পার্বত্য চট্টগ্রামে সেনাবাহিনী প্রয়োজন কেন?

0

পার্বত্য চট্টগ্রামের সার্বভৌমত্ব রক্ষার প্রশ্নে সর্বপ্রথম এ অঞ্চলের মানুষের গণদাবি হচ্ছে সেনাবাহিনীর হাতে পার্বত্য প্রশাসন ন্যস্ত করা এবং প্রত্যাহারকৃত সেনাক্যাম্পগুলো দ্রুত পুনঃস্থাপন করা। পার্বত্য চুক্তির পর সেনাবাহিনীর ক্ষমতা খর্ব করা হয়েছে। ব্যারাকে ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছে ২৩৯টি সেনাক্যাম্প। এর কারণে অরক্ষিত হয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রাম।

পাহাড়ের আনাচে-কানাচে অবৈধ অস্ত্রের ঝনঝনানি এখনো থামেনি। পাহাড়ে সর্বত্র চাঁদাবাজি, অপহরণ এবং খুন-গুম চলমান৷ এমন পরিস্থিতিতে পার্বত্য চট্টগ্রামে নিরাপত্তা সংকট তৈরি হয়েছে। তাই দ্রুত পার্বত্য চট্টগ্রামের দুর্গম এলাকায় মানুষের নিরাপত্তার জন্য সেনাক্যাম্প জরুরি প্রয়োজন। পার্বত্য চট্টগ্রামের অন্যায়-অবিচার বন্ধসহ সম বন্টন নিশ্চিতে তদারকির দায়িত্ব সেনাবাহিনীর হাতে দেওয়া হোক। পার্বত্য প্রশাসন সেনাবাহিনীর হাতে ন্যস্ত থাকলে এ অঞ্চলের সমস্যা সংকট অনেকটাই কমে যাবে। শান্তি ফিরে আসবে পাহাড়ে। বৈষম্য যে চরম আঁকারে ধারণ করেছে তা থেকেই বের হতে সেনাবাহিনীর হাতে দায়িত্ব দেওয়া গণদাবির পরিণত হয়েছে।

পার্বত্য চট্টগ্রামের সঙ্গে রয়েছে প্রতিবেশি দু’টি দেশের সীমান্ত এলাকা৷ সূত্রের তথ্য মতে ১৭৪ কিলোমিটার এলাকার কাঁটাতারের বেড়া নেই৷ উপজাতি বিচ্ছিন্নতাবাদী সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর হাতে অবাধে সীমান্ত দিয়ে আসছে ভারী অস্ত্রশস্ত্র। এসব অস্ত্র পাহাড়ের সন্ত্রাসীদের মাধ্যমে পৌছে যাচ্ছে সমতলে।

এছাড়াও সন্ত্রাসীরা এসব ভারী অস্ত্র পার্বত্য বাঙ্গালী এবং রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ব্যবহার করছে। যার ফলে দিনদিন পার্বত্য চট্টগ্রামে লাগাম হারাচ্ছে রাষ্ট্র।
তাই সেনাবাহিনীর বিকল্প পাহাড়ে অন্য কিছু চিন্তা করা রাষ্ট্র ও সার্বভৌমত্ব জন্য ক্ষতি। পার্বত্য সন্ত্রাসবাদ দমনে সেনাবাহিনীকে স্বাধীনভাবে কাজ করতে দেওয়া হোক।

আগের পোস্টমানবেতর জীবনযাপন করা বাঙ্গালীদের মধ্যে কর্মমুখী পরিকল্পনাই মুখে হাসি ফুটাতে পারে।
পরের পোস্টগুচ্ছগ্রামে বাংগালী পরিবারগুলোর অর্থনীতিক চালিকা শক্তির মূল উৎস পাহাড় হতে ‘লাকড়ি সংগ্রহ’!

রিপ্লাই দিন

আপনার কমেন্ট লিখুন
আপনার নাম লিখুন