মানবেতর জীবনযাপন করা বাঙ্গালীদের মধ্যে কর্মমুখী পরিকল্পনাই মুখে হাসি ফুটাতে পারে।

0

পার্বত্য বাঙ্গালীরা নানান ষড়যন্ত্রে জর্জরিত। এই বাঙ্গালীদের সমস্যা সমাধান এবং অধিকার নিশ্চিতে কাউকে এগিয়ে আসতে দেখা যায় না। পাহাড় উপত্যকায় বসবাসরত বাঙ্গালীদের জীবনমান উন্নয়নে কিছু কর্মসূখী পরিকল্পনা গ্রহণ করা যেতে পারে, যার প্রস্তাবনা সমূহ-

১. বাংগালীদের রেকর্ডীয় জায়গাতে বাংগালীদের ফিরে যেতে উপযুক্ত পরিস্থিতি সৃষ্টি করা।

২.গুচ্ছগ্রাম গুলোতে পানির তীব্র সংকট সমাধানে টিউবওয়েল স্থাপন করা এবং পানি সরবরাহে বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণ করা।

৩.বাংগালী নারীদের সেলাই প্রশিক্ষণ দিয়ে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে দেওয়া।

৪.বাংগালীদের সুদ মুক্ত বা সহজ শর্তে এবং কম সুদে ব্যাংক থেকে ঋণ দেওয়ার যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করা।

৫.বাংগালীদের কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে বিভিন্ন জনবান্ধব প্রকল্প বরাদ্দ দেওয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ করা। প্রকল্প গুলো যেমন, বাঁধ নির্মাণ করে জলাশয় সৃষ্টি করে মৎস্য চাষ, মৌসুমে চাহিদা থাকা ফলমূল, কৃষিপণ্য, এবং বিভিন্ন খামার গড়ে তোলাসহ নানানভাবে কর্মস্থল সৃষ্টি হওয়ার মত প্রকল্প বরাদ্দ দেওয়ার সুযোগ সৃষ্টি করা।

৬.বাংগালী ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষা নিশ্চিত করণে গণসচেতনতা মূলক পদক্ষেপ নেওয়া এবং তাদের শিক্ষাবৃত্তি, শিক্ষার সামগ্রী দেওয়াসহ ভালো কলেজ,বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ব্যবস্থা করে দেওয়া।

৭.পার্বত্য বাংগালীদের নেতৃত্ব তৈরিও সুসংগঠিত করার জন্য পার্বত্যাঞ্চলে একটি বাংগালী সম্প্রদায়ের জন্য কমপ্লেক্স স্থাপন করা। যদি উপজাতীয়দের জন্য বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থাকতে পারে বাংগালীর জন্য উন্মুক্ত নামে কমপ্লেক্স স্থাপন সমস্যা কোথায়? কেন বা এতে বিপত্তি থাকবে? উল্লেখ্য যে, মন্দ লোকের মন্দা কথা সব কাজেই থাকে।

৮.পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ ও তিন পার্বত্য জেলা পরিষদে বাংগালী প্রেমি ব্যাক্তিদের সদস্য হওয়ার জন্য সুযোগ সৃষ্টি করা। প্রয়োজনে বাংগালীর জন্য সংরক্ষিত থাকা সদস্য আসনে ‘আত্মকেন্দ্রীক, বাংগালীর অস্তিত্ব ধ্বংসকারী ও বেইমান মীরজাফর’ এর বিনাশ ঘটিয়ে জাতির স্বার্থে অগ্রণী ভূমিকা রাখা ব্যক্তিদের সদস্য করার সুযোগ সৃষ্টি করা। এবং যেসকল বাংগালীরা স্বজাতির বিরুদ্ধে কাজ করে তাদের শনাক্ত পূর্বক বয়কট বা প্রশাসনিকভাবে তাদের বিরুদ্ধে কার্যকারী পদক্ষেপ গ্রহণ করা।

৯.ইউপি নির্বাচন ও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সুযোগ-সন্ধানী বাংগালীর লাগাম টেনে ধরে বাংগালী প্রেমি প্রার্থী সিলেক্ট করে নির্বাচিত করার পদক্ষেপ গ্রহণ করা। এতে বাংগালী নেতৃত্ব সৃষ্টি হবে এবং বাংগালীরা রাষ্ট্র হতে তার অধিকার আদায় করতে সক্ষম হবে। এ অঞ্চলে পিছিয়ে পড়া বাংগালী জনগোষ্ঠীর ন্যায় অধিকারের কথা তুলে ধরার জন্য কিছু লেখক সৃষ্টি করা, যেহেতু এখানকার গণমাধ্যমগুলো বাংগালী অধিকার বিমুখী সেহেতু পার্বত্য বাংগালীদের অধিকারের বিষয়াবলি, এবং সন্ত্রাসীদের দেশ বিরোধী অপতৎপরতা সম্পর্কে তুলে ধরার জন্য লেখক সৃষ্টি করা অত্যান্ত আবশ্যক।

১০.বাংগালীর জন্য ত্যাগ শিকার করে এমন যারা আছেন, তাদেরকে বিভিন্ন সহযোগীতামূলক কাজে দায়িত্ব দিতে হবে। এর ফলে তাদের মাধ্যমে সমবন্টন নিশ্চিত হবে। প্রয়োজনে যোগ্য মেধাসম্পূর্ণ যারা আছেন, তাদের পার্বত্য চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানগুলোতে সদস্য বা দায়িত্ব দেওয়ার মত পদক্ষেপ গ্রহণ করা।

প্রস্তাবনার বিষয়বস্তু আংশিক বাস্তবায়িত হলে পার্বত্য বাংগালীর চরম দুঃখ দুর্দশা কিছুটা হলেও অবসান হবে।

আগের পোস্টরাঙামাটিতে পিসিসিপি’র এসএসসি পরিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ।
পরের পোস্টপার্বত্য চট্টগ্রামে সেনাবাহিনী প্রয়োজন কেন?

রিপ্লাই দিন

আপনার কমেন্ট লিখুন
আপনার নাম লিখুন