঘটনা ঘটেছে-পরিসংখ্যান কী বলে?
পরের পোস্টপাহাড়ের ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসী বাবলু চাকমা!

রিপ্লাই দিন

আপনার কমেন্ট লিখুন
আপনার নাম লিখুন