কী অপরাধ সমতল ভূমির বাঙ্গালী সড়ক নির্মাণ শ্রমিকদের; যার কারণে তাদের হত্যা করতেই হবে?

0

অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের সম্প্রীতির বান্দরবান আজ সন্ত্রাসীদের থাবায় অশান্ত। চলতি বছরে ৩ জন সেনা সদস্য হত্যাসহ নিরীহ পাহাড়ি হত্যার পাশাপাশি এবার সমতল জেলা হইতে পাহাড়িদের জীবনমান উন্নয়নের সড়ক নির্মাণের কাজ করতে এসে বিচ্ছিন্নতাবাদী সন্ত্রাসী সংগঠন কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) এর পুঁতে রাখা আইইডি বিস্ফোরণে প্রাণ দিতে হল এবং এক শ্রমিক ক্ষতবিক্ষত হল।

অদ্য (মঙ্গলবার) ২৩ মে ২০২৩ খ্রিন্টাব্দ দুপুরে বান্দরবান জেলার থানচি উপজেলার বঙ্কুপাড়া এলাকায় কেএনএফ এর পুতে রাখা আইইডি বিস্ফোরণে মো. রাশেদ নামের এক সড়ক নির্মাণ শ্রমিক নিহত হন এবং দুলাল নামের এক শ্রমিক আহত হন। নিহত ও আহত শ্রমিকের বাড়ি চট্টগ্রাম জেলার বাঁশখালী উপজেলায়।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, মঙ্গলবার সকালে নব নির্মিত সীমান্ত সড়কের পাশে বলিপাড়া ৩৮ বিজিবির একটি অস্থায়ী ক‍্যাম্প নির্মানের পরিকল্পনাধীন পাহাড়ে জঙ্গল কাটার কাজ করছিল রাশেদ ও দুলাল। এসময় হঠাৎ মাটিতে পুঁতে রাখা মাইন বিস্ফোরন হলে ঘটনাস্থলেই রাশেদ মারা যায় এবং দুলাল গুরুত্বর আহত হয়। পরে তাদের উদ্ধার করে থানচি হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। আহত দুলালকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য বান্দরবান সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।

তারা পাহাড়িদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন এবং সীমান্ত সড়ক নির্মাণের শ্রমিক হিসেবে কাজে গিয়েছে। নির্দোষ শ্রমিকদের মাইন পুঁতে রেখে হত্যা ও রক্তাক্ত করা কাপুরুষোচিত কাজ৷ এটা চরম মানবাধিকার লঙ্ঘন। সমতল ভূমির এই শ্রমিকরা কী অপরাধ করেছে যে তাদেরকে হত্যা ও ক্ষতবিক্ষত করতেই হবে? বিরোধ যদি থাকে তা পাহাড়ের বাঙ্গালীর সঙ্গে কিন্তু সমতল জেলার মানুষের সঙ্গে তো কোনপ্রকার বিরোধ নেই। কী কারণে হতদরিদ্র গরীব শ্রমিককে হত্যা করা হল? চারদিকে মানুষ নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানাচ্ছে শ্রমিক হত্যার কারণে। এই সন্ত্রাসীরা এতটাই বেপরোয়া একবার সেনাবাহিনী হত্যা করে আরেকবার সাধারণ মানুষ হত্যা করে। এটা তো সীমালঙ্ঘন। কেএনএফ সন্ত্রাসীরা রাষ্ট্রের সাথে এমন দুঃসাহস ও ধৃষ্টতা প্রদর্শন করতেছে যেটার কারণে তাদের ধ্বংস অবধারিত।

Leave A Reply

Your email address will not be published.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More