মোঃ সোহেল রিগ্যান: স্থানীয় তথ্য মতে জানা যায়, সরকার ১৯৮০/৮১ সনে রাঙ্গামাটি জেলার কাউখালী উপজেলার ঘাগড়া ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড শামুকছড়িতে বাঙ্গালীদের পূর্নবাসন করে। উপজেলার ৯৮ নং কচুখালী মৌজার ২০৬৫ দাগের ভূমি সরকার রেকর্ডীয় কবুলিয়ত মূলে বাঙ্গালীদের দেয়৷ তৎকালীন সরকার বাঙ্গালীদের শামুকছড়িতে পুর্নবাসন কররেও পরবর্তীতে শান্তিবাহিনীর সন্ত্রাসীদের আক্রমণে নিরাপত্তার অজুহাতে বাঙ্গালীদের শামুকছড়ি হইতে কাউখালী সদর মুখী গুচ্ছগ্রাম বন্দিশালায় নিয়ে আসে। বাঙ্গালীরা বর্তমানে শামুকছড়ির প্রায় ৩০০ একর ভূমিতে বাগানবাগিচা কাটতে বা আগাছা পরিষ্কার করতে গেলে উপজাতিরা বাধা প্রদান করে। তারই ধারাবাহিকতায় অদ্য ২৫ ডিসেম্বর ২০২২ খ্রিঃ সকাল ৯:৩০ ঘটিকায় মোঃ বশির মিয়া বাঙ্গালী গ্রুপ লিড়ার, পিতা মৃত- নুর হোসেন পাটোয়ারী সাং- কাউখালী হাসপাতাল এলাকা। তিনি তার বাগান বিক্রি করেন মো. শরিফুল ইসলাম (৪২) পিতা মৃত্য- আবু তাহের, সাবেক মেম্বার ১নং ওয়ার্ড ঘাগড়া ইউপি, কাউখালীর নিকট। শফিকুল ইসলাম বাগান কাটার জন্য ৫ বাঙ্গালী লেবারকে গতকালের মতো অদ্য তারিখেও শামুকছড়ি পাঠালে থুইলাপ্রু মারমা (৪৫), পিতা মৃত্যু- ক্যাহ্লাঅং মারমা, সাং- কচুখালী কাউখালীর নেতৃত্বে প্রায় ২৫০ জন উপজাতি নিয়ে বাধা প্রদান করে। এসময় বাঙ্গালী ৫ লেবার উপজাতীয়দের তীব্র হামলার শিকার হয়। বাঙ্গালী লেবাররা অভিযোগ করে বলেন, আমাদের বেধে ব্যাপক মারধর করা হয়। আমরা বাধা অবস্থায় ছিলাম পরে কাউখালী থানা হইতে পুলিশের একটি দল ঘটনারস্থলে গিয়েছে আমাদের ৫ লেবারকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে। পরবর্তীতে খবর পেয়ে বাগান ক্রেতা সাবেক মেম্বার শরিফুল ইসলাম স্থানীয় বাঙ্গালীদের নিয়ে শামুকছড়ি ঘটনারস্থলে যেতে চাইলে সবার অনুরোধে বাঙ্গালীরা আর শামুকছড়ি যায়নি। উক্ত জায়গার দাগ, হোল্ডিং ও তফসিল মূলে বাঙ্গালীরা মালিক৷ থুইলাপ্রু মারমা গংদের কোনপ্রকার জায়গা উক্তস্থানে নেই৷ দাগ নাম্বার বিহীন কাগজপত্র দিয়ে উক্ত জায়গার মালিকানা এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম শাসনবিধির প্রথাগত অধিকার মোতাবেক জায়গাটি উপজাতিরা দাবি করে আসছে বলে জানা যায়। জায়গাটির বিষয়ে এর আগে বেশকয়েকবার বৈঠক হয়। বৈঠকে থুইলাপ্রু মারমা জায়গার কোনপ্রকার বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেনি। থুইলাপ্রু মারমাকে ইন্ধন দিচ্ছে কাউখালী উপজেলার কিছু উপজাতি ও বাঙ্গালী নেতৃবৃন্দ। এর আগে উক্ত এলাকার বাঙ্গালীদের রেকর্ডীয় কবুলিয়ত জায়গাতে জোরপূর্বক বৌদ্ধ বিহার নির্মাণ করে উপজাতিরা।
উক্ত জায়গাগুলোর বিরোধ সমাধানের জন্য বাঙ্গালীরা দীর্ঘদিন ধরে প্রশাসনসহ সবমহলেই অভিযোগ করেও কোন সুরাহা পায়নি৷ স্থানীয় কিছু বাঙ্গালী দালাল এর কারণে ভূমির দীর্ঘ সমস্যাটি সমাধান হতে বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে।
আহত বাঙ্গালীদের মধ্যে গুরুত্বর আহত মো. বাশার পিতা- আবু তাহের, লিটন পিতা: জয়নাল আবেদীন, সাং- ১ন্য ওয়ার্ড রাঙ্গীপাড়া, ঘাগড়া ইউপি, কাউখালী কে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে চিকিৎসার জন্য।
বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে বলে জানা যায়।