ইউপিডিএফ এর চাঁদাবাজি বাধাপ্রাপ্ত হবে বলে নানিয়ারচর সেনা ক্যাম্প স্থাপনের বিরোধীতা!

0
132

সেনাক্যাম্প স্থাপনের নামে ভূমি বেদখেলের তথাকথিত অভিযোগ করে মানববন্ধন করেছে ইউপিডিএফ প্রসিত সন্ত্রাসীদের চাপের মুখে একদল এলাকাবাসী।
রাঙামাটি জেলার নানিয়ারচর উপজেলার সদর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের সোনারাম কার্বারী পাড়ায় সেনা ক্যাম্প স্থাপনের নামে তথাকথিত ভূমি বেদখলের প্রতিবাদে বেতছড়ি এলাকায় রাঙামাটি–খাগড়াছড়ি সড়কে এই মানববন্ধন করেছে সন্ত্রাসীরা।

গতকাল শুক্রবার ০৩ মার্চ ২০২৩ খ্রিস্টাব্দে বেলা ২:০০ টার সময় ইউপিডিএফ এর চাপে পড়ে ব্যানারে এ মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।

মানববন্ধনে অংশ নেওয়া বক্তারা ইউপিডিএফ এর শিখানো বক্তব্য পেশ করে বলেন, গত ২৭ ফেব্রুয়ারি হতে নান্যাচর জোনের ১৫-২০ জনের একদল সেনাসদস্য কোন প্রকার কথাবার্তা ছাড়াই নান্যাচর সদর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের সোনারাম কার্বারি পাড়ার বাসিন্দা কোকিল চাকমা (৫০) পিতা- মৃত. বিপিন্যা চাকমা-এর ৭২ নং বেতছড়ি মৌজার ১৯৬৫ সালের রেগুলেশনের বন্দোবস্তির ৩ একর জায়গা থেকে দেড় একর জায়গায় ক্যাম্প স্থাপনের জন্য জঙ্গল পরিস্কার করছে। ভূমির মালিক ও এলাকার জনগণের মতামত না নিয়ে সেখানে ক্যাম্প স্থাপনের নামে ভূমি বেদখল করার অভিযোগ করেন। তারা পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি মোতাবেক অস্থায়ী সেনা ক্যাম্প প্রত্যাহার না করে নতুন করে সেনা ক্যাম্প স্থাপনে উদ্বেগ ও এলাকার জনগণ নিপীড়ন-নির্যাতনের শিকার হতে পারেন বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন।

সেনা ক্যাম্প স্থাপনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে এলাকাবাসীকে উস্কে দিয়েছে বিচ্ছিন্নতাবাদী এই সন্ত্রাসী সংগঠনটি। মানববন্ধন করার পর থেকে এলাকায় সেনাবাহিনী সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণা তৈরি করার প্রচেষ্ঠা করছে ইউপিডিএফ।

উপরোক্ত অভিযোগ বিষয়ে অনুসন্ধান করে জানা যায়, নিরাপত্তার জন্য ৮নং ওয়ার্ডের সোনারাম কার্বারী পাড়ায় সেনাবাহিনী একটি অস্থায়ী সেনা ক্যাম্প স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেয়। এলাকাবাসী দীর্ঘদিন থেকে নিরাপত্তার জন্য এবং সন্ত্রাসীদের চাঁদাবাজি থেকে মুক্তি পেতে সেনা ক্যাম্প স্থাপনের দাবি জানিয়ে আসছিল। তারই পরিপ্রেক্ষিতে নানিয়ারচর জোন একটি অস্থায়ী সেনাক্যাম্প স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেয়। সেনা ক্যাম্পের জন্য পরিষ্কার করা দেড় একর ভূমির মালিক কোকিল চাকমার বলে যে দাবি করছে ইউপিডিএফ তা একদম ডাহামিথ্যে। উক্ত ভূমি সরকারি খাস সম্পত্তি। এলাকায় পার্বত্য চট্টগ্রাম বিধি মোতাবেক কোকিল চাকমার ৩০ শতক জায়গা রয়েছে৷ এই জায়গার বাহিরে কোকিল চাকমা বাড়তি জায়গার মালিকানা প্রথাগত অধিকারেও দাবি করতে পারে না।

স্থানীয় সূত্র গুলো বলছে, ৮নং ওয়ার্ডের সোনারাম কার্বারী পাড়ায় ইউপিডিএফ প্রসিত গ্রুপের সশস্ত্র গ্রুপ থাকে৷ এখানে ইউপিডিএফ এলাকাবাসীকে দীর্ঘদিন জিম্মি করে চাঁদাবাজি করার পাশাপাশি অপহরণ, খুন-গুম করে জনজীবনে দুর্ভোগ সৃষ্টি করে আসছে। তাই এলাকাবাসী নিরাপত্তার স্বার্থে একটি সেনাক্যাম্প দাবি করে আসছিল।
তারই ধারাবাহিকতায় একটি অস্থায়ী সেনা ক্যাম্প স্থাপনের সিদ্ধান্ত হয়।

এখন এলাকাবাসীর জোরালো দাবি সরকার যেনো নিরাপত্তার স্বার্থে দ্রুত সেনাক্যাম্প স্থাপন করে।

আগের পোস্টরাঙ্গামাটি রিজিয়ন কর্তৃক স্থানীয় জনসাধারণকে আর্থিক অনুদান প্রদান।
পরের পোস্টস্বাধীনতার মাসে মহালছড়ির ইতিহাসে সর্ববৃহৎ কনসার্ট অনুষ্ঠিত।

রিপ্লাই দিন

আপনার কমেন্ট লিখুন
আপনার নাম লিখুন