রাঙামাটিতে পিসিসিপি’র এসএসসি পরিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ।

0

পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ (পিসিসিপি) রাঙামাটি পৌর কমিটির উদ্যােগে এসএসসি ও সমমানের পরিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ উপলক্ষে আলোচনা সভা ২৯ এপ্রিল শনিবার সকাল ১০.০০ টায় রাঙামাটি শহরের কাঠালতলী এলাকাস্থ ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার ইনস্টিটিউট হল রুমে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

উক্ত অনুষ্ঠান পিসিসিপি রাঙামাটি পৌর কমিটির সভাপতি পারভেজ মোশারফ হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ (পিসিসিপি) রাঙামাটি জেলা সভাপতি মোঃ হাবীব আজম, বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ রাঙামাটি জেলা কমিটির ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম, পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ রাঙামাটি জেলা সাধারণ সম্পাদক মোঃ তাজুল ইসলাম, আরো বক্তব্য রাখেন, রাঙামাটি সরকারি কলেজ শাখার আহ্বায়ক মোঃ শহিদুল ইসলাম, পৌর কমিটির সহ-সভাপতি মোঃ রিয়াজ, পৌর কমিটির সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম রনি, সাংগঠনিক সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম বাবু প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে স্মরণাতিতকাল যাবত বসবাসরত বাঙালি জনগোষ্ঠী শিক্ষাক্ষেত্রে ক্রমশ পিছিয়ে পড়ছে। আবহমানকাল ধরে বাঙালিদের প্রতি উদাসীনতা, আঞ্চলিক রাজনৈতিক দলের বৈরীতা, চরম শিক্ষা বৈষম্য, অসহনীয় দারিদ্রতার কষাঘাতে জর্জরিত বাঙালিরা উঠে আসতে পারছে না। অপরদিকে শিক্ষা সম্প্রসারণে সরকারের সকল সুযোগ সুবিধা ভোগ করছে উপজাতীয়রা। তাদের জন্য কোটা ব্যবস্থা চালু আছে এবং চাকুরী কর্মসংস্থান সৃষ্টির সকল পথ উন্মুক্ত করা হয়েছে। ফলে সব দিক থেকে উঠে আসছে শুধুমাত্র উপজাতীয়রা। মূল স্রোতধারার অধিবাসীদের পেছনে ফেলে বাংলাদেশ তথা পার্বত্য চট্টগ্রামের অভিবাসী উপজাতীয় জনগোষ্ঠীর এরূপ এগিয়ে যাওয়ার নজীর বিশ্বে বিরল।

বক্তারা আরো বলেন, উপজাতীয় জনগোষ্ঠির জন্য চাকুরী ও উচ্চ শিক্ষার ক্ষেত্রে বিশেষ সুযোগ সুবিধা সৃষ্টি করা হয়েছিল তা অব্যাহত রাখা হয়েছে। অথচ বাঙালিদের জন্য এইরকম কোন বিশেষ সুযোগ সুবিধা রাখা হয়নি। পার্বত্য চট্টগ্রামে যে সব বাঙালি বসবাস করে তাদের শতকরা ৯৫ ভাগ রয়েছে দারিদ্র সীমার নীচে। লেখাপড়ার ক্ষেত্রে বাঙালিরাই সবচেয়ে বেশি অনগ্রসর। বর্তমানে পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতীদের স্বাক্ষরতার হার ৮৭% আর বাঙালিদের স্বাক্ষরতার হার ২৭%।
তাই পাহাড়ে বাঙালিদের সাথে সকল বৈষম্য দূর করে সকল ক্ষেত্রে সাংবিধানিকভাবে সমান অধিকার দেওয়ার দাবি জানান বক্তারা।

আলোচনা সভা শেষে এক শতাধিক পরিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করা হয়।

আগের পোস্টপানছড়ি এক রক্তাক্ত প্রান্তর- ফিরে দেখা ২৯ এপ্রিল ১৯৮৬
পরের পোস্টমানবেতর জীবনযাপন করা বাঙ্গালীদের মধ্যে কর্মমুখী পরিকল্পনাই মুখে হাসি ফুটাতে পারে।

রিপ্লাই দিন

আপনার কমেন্ট লিখুন
আপনার নাম লিখুন