শান্তিচুক্তির ২৫ বছর পূর্তিতে খাগড়াছড়ি রিজিয়ন ও পার্বত্য জেলা পরিষদ খাগড়াছড়ির পক্ষ থেকে নানা ধরনের কার্যক্রম পালন করা হয়।
দিনের শুরুতেই ১০০০০-১২০০০ শান্তি প্রিয় মানুষের উপস্থিতিতে আনন্দ র্যালি শুরু হয়। এই র্যালি শুরু হয় জেলা পরিষদ অফিস প্রাঙ্গণ হতে শাপলা চত্তর হয়ে খাগড়াছড়ি টাউন হলে শেষ হয়।
এই র্যালিতে সকল পেশাজীবী সরকারি-বেসরকারি ও পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়িতে অবস্থিত সকল সাংস্কৃতিক দলের সদস্যরা যোগদান করে। র্যালিকে মনমুগ্ধকর ও চমকপ্রদ করার জন্য স্ব স্ব ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর অধিবাসীরা নিজস্ব জাতিগোষ্ঠীর পোশাক পরিধান করেন। র্যালির শেষে সকল জাতিগোষ্ঠীর নিজস্ব সংস্কৃতিকে ডিসপ্লে করে।
সকাল ১২ টার সময় খাগড়াছড়ি সেনানিবাস অত্র অঞ্চলের সকল সামরিক-বেসামরিক, রাজনৈতিক নেতা নেত্রী ও গণমাধ্যমকর্মীসহ প্রীতি ভোজের আয়োজন করা হয়। এই প্রীতিভোজে যোগদান করেন খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার মাননীয় সাংসদ জনাব কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, এমপি, খাগড়াছড়ি রিজিয়ন কমান্ডার, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ জাহাঙ্গীর আলম ও পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, মংসুইপ্রু চৌধুরী অপু। এই অনুষ্ঠানে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা কেক কাটা ও প্রীতি ভোজের মধ্য দিয়ে এই অনুষ্ঠান শেষ হয়।
এদিকে, বিকাল তিনটা থেকে রাত দশটা পর্যন্ত খাগড়াছড়ি রিজিয়ন ও পার্বত্য জেলা পরিষদ খাগড়াছড়ি যৌথ উদ্যোগে জেলা স্টেডিয়ামে একটি মনোজ্ঞ কনসার্টের আয়োজন করা হয় । এই কনসার্টে শিল্পী মমতাজ বেগম ও হৃদয় খান সঙ্গীত পরিবেশন করেন। এছাড়া চট্টগ্রাম থেকে শিল্পী সুইটি এবং তার দল সঙ্গীত পরিবেশন করেন।
বিকাল তিনটা থেকে শুরু হওয়া এই কনসার্টের প্রথম অংশে স্থানীয় অরণ্য ব্র্যান্ড ও হিল স্টারসের শিল্পীরা সঙ্গীত পরিবেশন করেন। এছাড়া অত্র অঞ্চলের ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠীর সদস্যদের প্রতিনিধিত্বকারী ৬৪ জন শিল্পী মনমুগ্ধকর নৃত্য পরিবেশন করে।
এই অনুষ্ঠানে খাগড়াছড়ি রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, সকলকে সম্প্রীতির বন্ধন অটুট রাখার পাশাপাশি রাষ্ট্রীয় উন্নয়নমূলক সকল কর্মকান্ড বাস্তবায়নের জন্য ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
এই কনসার্টটিতে ১৫০০০ থেকে ২০০০০ হাজার দর্শক যোগদান করে।