মোঃ সোহেল রিগ্যান-খাগড়াছড়ি জেলার পানছড়ি শান্তিপুর গ্রামের দুই উপজাতি মেয়ে শখেরবশে বোরকা পড়ে বাঙ্গালী প্রেমিকের সঙ্গে ঘুরতে বের হলে আঞ্চলিক সন্ত্রাসী সমর্থিত পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (পিসিপি) তাদেরকে আটক করে ব্যাপক জনসম্মুখে মারধর করে। করা হয় মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন। সভ্যতার যুগে এভাবে পাহাড়ে নারী নির্যাতন নারীবাদী ও তথাকথিত সুশীল সমাজের মুখে ঝাঁটা মারার সামিল।
পাহাড়ে নারী নির্যাতিত হলে তারা রহস্যজনক ভূমিকা পালন করে। এসময় তাদের হারিকেন দিয়েও খুঁজে পাওয়া যায়না।
পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি মেয়ে বাঙ্গালী ছেলের সঙ্গে কথা, প্রেম বা বিবাহ করলে নেমে আসে অত্যাচার। মেয়েকে ধর্ষণ পূর্বক হত্যা করা হয়। মেয়ের পরিবারকে মোটাঅংকে জরিমানা করা হয়। করা হয় সমাজচ্যুত। উপজাতি সমাজে বাঙ্গালী ছেলে উপজাতি মেয়ের সম্পর্ক নিষিদ্ধ ৷ দেশের প্রচলিত আইন থাকার সত্ত্বেও পাহাড়ি আঞ্চলিক সন্ত্রাসী গ্রুপগুলো এমন কঠিন নিয়মকানুন তৈরি করেছে নিজেদের খেয়াল খুশিমত। উপজাতি মেয়েদের বাঙ্গালী ছেলেদের সঙ্গে সম্পর্কের ধুয়ো তুলে বা মিথ্যা তকমা দিয়ে নিলামে তোলা হয়। নারীর প্রতি এমন চরম অপমান ও অবিচার করে যাচ্ছে আঞ্চলিক দলগুলো। বাংলাদেশের অন্যান্য অঞ্চলে নারী নির্যাতন হলে আমাদের দেশের নারীবাদী, সুশীল ও প্রগতিশীল চিন্তার মানুষগুলো যেভাবে সরগরম করে সেভাবে কিন্তু পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি নারী নির্যাতিত হলে করেনা।
মহালছড়ি কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ও খাগড়াছড়ি টেকনিক্যাল স্কুল কলেজের দশম শ্রেণির ছাত্র, দুই পাহাড়ি প্রমিকাকে নিয়ে ঘুরতে বের হয়ে সন্ত্রাসীদের হাতে আটক হয়ে নির্যাতনের শিকার হন।
পাহাড়ি প্রেমিকা দুইজনই দশম শ্রেণীর ছাত্রী একই স্কুলে পড়াশোনা করেন। সামনে এসএসএসি পরিক্ষার্থী।
উপজাতি পুরুষরা অকর্মা, মদ, গাঁজাখোর, একাধিক নারীতে আসক্ত, নারীদের ভোগ্যপণ্য হিসেবে ব্যবহার করে। তাই উপজাতি নারীরা দিনমজুর বাঙ্গালীসহ যে কোন ধরনের বাঙ্গালী পুরুষদের স্বামী হিসেবে জীবনসঙ্গী বেছে নিতে শত-বাধা বিপত্তিকে ভয় না করে ঘর বাঁধার স্বপ্ন দেখে।
একটি সূত্রে জানা গেছে মেয়ে দু’টির বাড়ি মহালছড়ি উপজেলার মুবাইছড়ি এলাকা।
গতকাল ১৭ ফেব্রুয়ারি তারা শখেরবশে বোরকা পড়ে বাঙ্গালী প্রেমিকের সঙ্গে ঘুরতে বের হয়ে স্বজাতি উশৃংখল, হিংস্র ও উগ্র যুবকদের নির্যাতনের শিকার হয়। উশৃংখল যুকরা মেয়েদের শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেয় এবং ধর্ষণ করার হুমকি দেয়৷ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত মেয়েদের ভাগ্যে কী জুটেছে তা জানা যায়নি।