একজন তথ্য প্রচারকারী বা বিশ্বাসঘাতক রাষ্ট্রের সবচেয়ে জগণ্য ব্যক্তি, একজন বিশ্বাসঘাতকের তথ্য যা ঘটবে তার মূল দোষী হিসাবে তাকে বিচারের আওতায় আনা হয়। এবং মূল দোষী হিসাবে তাকে বিচারের মুখে দাড়াতে হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে লোঙা খুমী একজন রাষ্ট্রদ্রোহী ও বিশ্বাসঘাতক। সে দীর্ঘ সময় সাংবাদিক সেজে দেশের নিরাপত্তা বাহিনীর ও প্রশাসনের বিভিন্ন তথ্য প্রচার করে আসছে। যার ফলে নিরাপত্তা বাহিনীর দায়িত্ব পালনে বিভিন্নভাবে সমেস্যা হচ্ছে।
সাংবাদিক, লোঙা খুমীর পরিচয় সম্পর্কে জানা যায়, তার পিতার নাম ঙাচা খুমী, কুলাইন পাড়া
(বগামুখ এলাকা) রুমা ইউনিয়নের বাসিন্দা। বর্তমানে থাকছেন রুমা সদরের গীর্জা পাড়ায়।
পেশাগত বিষয়ে জানা যায়-
প্রতিনিধি কুকিচিন ইন্টেলিজেন্স উইং, রুমা উপজেলা, (আনুমানিক ২ বছর যাবৎ) এবং রুমা প্রেসক্লাবের সদস্য না হয়েও তিনি প্রেসক্লাবে আসা যাওয়া করতেন।
আরো জানা যায়, রুমা খাল হতে অবৈধ পাথর ও বালু উত্তোলন কারী ও ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিতি বিদ্যমান।
রুমা এলাকার বিশিষ্ট চাউল / বালু ব্যবসায়ী পণ লাল চক্রবর্তী তাঁর অন্যতম ব্যবসায়িক অংশীদার।
এছাড়া ও ৫-৬ বছর পুর্বে সে মুরং বাজার এলাকায় পল্লীডাক্তার/ কোয়াক ডাক্তার ছিলেন।
প্রায় ৫-৬ বছর ধরে রুমা গীর্জা পাড়ায় বাড়ি নির্মান করে বসবাস করছে।
সাংগঠনিক বিষয়ে জানা যায়-
কেএনএফ প্রধান নাথান লনচেও বমের সাথে যৌথভাবে যুক্ত থেকে ২০০৮ সালে রুমা ইডেন রোডে KNDO কুকি- চিন ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন নামে সমাজকল্যাণ মুলক প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন। এই সংগঠনের আঁড়ালেই পরবর্তীতে কেএনএফ/ কেএনএ সংগঠন গঠিত হয়।
বিগত ১০ নভেম্বর ২০১৩ খ্রিস্টাব্দে কেএনডিও অফিস উদ্বোধনকালে বর্ণিত লোঙা খুমী অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন এবং বম ও খুমী জাতিসত্তার উন্নয়নে বিভিন্ন দাবি তুলে ধরেন। এসময কেএনএফ প্রধান নাথান লনচেও বমসহ সংশ্লিস্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
তাঁর ছোট ভাই এ্যাংচাই খুমী কেএনএফ – এর সক্রিয় সদস্য বলে জানা যায়।
গত বছরের অক্টোবরের এ কম্বিং অপারেশন পরিচালনা কালে বান্দরবান রিজিন কমান্ডার স্থানীয় সকল গণ্যমান্য ব্যক্তিদের ডেকে সন্ত্রাসীদের আসল অবস্থান সম্পর্কে জানার জন্য সকলের সহযোগিতা চাওয়া হয়। তখন লোঙা খুমী সাংবাদিক হিসেবে সে অনুষ্ঠানে অংশ গ্রহণ করেন।
কুকি চিনদের পক্ষে
পরদিন, সে ফেসবুকে স্যাটাটাস দিয়ে বলেন,
চাপাচাপি করে শান্তি প্রতিষ্ঠা করা যাবে না। তার বিষয়ে তথ্যে উঠে আসে লোঙা খুমী অত্যন্ত ধুর্ত প্রকৃতির লোক হিসেবে এলাকায় পরিচিত।
গত ২৫ এপ্রিল ২০২৩ খ্রিস্টাব্দে মুলফি পাড়া অভিযান কালে ভয়ে কোন সাংবাদিক গমনাগমন না করলেও সে স্বপ্রণোদিত ও অতি উৎসাহী হয়ে রুমা- মুন্নাম পাড়া সড়ক, আর্থাপাড়া, বাসত্লাং পাড়াসহ বম অধ্যুষিত এলাকায মটর সাইকেল যোগে গমনাগমন করে। বিষয়টি যথেষ্ট সন্দেহজনক ছিলো।
বম যুবকদের সেনা অভিযানের বিরুদ্ধে মোটিভেশান, সেনাবাহিনী ও নিরাপত্তা বাহিনীর টহলের তথ্য /গাইড করেন বলেও এলাকায় জানা যায়।
এছাড়া সুংসুং পাড়া অভিযানে সেনা কর্মকর্তা ও সৈনিক হতাহতের দিনও ২ টা কিংবা ৩ ঘটিকায় ব্যবসার অজুহাতে মটর সাইকেল যোগে রুমা- মুনলাই পাড়া- বগালেক পাড়া সড়কে গমনাগমন করে বম যুবকদের মোটিভেশান করে বলে জানা যায়।
কেএনএফ- এর কাছে অর্থ, রসদ, তথ্য পাঠাতে সে সমন্বয় করে বলে এলাকায় ব্যাপক জনশ্রতি বিদ্যমান রয়েছে।
সে অজ্ঞাত নামা একাধিক অনলাইন পত্রিকায় লেখালেখি করে এবং তথ্য প্রেরণ করে বলেও জানা যায়।
উপরোক্ত অভিযোগের প্রেক্ষিতে কেএনএফের সোর্স সন্দেহে সেনাবাহিনী কর্তৃক তাকে অদ্য ১৯ মে আটক করা হয়।
রুমা উপজেলার রুমা বাজার হতে লোঙ্গা খুমী কেএনএফের সোর্স সন্দেহে, সিনিঃ ওয়াঃ অফিসার সিরাজুল ইসলাম (২৮ বীর) এর নের্তৃত্বে আটক করে রুমা থানায় হস্তান্তর করা হয়।
সাংবাদিক লোঙ্গা খুমী দীর্ঘদিন যাবৎ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কেএনএফ কে সাপোর্ট করে তাদের পেইজে লাইক,কমেন্টস করে আসছিল,সে কেএনএফের পুর্বসংগঠন কেএনডিইউ এর একজন সদস্য হিসাবে সক্রিয় ছিল।
রুমা থানার মামলা নাম্বার ১ও ৩ নং মামলায় উক্ত সাংবাদিক কে গ্রেফতার দেখিয়ে আজই বান্দরবান কোর্টে প্রেরণ হয়েছে।
উক্ত সাংবাদিক ৬ টি জাতী,খুমি, খিয়াং,লুসাই, ম্রো,তঞ্চগ্যা, পাংখোয়া উপজাতিদের বিভিন্ন ভাবে অধিকার আদায়ের কথা বলে সর্বদা কেএনএফের সাথে একত্ততা প্রকাশ করে আসছিল।
এমন রাষ্ট্র বিরোধী সাংবাদিকের শাস্তি কী হওয়া উচিত? সাংবাদিকতার আড়ালে লোঙা খুমী কেএনএফ’র নিকট তথ্য প্রচার করে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। তারজন্য তো অবশ্যই তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলা হওয়া উচিত। এধরণের বিশ্বাসঘাতক সাংবাদিককে জনতা জনতার কাতারে পেলে অবশ্যই সমুচিত জবাব দিতো।