কথিত রাজা দেবাশীষ রায় বাংলাদেশ নামক স্বাধীনতার বিরোধী।

0

বৃটিশরা পার্বত্য চট্টগ্রামসহ ভারতীয় উপমহাদেশ ছেড়ে গেছে অন্ততপক্ষে ৭৩ বছর চলমান। তাদের অধিকাংশ রাজপ্রথা উপমহাদেশে বিলুপ্ত। অথচ স্বাধীন সার্বভৌমত্ব দেশ প্রতিষ্ঠা হওয়ার পরেও বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রামে রাজপ্রথা এবং তথাকথিত বৃটিশ কর্তৃক প্রণীত হিল ম্যানুয়েল বিদ্যমান। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে কথিত রাজা দেবাশীষ রায় তার উত্তরসূরীদের মত পার্বত্য চট্টগ্রাম তথা বাংলাদেশ নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে বিদেশি এনজিও, দ্বাতা সংস্থা ও মিশনারীদের সঙ্গে কূটনীতিক তৎপরতা জোরদার করেছে। রাজার রয়েছে কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি। এ টাকা আসার মূল কেন্দ্রবিন্দু হচ্ছে অবৈধ
খাজনা উত্তোলন। খাজনা প্রসঙ্গে কথিত রাজা দেবাশীষ বলেন, আমরা মূলত তিন ধরনের খাজনা আদায় করে থাকি। জুম খাজনা পরিবার পিছু বাৎসরিক ৬ টাকা। এর মধ্যে রাজার অংশ আড়াই টাকা। বাকি অংশ পায় সরকার। জমির খাজনা করা হয় গ্রোভল্যান্ড (উঁচুভূমি) এবং ফ্রিঞ্জল্যান্ড (নিচুভূমি) থেকে। এ খাজনার মধ্যে রাজার অংশ ৪২, হেডম্যান ২৭ এবং বাকি অংশ সরকারের। কথিত রাজা খাজনা কোন আইনের ভিত্তিতে নেয়? বাংলাদেশ সংবিধানের কোথাও তো লেখা নেই রাজপ্রথার কথা! সারাদেশে খাজনা উত্তোলন করে ভূমি অফিস ও ইউনিয়ন পরিষদ অথচ পার্বত্য চট্টগ্রামে খাজনা উত্তোলন করে রাজারা। পার্বত্যাঞ্চলের রক্ত চুষে খাই এই তথাকথিত তিন রাজা। কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি অর্জন করে রাষ্ট্র বিরোধী ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। দেশীও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রকারীদের সঙ্গে নিয়ে রাষ্ট্রের মূল ভূখণ্ড নৈসর্গিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি পার্বত্য চট্টগ্রাম বিচ্ছিন্ন করার নীল নকশা বাস্তবায়নে কাজ করছে দেবাশীষ রায়। তার বারবার বিদেশ সফরের উদ্দেশ্য কী? সেই কী রাষ্ট্রদ্যূত নাকি রাষ্ট্রের কোন বিশেষ কাজে বিদেশে ভ্রমণ করেন? রাষ্ট্র ও প্রশাসনকে না জানিয়ে বিদেশে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্ক ও মিশনারী কর্তৃক আয়োজিত সভা-সেমিনারে যোগদান একপ্রকার রাষ্ট্র বিরোধিতার সামিল। রাষ্ট্রকে না জানিয়ে জাতিসংঘের বিভিন্ন আদিবাসী ও মানবাধিকার বিষয়ক সভা-সেমিনারে যোগদান কীসের ইঙ্গিত বহন করে? গত ২০১৬ সালে রাঙামাটি জেলার রাজস্থলী একটি বাড়ি হতে সেনাবাহিনী অভিযান চালিয়ে বিপুলসংখ্যক অস্ত্র গোলাবারুদ সহ অন্যতম মূলহোতা ডঃ রেনিসোঁকে আটক করে। আটককৃত মায়ানমারের বিচ্ছিন্নতাবাদী সন্ত্রাসী গ্রুপের। তদন্তের পর জানা যায় দেবাশীষের সঙ্গে ডঃ রেনুসোঁর গভীর সম্পর্ক রয়েছে। দেবাশীষ রায়ের পিতা ৭১ সালের যুদ্ধাপরাধী ত্রিদিব রায়। এই রাজাকার সম্পূর্ণরুপে বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধী। ৭২ রাজাকার তালিকায় দেবাশীষ রায়ের পিতা ত্রিদিব রাজাকারের নাম ছিলো। স্বাধীনতার যুদ্ধের সময় বাংলাদেশের বিরোধিতা করে পাকিস্তানের পক্ষে অবস্থান নিয়ে যুদ্ধের সময় পাকিস্তানে চলে যান৷ পাকিস্তান সরকার তাকে রাষ্ট্রদ্যুত হিসেবেও দায়িত্ব দেন বিভিন্ন দেশে। এই রাজাকারের পুত্র সন্তান দেবাশীষ রায় কতটুকু আর বাংলাদেশ প্রেমি হবে তা প্রেক্ষিত ঘটনাদি অনুয়েম।

আগের পোস্টঅবঃ সেনাপ্রকৌশলী সার্জেন্ট আনোয়ার হোসেনসহ নিরীহ বাঙালি কর্মীকে অপহরণ প্রতিবাদে কর্মসূচী।
পরের পোস্টপার্বত্য অখণ্ডতা তথা দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সেনাবাহিনী বদ্ধপরিকর।

রিপ্লাই দিন

আপনার কমেন্ট লিখুন
আপনার নাম লিখুন