দুইটি বিচ্ছিন্নতাবাদী সন্ত্রাসী গ্রুপের সংঘর্ষে এক ইউপিডিএফ সন্ত্রাসী আহত অবস্থায় অস্ত্রসহ আটক।

0

উপজাতি দুইটি বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র সন্ত্রাসী গ্রুপের মধ্যে গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটে। এসময় যামিনীপাড়া ২৩ বিজিবি জোন পার্বত্য চুক্তি বিরোধী সন্ত্রাসী সংগঠন ইউপিডিএফ প্রসিত মূল গ্রুপের এক সন্ত্রাসীকে আহত অবস্থায় আটক করে। গতকাল ২২ নভেম্বর (মঙ্গলবার) সন্ধ্যা আনুমানিক ৭ ঘটিকার সময় মাটিরাঙ্গা উপজেলার বড়নাল ইউনিয়নের তৈলাফাংপাড়া নামক স্থানে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
২৩ বিজিবি যামিনীপাড়া জোন কমান্ডার লেঃ কর্ণেল এ বি এম জাহিদুল করিম এর নেতৃত্বে জোন সদর হতে  দুইটি  টহল দল নিয়ে ঘটনাস্থলের দিকে গমন করেন। ঘটনার বিষয়ে উক্ত এলাকায় ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ ও তল্লাসী চালিয়ে সশস্ত্র সন্ত্রাসী  ইউপিডিএফ (মূল) এর বড়নালা পোস্ট পরিচালক অনুপম চাকমা ওরফে প্রলয় (৩৫), পিতা-মনুজয় চাকমা, গোলাবাড়ি ইউনিয়ন, গ্রাম-হরিণাথ পাড়া, উপজেলা ও জেলা-খাগড়াছড়িকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করেন। এ সময় উক্ত সন্ত্রাসীর নিকট থেকে একটি ৯ মিঃ মিঃ পিস্তল ম্যাগাজিনসহ ৫ রাউন্ড পিস্তলের গুলি,১বাটন মোবাইল ফোন,
ইউপিডিএফ এর চাঁদা আদায়ের রশিদ বই, ১হ্যান্ডব্যাগ  ও গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র  জব্দ করা হয়।

খবর পেয়ে মাটিরাঙ্গা থানা হতে অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আলীর নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল রাত সাড়ে ১১ ঘটিকায় গঠনাস্থলে পৌছানোর পর আহত অবস্থায় উদ্ধারকৃত সন্ত্রাসী এবং জব্দকৃত অস্ত্র, গোলাবারুদ ও অন্যান্য মালামালসহ পুলিশের নিকট  হস্তান্তর করেন বিজিবি।
মাটিরাঙ্গা থানা পুলিশের তত্বাবধানে আহত সন্ত্রাসীকে মাটিরাঙ্গা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রেরণ করার পর আশংকাজনক হওয়ায় প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য পুলিশ পাহারায় চট্রগ্রাম মেডিকেলে পাঠানো হয়, এই ঘটনায় আহত অনুপম চাকমার নামে একটি অস্র আইনে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানিয়েছেন মাটিরাংগা থানার  অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আলী।

এরপর থেকে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে ২৩ বিজিবির এডি নজরুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি  টহল দল ঘটনাস্থল এলাকায় টহল দিচ্ছেন, এবং যামিনীপাড়া জোন সদরের দায়িত্বপূর্ণ এলাকা ও অধীনস্থ সকল বিওপি/ক্যাম্প এলাকায় গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধিসহ টহল তৎপরতা জোরদার করার পাশাপাশি সকলকে সতর্ক থাকার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ২৩ বিজিবি অধিনায়ক  লেঃ কর্ণেল এ বি এম জাহিদুল করিম।
বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি শান্ত ও স্বাভাবিক রয়েছে বলেও জোন অধিনায়ক  জানান ।

আগের পোস্টগুইমারা রিজিয়নের সিন্দুকছড়ি জোন কর্তৃক মানবতা ও সমাজ কল্যাণে বিশেষ সহায়তা প্রদান।
পরের পোস্টচুক্তির সময় সেনারা কান্নায় ভেঙে পড়েছিল, কারণ তখনই তাদের বিজয় পতাকা উড়ানোর মুহূর্ত ছিলো!

রিপ্লাই দিন

আপনার কমেন্ট লিখুন
আপনার নাম লিখুন