অদ্য শুক্রবার (২ ডিসেম্বর ২০২২ খ্রিঃ) ভোর ০৬ ঘটিকায় মহালছড়ি জোনের বিজিতলা সাবজোনের অন্তর্গত ধইল্লাপাড়া এলাকায় টহল চলাকালীন সময়ে আনুমানিক ৮০ থেকে ১০০ বিঘা জমি গাঁজা ক্ষেত এর সন্ধান পায় মহালছড়ি সেনা জোন। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায় দূর্গম পাহাড়ে গাঁজার চাষ করে দেশের বিভিন্ন স্থানে তা সরবরাহ করে থাকে মাদক ব্যবসায়ীরা। খাগড়াছড়ি সেনা রিজিয়নের আওতাধীন মহালছড়ি জোন কর্তৃক অভিযান পরিচালনার মাধ্যমে উদ্ধারকৃত গাঁজা একত্রে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়।
বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, গহীন অরন্য ও দূর্গম পাহাড়ি এলাকায় যেখানে তুলনামূলক জনবসতি কম সে সকল জায়গায় মাদক ব্যবসায়ীরা নিরাপদ এলাকা হিসাবে বেছে নেয়। আঞ্চলিক রাজনৈতিক দলগুলোর সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা, অস্ত্র ক্রয় ও তাদের বেতন ভাতাসহ অন্যান্য প্রশাসনিক কাজে মাদক ব্যবসা থেকে অর্জিত অর্থ ব্যয় করা হয়ে থাকে। ধইল্লাপাড়া এলাকাটি প্রত্যন্ত ও দুর্গম হওয়ায় এই এলাকায় জনসাধারনের চলাচল নেই বললেই চলে। গাঁজা ক্ষেতের সন্ধান পাওয়ার পরপরই মহালছড়ি জোনের সেনাবাহিনীর একটি টিম গাঁজা ক্ষেত ধ্বংস করে আনুমানিক ১২০০০-১৫০০০ কেজি গাঁজা পুড়িয়ে দেয়। ঘটনাস্থলে তখন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অফিসের কর্মকর্তা নাসির ফেরদৌসসহ তার একটি টিম ও স্থানীয় থানার পুলিশ সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। গাঁজা চাষের সাথে যুক্ত কাউকে আটক করা যায়নি। তবে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায় পাহাড়ে বিচ্ছিন্নতাবাদী দল ইউপিডিএফ (মূল) এর সহযোগিতায় ধইল্লাপাড়া, মাটিরাঙ্গার স্থানীয় কারবারি রবি চাকমা (৫৫) ধ্বংসকৃত এই গাঁজা ক্ষেতের চাষ করে যাচ্ছিলেন। সেনাবাহিনীর উপস্থিতি বুঝতে পেরে তিনি আগেই পালিয়ে যান।
নিরাপত্তা বাহিনী কর্তৃক এই ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকায় জনমনে স্বস্থি ফিরে এসেছে। মহালছড়ি জোন সর্বদা সাধারণ মানুষের পাশে থেকে জনসাধারণের জীবনযাত্রার মান এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করে আসছে। মহালছড়ি সেনা জোনের এরুপ কার্যক্রম সন্ত্রাসীদের বিভিন্ন প্রকার মাদকের চাষ বন্ধ এবং মাদক নিষ্ক্রিয় করতে সক্ষম হবে বলে এলাকাবাসী আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।