আঞ্চলিক সন্ত্রাসী সংগঠনের সঙ্গে মীরজাফর প্রকৃতির বাঙ্গালী সম্পৃক্ত রয়েছে।

0

একটি গোপন সূত্রের তথ্য মতে জানা গেছে পার্বত্য চট্টগ্রামের দুইটি বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র সন্ত্রাসী গোষ্ঠী United people democratic Front (UPDF) ও পার্বত্য চট্টগ্রাম জন সংহতি সমিতি (পিসিজেএসএস)-এর সদস্যের মধ্যে সরাসরি সম্পৃক্ত ২১৭ জন রয়েছে বাঙালি। এরমধ্যে পার্বত্যাঞ্চল থেকে রয়েছে ১০৩ জন, বাকী ১১৪ জন সমতলের বিভিন্ন জেলা হতে। গোপনে প্রকাশ্যে সহযোগিতা করে এমন বাঙ্গালী রয়েছে প্রায় ৪৭০ জনের মত।
পার্বত্য চট্টগ্রামের ২৫ টি উপজেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি সরাসরি সম্পৃক্ত রয়েছে বাঘাইছড়ি হতে। এই উপজেলা হতে রয়েছে ১২ জন, লামা হতে রয়েছে ৯ জন, দীঘিনালা হতে রয়েছে ৮ জন, মাটিরাঙা হতে রয়েছে ৭ জন, বান্দরবান সদর থেকে রয়েছে ৭ জন, রামগড় হতে রয়েছে ৭ জন, রাঙামাটি সদর থেকে ৭ জন, কাউখালী হতে রয়েছে ৫ জন, খাগড়াছড়ি সদর হতে রয়েছে ৫ জন, লংগদু হতে ৪ জন, নাইক্ষ্যংছড়ি হতে রয়েছে ৪ জন, রুমা থেকে রয়েছে ৪ জন, গুইমারা হতে রয়েছে ৩ জন, আলিকদম থেকে রয়েছে ৩ জন, নানিয়াচর হতে রয়েছে ৩ জন, মহালছড়ি হতে রয়েছে ৩ জন, কাপ্তাই হতে রয়েছে ৩ জন, থানচি থেকে রয়েছে ২ জন, বিলাইছড়ি হতে রয়েছে ১ জন, রাজস্থলী হতে রয়েছে ১ জন, লক্ষীছড়ি হতে রয়েছে ১ জন, বরকল হতে রয়েছে ১ জন, জুরাছড়ি হতে রয়েছে ১জন, পানছড়ি হতে রয়েছে ১ জন, বাইশাড়ি হতে রয়েছে ১ জন।

সমতলের বিভিন্ন জেলার মধ্যে শুধু চট্টগ্রাম জেলা হতে রয়েছে ৯৩ জন। এই ৯৩ জনের মধ্যে অধিকাংশ রাঙ্গুনিয়া, চন্দনাইশ, রাউজান ও ফটিকছড়ি উপজেলা হতে।

পুলিশ ও আনসার বাহিনীর বিভিন্ন অবসরপ্রাপ্ত সদস্যরাও ইউপিডিএফ-জেএসএস সন্ত্রাসীদের অস্ত্র প্রশিক্ষক হিসেবে রয়েছে বলে সূত্রের তথ্য মতে জানা গেছে৷

এসব মীরজাফর প্রকৃতির বাঙ্গালীরা রাষ্ট্র ও জাতির সঙ্গে ধৃষ্টতা প্রদর্শন করে আঞ্চলিক সন্ত্রাসী সংগঠনে যোগদান করে বিশ্বাসঘাতক করেছে। রাষ্ট্রের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতক করা এসব বাঙ্গালীরা জনসমক্ষে না এসে পাহাড়ের গহীনে আঞ্চলিক দলের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে। এছাড়া অনেক গোপনে প্রকাশ্যে সম্পৃক্ত।

ইউপিডিএফ এর একটি সূত্র জানান, “একটি সশস্ত্র সংগঠন পরিচালক করতে বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। বিভিন্ন কলা কৌশল, অভিজ্ঞতা, প্রশিক্ষণ, যোগাযোগ, আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর তথ্য আদান-প্রদান, এবং নানাবিধ সহযোগিতার জন্য বাঙ্গালীদের প্রয়োজনীয়তা অবশ্যই রয়েছে৷ তাই আমরা বাঙ্গালীদের সংগঠন রেখেছি৷ বাঙ্গালীদের সহযোগিতা ছাড়া সংগঠন গতিশীল করা কোনভাবেই সম্ভব নয়। এসব বাঙ্গালীদের বেতন ভাতা সহ ব্যবসায়ীক সুযোগ-সুবিধা প্রদান করা হয়।”

আঞ্চলিক সংগঠনে বাঙ্গালী যুক্ত থাকা ব্যক্তিদের পরিচয় সম্পর্কে জানতে চাইলে তা প্রকাশে অপারগতা প্রকাশ করে সূত্রটি।

বেইমান মীরজাফর এই বাঙ্গালীরা রাষ্ট্রের সাথে বিশ্বাসঘাতক করেছে। তাদের মত বাঙ্গালী দালালদের কারণে পার্বত্য চট্টগ্রামের সন্ত্রাসবাদ বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং এ অঞ্চলে বাঙ্গালীরা নির্যাতনের পাশাপাশি মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে৷

আগের পোস্টলংগদুতে আবারো পরিত্যক্ত পুলিশ ক্যাম্পের জায়গা দখলের চেষ্টা।
পরের পোস্টআদিবাসীদের অধিকার সংক্রান্ত জাতিসংঘের ঘোষণাপত্র; বাংলাদেশের অবস্থান ও ক্ষতিকর প্রভাব।

রিপ্লাই দিন

আপনার কমেন্ট লিখুন
আপনার নাম লিখুন