১৯৯৭ সালের ২-রা ডিসেম্বরের পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির ২৫-তম বর্ষপূর্তি আজ। এই দিনে সরকার তথা জেএসএস অনেক সাড়ম্বরে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি পালন করবে আর শান্তির বুলি ছুড়বে। এদিকে লাশ হয়ে আছে পিছিয়েপড়া জনগোষ্ঠীর বাঙ্গালী যুবক।
অদ্য ২-রা ডিসেম্বর ২০২২ খ্রিস্টাব্দে ভোরে রেজাউল ইসলাম নামের এক বাঙ্গালী যুবকের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
খাগড়াছড়ি জেলার গুইমারা উপজেলার সিন্দুকছড়ি পংক্খিমুরায় রেজাউল ইসলামকে জবাই করে হত্যা করে উপজাতি সন্ত্রাসীরা। হত্যা করে লাশটি সড়কে রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে যায়। এটি মহালছড়ি-সিন্দুাছড়ির নান্দনিক সংযোগ সড়ক। এলাকাটি পার্বত্য চুক্তি বিরোধী বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন ইউপিডিএফ অধ্যুষিত এলাকা।
গুইমারা থানার অফিসার্স ইনচার্জ আরো জানিয়েছে চট্টগ্রাম আমবাগান, বাস্তহারা গ্রামের রমজান আলী পিতা: ইউনুস শিকদার তিনি পেশায় একজন গাড়ি চালক বা ব্যবসায়ী হতে পারে৷ তাকে অপহরণ করা হয়েছে৷ তিনি হয়তো গাড়ি চালক বা ব্যবসায়ী হিসেবে এসেছিল৷ চাঁদার জন্য তাকে অপহরণ করেছে৷
সরকার এবং জন সংহতি সমিতি (জেএসএস) মধ্যকার পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি সম্পাদিত হয়েছিল এই অঞ্চলের দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক সমস্যা, রক্তারক্তি সংঘর্ষ, হানাহানি ও চাঁদাবাজি যেনো বন্ধ হয় এবং শান্তির সুবাতাস যেনো ছড়িয়ে পড়ে। সরকার মূলত তারই জন্য পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি সম্পাদিত করে। এজন্য জেএসএস এর সমস্ত দাবিদাওয়া সরকার মেনে নেয় আর জেএসএসকে সরকার একটি মাত্র শর্ত দেয়। সেই শর্তটি হলো জেএসএস সম্পূর্ণ অবৈধ অস্ত্র সরকারের নিকট জমা দিয়ে স্বাভাবিক জীবনে প্রত্যাবর্তন করবে। দুঃখজনক যে জেএসএস সরকারের সেই একটি মাত্র শর্ত পালন করেনি! তারা অবৈধ অস্ত্র নিয়ে একাধিক গ্রুপে বিভক্ত হয়ে হানাহানি, চাঁদাবাজি, অপহরণ, খুন-গুম ও দেশদ্রোহীতামূলক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত রয়েছে।
উপজাতি সন্ত্রাসীরা এখানে এমন হিংস্রা, বিভাজন সৃষ্টি করেছে এক বাঙ্গালীর রক্ত আরেক বাঙ্গালী খায়। একজন আরেক জনের পেছনে লেগে থাকে। এই হত্যাকাণ্ডের সাথে যদি বাঙ্গালীও জড়িত থাকে তাতেও অবাক হওয়ার কিছুই নেই যে আজ পার্বত্য বাঙ্গালীরা উপজাতি রাজনৈতিক নেতা এবং উপজাতি সন্ত্রাসী সংগঠনের খেলারপুতুল এবং গোলামে পরিণত হয়েছে৷ আপসোস বাঙ্গালী!
চুক্তির ২৫-তম বর্ষপূর্তিতে এসেও পাহাড়ে বাঙ্গালীর লাশ পড়া কতটা দুঃখজনক এবং নিন্দনীয় তা প্রকাশ করার ভাষা হারিয়ে ফেলেছে বাঙ্গালীরা। এভাবে নিরস্ত্র পার্বত্য বাঙ্গালীদের দীর্ঘ ৪৭ বছর হত্যা, নির্যাতন করে আসছে উপজাতি সন্ত্রাসী সংগঠনগুলো।
পার্বত্য বাঙ্গালীরা এ হত্যাকাণ্ড গুলোর বিচার চাইতে যাবে কার কাছে? অভিভাবকহীন পার্বত্য বাঙ্গালীরা আজ নিজ দেশে পরবাসী। এভাবে নিজেদের ভাগ্যকে বেছে নিয়েছে৷