গুচ্ছগ্রামে বাংগালী পরিবারগুলোর অর্থনীতিক চালিকা শক্তির মূল উৎস পাহাড় হতে ‘লাকড়ি সংগ্রহ’!

0

একটি জাতির জীবিকা ও অর্থনীতির প্রধান কর্মব্যবস্থা যদি ‘লাকড়ি সংগ্রহ হয়’ সে জাতি কতটাই নির্যাতন-নিপীড়ন, শাসন-শোষণের শিকার তা বলে বুঝানো কষ্টসাধ্য। মাইলকে মাইল পাহাড় পাড়ি দিয়ে লাকড়ি সংগ্রহ করে বাংগালী নারীরা সে লাকড়ি বাজারে বিক্রি করে পরিবার পরিজন নিয়ে কোনমতে দিনযাপন করে৷ এই কঠিন বাস্তব চিত্র কী মানবতারফেরি করা প্রগতিশীল, সুশীল ও তথাকথিত সংবাদমাধ্যম কানে পৌঁছে? পরিতাপের বিষয় হচ্ছে, এই কঠিন বাস্তব চিত্র কিন্তু পার্বত্য সংসদীয় আসন গুলোর সংসদ সদস্যরাও স্বীকার করেনা! এমনকি বাংগালীর চরম দুঃখ- দুদর্শার কথা সংসদ অধিবেশনেও তারা বলে না! অথচ তারা বাংগালীর ভোটে নির্বাচিত হয়। সর্বদিক থেকে যদি বাংগালীর লাগাম টেনে ধরা হয়, কোন পথে পার্বত্য বাংগালীর ভবিষ্যত? এমন হাল যদি বাংগালীদের হয় কীভাবে বাংগালীরা তাদের সন্তানাদি নামি-দামি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করাবেন? আর কীভাবে আর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক অবস্থা এগিয়ে নিবেন? যেখানে বেছে থাকার তাগিদে খাদ্য নিয়ে সংগ্রাম সেখানে শিক্ষা গ্রহণ অকল্পনীয় স্বপ্ন নয় কী? বাংগালী ছেলে-মেয়েদের সমবয়সী উপজাতি ছেলে-মেয়েরা শিক্ষাবৃত্তি, কোটায় সুবিধা পেয়ে ধাপে ধাপেই লক্ষ্যমাত্রা চুড়ান্ত করে। সেখানে বাংগালী ছেলে-মেয়েরা বৈষম্যের শিকার হয়! এসএসসি গন্ডি পেরোতে বাংগালী ছেলে-মেয়েদের পিতা-মাতার দম বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়, কী করে আবার কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার স্বপ্ন দেখবে? কিছু সংখ্যক বাংগালী একটি গোষ্ঠীর তাবেদারী ইজারা নিয়ে তারা ভালো অবস্থানে আছে। তাদের অবস্থানে সমগ্র পার্বত্য বাংগালীকে বিবেচনা করলে বাংগালীকে দমিয়ে রাখার আরেকটি পন্থা চর্চা করার সুযোগ সৃষ্টি হবে।

আগের পোস্টপার্বত্য চট্টগ্রামে সেনাবাহিনী প্রয়োজন কেন?
পরের পোস্টপার্বত্য বাঙ্গালীদের ঘুমন্ত বিবেক কবে জাগ্রত হবে?

রিপ্লাই দিন

আপনার কমেন্ট লিখুন
আপনার নাম লিখুন