সম্প্রদায়িক উস্কানিদাতা “কাদিয়ানীদে”র কে পার্বত্য চট্টগ্রামে নিষিদ্ধ ঘোষণার জন্য প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি।

0

পার্বত্য চট্টগ্রামে সাম্প্রদায়িক বিশৃঙ্খলা ও ধর্মান্তকরণের অপর তৎপরতার সঙ্গে জড়িত অন্যতম সম্প্রদায় হলো “আহমদীয়া মুসলিম জামাত” বা “কাদিয়ানী” সম্প্রদায়।

যারা ইতিমধ্যে পার্বত্য চট্টগ্রামে বিশেষ করে রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলার বিভিন্ন উপজেলায় (লংগদু ও বাঘাইছড়ি উপজেলা) এর সরলমনা মুসলমান ও ক্ষেত্র বিশেষে উপজাতীয় চাকমা ও ত্রিপুরা সম্প্রদায়কে অর্থ সহ বিভিন্ন লোভও প্রলোবণ দেখিয়ে ধর্মান্তরিত করার অপ্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

তারা মুসলিম ও অন্যান্য সম্প্রদায়ের ধর্মীয় বিশ্বাস ও অনুভূতিতে আঘাত করে বিভিন্ন গ্রামে সম্প্রদায়িক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে শান্ত পার্বত্য চট্টগ্রামকে অশান্ত করার পরিকল্পিতভাবে অপচেষ্টা চালাচ্ছে।

তাদের এ অপচেষ্টা ও অপতৎপরতা এবং অসাম্প্রদায়িক উস্কানি বন্ধের দাবিতে লংগদু উপজেলাধীন ১নং আটারকছড়া ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড় উত্তর ইয়ারাংছড়ি এলাকায় বসবাসকারী পাহাড়ী – বাঙালি মুসলিম ও বৌদ্ধ ধর্মীয় জনগোষ্ঠীর পক্ষ হতে গত ১৭/৫/২০১৩ ইং তারিখে মাননীয় উপজেলা নির্বাহী অফিসার মহোদয়, লংগদু উপজেলা, রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা বরাবরে অভিযোগ পেশ করেছিলেন।

সে সময় লঙ্গদু উপজেলা চেয়ারম্যান মহোদয়, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মহোদয়, লংগদু থানা অফিসার্স ইনচার্জ মহোদয় এবং লংগদু উপজেলা ইমাম সমিতির সভাপতি, স্থানীয় চেয়ারম্যান মহোদয়, মেম্বার, কারবার, হেডম্যান সহ অন্যান্য গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত হয়ে সে অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করে তাদেরকে সম্প্রদায়িক বিশৃঙ্খলা প্রত্যেকে ফিরে আসার জন্য প্রথমবারের মতো সতর্ক করেন।

উল্লেখ্য যে, কাদিয়ানী সাম্প্রদায় গত২০০৬-৭ সালের দিকে বাঘাইছড়ি উপজেলাধীন আমতলী ইউনিয়নের মাহিল্যা কবিরপুর গ্রামে প্রায় ৪৫টি পরিবারের ৭০-৮০ জন সরলমনা ও দারিদ্র মুসলমানদের কে অর্থ ও চাকরির লোক দেখিয়ে কাদিয়ানী মতবাদে ধর্মান্তরিত করেছিল।

যার কারণে লংগদু ও বাঘাইছড়ি তথা পার্বত্য চট্টগ্রামের সাধারণ জনগণের মধ্যে প্রতিবাদের আগুন জ্বলে উঠেছে।

কাদিয়ানীদের এ ঘৃণ্য কর্মকান্ডের প্রতিবাদে ৩১ শে ডিসেম্বর ২০১২ সালে সর্বস্তরের জনগণকে নিয়ে লংগদু ও বাঘাইছড়ি উপজেলা জাতীয় ইমাম সমিতি তাদের বিরুদ্ধে মহিল্যা বাজারে স্বরণকালের বৃহত্তর “খতমে নবুওয়াত” কতৃৃর্ক প্রতিবাদ সভা করা হয়েছিল।

এরপর তারা কিছুদিন নীরব থাকলেও ইদানিং লংগদু উপজেলাধীন ১নং আটারকছড়া ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড় উত্তর ইয়ারাং ছড়ি এলাকার গহীন পাহাড়ি সরকারি জায়গা দখল করে আবারো নতুন করে সংগঠিত হয়ে সরলমনা জনসাধারণের বিরুদ্ধে সাম্প্রদায়িক উস্কানি দেওয়ার পাঁয়তারা করে যাচ্ছে।

তারা কিছুদিন পরপর থানায় এবং প্রশাসনের কাছে নিজেরাই নিজেদের বিভিন্ন অপকর্মের দামা চাপা দিতে খেত খামার ও অন্যান্য ফসলাদি রাত্রে বেলায় নষ্ট করে সরলমনা মুসলমানদের বিরুদ্ধে থানা এবং বিভিন্ন জায়গায় মিথ্যা অভিযোগ করে এলাকাকে উত্তপ্ত করার অপ্রচেষ্টা করে যাচ্ছে।

তাদের এই মিথ্যা মিথ্যা উস্কানিমূলক কার্যক্রমের কারণে উক্ত এলাকায় সাধারণ মানুষরা সব সময় উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠার মধ্যে রয়েছেন।

তারা গত কয়েকদিন আগে উত্তর ইয়ারিংছড়ি বাজার মসজিদের ইমাম সাহেবের বিরুদ্ধে লংগদু থানায় মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করে নতুন করে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছেন।

আমরা লংগদু উপজেলার সর্বস্তরের ইমাম ও সর্বসাধারণ এর প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

অবিলম্বে এই মিথ্যা অভিযোগ প্রত্যাহার না করলে নবী প্রেমিক তৌহিদী জনতা ঘরে বসে থাকবে না।

তাই পার্বত্য চট্টগ্রামে সাম্প্রদায়িক শৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী এই “কাদিয়ানী” তথা “আহমদিয়া মুসলিম জামাত” কে নিষিদ্ধ ঘোষণার জন্য সর্বসাধারণ এর পক্ষ থেকে প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি।

সর্বস্তরের জন সাধারণ

আগের পোস্টকাপ্তাই জোন কর্তৃক অসহায় ও নিম্ন আয়ের মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ।
পরের পোস্টমহালছড়ি জোন কর্তৃক শীতবস্ত্র, শিক্ষা সহায়ক সামগ্রী ও আর্থিক অনুদান প্রদান।

রিপ্লাই দিন

আপনার কমেন্ট লিখুন
আপনার নাম লিখুন