সেনাবাহিনী তে কি সব নৃগোষ্ঠীর প্রতিনিধিত্ব আছে?

0

আমি নিজের কাছেই প্রশ্নটা করি। আবার নিজেই যেন জবাবটা দেই।
আমাকে আসলেই ভাবায়। সেনাবাহিনী কি বহুত্ববাদী জাতীয়চেতনা কে ধারন করে? আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি ” কন্ঠে ধারন করে জাতীয় পতাকার চারকোনা ধরে থাকে কি সকল বর্ণের,  সকল ধর্মের সকল গোত্রের,  সকল নৃগোষ্ঠীর সব জনজাতি?
তবে আমি কেন আমার ২৩ বছরের কর্মজীবনে একটি সাঁওতাল ছেলে ( মেয়ে তো সাম্প্রতিক সংযোজন) দেখিনি সেনাবাহিনীর পোশাকে?
আমি কি কখনো দেখেছি মাথার চুল কপালে এনে ঝুটিবাধা কোন বনযোগী সৈনিক আমার পল্টনে? আমি কি কখনো কেন দেখিনি কোন মুরংকে পাহাড়ে আমার সাথে পথ চলতে? মোট ১৩ টি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর মধ্যে চাকমা মারমা ত্রিপুরা দেখেছি ( তনচংগা, গারো মনিপুরী পেয়েছি খুব কম)। তবে কুকি বর্গনামে খ্যাত কাউকে আমি সেনাবাহিনীতে দেখিনি।
একটা দিব্যি দিয়ে রাখি-এসব কিন্তু আমি বই পুথি-পত্র রেকর্ড দেখে বলছি না। থাকলে থাকতেই পারে। তবে চোখের দেখা থেকে বললাম। সেনাবাহিনীর কোন ওয়েব সাইটে বা প্রচারে বা ব্যানারে না দেখার উপরই বলছি।

কেন সকল জাতি বর্নের জনজাতির সেনাবাহিনী তে অংশগ্রহণ অতি প্রয়োজন??
আমরা যদি বৃটিশদের লক্ষ্য করি তবে দেখবো ওরা এই ভারত বর্ষকে শাসন করেছে আমাদের ভারতবর্ষ থেকে সংগৃহীত সৈনিক দ্বারা। আমরা সাহিত্যে রাজনৈতিক বর্ননায় ‘গোরা’ সৈনিক নামে গোর্খাদের নৃশংসতা ও তাদের বৃটিশ প্রভুদের প্রতি আনুগত্যের  কথা জানি।
শিখ,মারাঠা, পান্জাব,বেলুচ,সিন্ধ, গোর্খা নামে তাদের বিভিন্ন রেজিমেন্ট ছিলো।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় মনিপুরের ইম্ফলে জাপানি অগ্রযাত্রা ঠেকাতে ‘হেড হান্টার’ খ্যাত নাগা কুকি- মনিপুরী সহ বিভিন্ন উপজাতিদের উপর নির্ভর করেছে বৃটিশরা। যে কুকিরা উওর-পূর্ব ভারতে কুকি অধ্যূষিত এলাকায় বৃটিশদের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিরোধ (১৮৩২) করেছে , যারা বৃটিশদের কুকিদের ফ্রান্সের সাথে সংঘর্ষে জড়ানোর আহবানকে প্রত্যাখান করেছে, যা ইতিহাসে এ্যাংলো – কুকি (১৮১৮-১৮১৯) বিদ্রোহ নামে পরিচিত সেই কুকিরাই বৃটিশদের হয়ে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জাপানিদের বিরুদ্ধে লড়েছে।
বার্মার গহীন জংগলে তীব্র গতিতে ধাবমান জাপানিদের সরবরাহ লাইন ধ্বংস করতে কুকি-নাগাদের স্হানীয় ভৌগোলিক  জ্ঞান ও তাদের সাহসিকতা যুদ্ধের সব হিসেবকে পাল্টে দিয়েছিলো। বৃটিশ জেনারেল উলিয়াম স্লিম অর্জন করেছিলেন এক ঐতিহাসিক বিজয়। ভারতে বৃটিশ সাম্রাজ্য রক্ষা পায়।
বৃটিশ ভারতে তো বটেই অধুনা ফকল্যান্ড (১৯৮২) যুদ্ধে আর্জেন্টিনার বিরুদ্ধে চূড়ান্ত অভিযানে গোর্খা সৈনিকদের অবদানের কথা আমরা জানি।  বৃটিশদের অনুসরন করে ভারতে গোর্খা সৈনিকদের অব্যাহত উপস্থিতি ছিলো ঐতিহাসিক ও অপরিহার্য। গোর্খারা লাদাহকে ভারতের বিরুদ্ধে চমৎকার জবাব হতে পারে এই ভাবনায় চীনও সাম্প্রতিক সময়ে তাদের সেনাবাহিনীতে গোর্খা রেজিমেন্ট তৈরী করতে উদ্যোগ নিয়েছে ।

গোর্খাদের পাশাপাশি স্হানীয় কুকিরা পার্বত্য চট্টগ্রামে ফ্রন্টিয়ার ফোর্স হিসাবে কাজ করেছে। এক সময় চাকমা রানী কালিন্দীর নিজস্ব ফোর্স ছিলো। তারা বৃটিশদের হয়ে কুকিদের বিরুদ্ধে লড়েছে।
ঠিক উল্টো চিএ হয় ১৮৫৯ সালের দিকে। গ্রেট কুকি ইনভেশন বলে পরিচিত কুকিদের আক্রমণ থেকে চাকমা গ্রামগুলোকে রক্ষা করতে বৃটিশরা অভিযানে নামে।
একই কুকি জাতি ফ্রন্টিয়ার ফোর্স হিসাবে রাঙামাটিতেও তৎকালীন বৃটিশ অধিকর্তাদের সেবা দিয়েছেন।
এসব না হয় বৃটিশদের সাম্রাজ্য রক্ষা বা তা বিস্তৃতির উপাখ্যান।
স্বাধীন বাংলাদেশের সেনাবাহিনী সংগঠনের শুরু থেকে জেলা কোঠা ভিত্তিতে ও কিছু সুনির্দিষ্ট ” ক্রাইটেরিয়া বা যোগ্যতার মাপকাঠিতে সৈনিক নিয়োগ হয়ে আসছে। বর্তমানে শিক্ষার মান ও হার বৃদ্ধি পাওয়ায় ‘সাধারণ সৈনিক’ পদে নিয়োগেই নূন্যতম যোগ্যতা এসএসসি পাশ করা হয়েছে।  এতে আগে থেকেই পিছিয়ে পড়া ক্ষুদ্রতর নৃগোষ্ঠীর মধ্যে আরো অতি ক্ষুদ্রতম কারো পক্ষেই বোধহয় স্হান করে নেওয়া সম্ভব নয়। আমি ব্যক্তিপর্যায়ে এক অনুসন্ধানে (২০০৪-২০০৬) পানছড়ির এক বিস্মৃত গোষ্ঠী সাওঁতালদের মধ্যে থেকে কাউকে সেনাবাহিনীতে নেওয়া যায় কিনা তার একটা চেষ্টা চালিয়েছিলাম। এ যেন বামুন হয়ে চাঁদের দিকে হাত বাড়ানোর মত। ৩০০ ‘র মত অতি ক্ষুদ্র এই গোষ্ঠীতে কাউকে এসএসসি পাশ পাওয়া গেল না। হত দরিদ্র, নেতৃত্বহীন, অশিক্ষার অন্ধকারে ডুবে থাকা এক জাতি।
এখন  প্রশ্ন আসতেই পারে এদের কেন নিতে হবে যদি যোগ্য না হয়?
প্রথাগত যোগ্যতা যদি নাও থাকে তবুও নিতে হবে কারন ওরা সেনাবাহিনী কে প্রতিনিধিত্ব করবে তার ক্ষুদ্র সমাজে। এতো বড় একটা সেনাবাহিনীতে বিশেষ শিথিলতায় স্হান হতে পারে বনযোগী, ম্রো, খিয়াং, বম,লুসাই, পাংখো,খুমি, মুরং, সাঁওতাল, ওঁরাও, মুন্ডা গারো সহ সব অতি ক্ষুদ্রতর নৃগোষ্ঠীর।  সেনাবাহিনীর ব্যারাক হতে পারে এসব জাতির এক মিলনের (সাংস্কৃতিক ও সামরিক ঐতিহ্যের নিরিখে)  এক মেল্টিং (Melting pot) পট।

এখানে প্রশ্ন হতে পারে প্রথাগত এসব যোগ্যতার বাইরে এদের কি কোন সামরিক দক্ষতা নেই যাতারা নৃতাত্বিক ভাবে অর্জন করে?
অবশ্যই আছে এসব অরন্যজীবি মানুষ সব সময়ই শিকারের খোঁজে বের হয়ে শিকারকে নিঃশব্দে নীরবে অনুসরণ করেছে, প্রকৃতির সাথে মিশে নিজেকে আড়াল করে শিকারকে বধ করেছে। আমরা যদি পদাতিকের মূলমন্ত্রের (Be close with the enemy and destroy your enemy-শত্রুর নিকটবর্তী হও শত্রুকে ধ্বংস কর) সাথে এই শিকার মনষ্কত্বকে মিলাই তবে তো দেখি তারা প্রাকৃতিক ভাবে যোদ্ধার মনস্তত্ব নিয়েই বেড়ে উঠেছে।
সেনাবাহিনীতে এসব জনজাতির কোন পদচিহ্ন না থাকায় আমরা তাদের কাছে অচেনা, ভীতি উদ্রেককারী। পাহাড়ের আনাচে কানাচে তাদের বসবাস বলে তারা আমাদের সচারাচর দেখে অভ্যস্হ নয়। সংকোচে পলায়নপর হয় বিধায় অনভ্যস্হ সমতলের সৈনিকের নিকটও তারা অবোধ্য।  ক্ষুদ্র জনজাতির এসব মানুষের কাছে সরকারের কোন প্রতিনিধি সচারাচর পৌঁছায় না। সেনাবাহিনীতে তাদের জনজাতির কেউ থাকলে তিনি যোগাযোগ ও আদান-প্রদানের একটা মাধ্যম হতে পারতেন। সে হতে পারে তার সমাজে সেনাবাহিনীর শুভেচ্ছা দূত। সেনাবাহিনীর পোশাকে আবৃত করে সে দেশকে আরো নিবিড়ভাবে অনুভব করুক।  তা হলে জনজাতির এসব মানুষের কাছে সেনাবাহিনীও অচেনার কোন সংগঠন হয়ে থাকবে না । সেনাবাহিনীর পোশাক পরা নিজ জাতির কাউকে নিজের মাতৃভাষায় কথা বলতে দেখলে আস্হার সম্পর্ক হবে দৃঢ় – তারও ভাবনা দৃঢ় হবে এদেশ তার এই সেনাবাহিনীও তার।

আমার তাই ভাবনা কেমন হতো যদি আমাদের সেনাবাহিনীতে সীমান্ত বা ফ্রন্টিয়ার ফোর্সের মত শুধু নৃগোষ্ঠি দ্বারা সংগঠিত লাইট ইনফেন্ট্রী রেজিমেন্ট নামে আমাদের একটি স্পেশাল ইউনিট থাকতো?
তারা কেউ সাধারণ শিক্ষাগত যোগ্যতা যা সবার জন্য নির্ধারিত আছে তা কি পুরন করার মত সুযোগ ও আর্থিক সামর্থ্য রাখে? এখনো পার্বত্য চট্টগ্রামের বা দেশের অনেক এলাকায় শিক্ষার সমান সুযোগ তৈরী হয়নি। সবার আর্থিক সামর্থ্যের মধ্যেও তো তা নেই। এরকম একটা অবস্থায় আমাদের সচেতন দৃষ্টির বাইরে রয়ে গেছে ক্ষুদ্র থেকে ক্ষুদ্রতর এসব নৃগোষ্ঠির মানুষ।  আমরা তাদেরকে দেখেছি নৃগোষ্ঠীর মধ্যে “বড় ভাই” খ্যাত চাকমাদের পরানো চশমায়।
ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর জন্য সংরক্ষিত কোঠার পূর্ণ সদ্ব্যবহার করে শিক্ষায় তারা ঈর্ষনীয় (৮৬%) ধাপে উওীর্ন হয়েছে।  তার অনুজ মারমা ও ত্রিপুরা নৃগোষ্ঠীও অনুরূপ অগ্রগতি করেছে। “খ্যাংথা” নামে পরিচিত এই ত্রিগোষ্ঠী সরকারি সকল চাকুরির কোঠার মত সেনাবাহিনীতে উল্লেখযোগ্য ভাবে তাদের পদচিহ্ন রেখেছে।
অনেকেই প্রশ্ন রাখবেন, তারা তো যোগ্যতা প্রমান করেই এসেছেন??
হ্যাঁ, সে কথা ঠিক। আমরা অনগ্রসর বলে যোগ্যতার বা সংরক্ষিত আসনের যে সুবিধাটুকু তাদের জন্য রেখেছিলাম যে সমতলের বাঙালীদের থেকে তারা পিছিয়ে আছে। সেই একই কারনে আজ  সমতলের ও পাহাড়িদের একটি অংশ যারা “টংথা ” ( উচূ পাহাড়ের মানুষ) নামে পরিচিত তারা পিছিয়ে আছে তার অপর বৃহৎ জ্ঞাতি নৃগোষ্ঠীর থেকে। এটা যেন রেলে টিকেট কিনতে আসা পিছনে থাকা যাএীদের মত। তার টার্ন আসার আগেই কাউন্টারের টিকেট ফুরিয়ে যায়।
সংরক্ষিত কোটার সুবিধায় অথবা ‘একটু বেয়াড়া’ আর উচ্চকিত কন্ঠের হওয়ায় নৃগোষ্ঠীর ‘বড় দাদ’ আজ সব আপেল তার ঝুড়িতে ভরে নিচ্ছেন।

পাকিস্তানের ২৩ বৎসরের শাসনামলে বাঙালী একটি জেনারেলের পদও তার ভাগ্যে জুটাতে পারেনি। অথচ সবচেয়ে  ‘ নির্যাতিত নিপিড়ীত  অধিকার হারা’ বলে সর্বদা সমালোচনা মুখর বৃহৎ নৃগোষ্ঠির ‘বড় দাদা’রা  সেনাবাহিনীর তারকা চিন্হিত পদে (মেজর জেনারেল / ব্রিগেডিয়ার জেনারেল) উওীর্ন হয়েছেন এমন সংখ্যা অর্ধডজন । বাকী পদবীর কথা নাইবা বললাম। কোটার সর্বোচ্চ সুবিধাভোগী এসব নৃগোষ্ঠির নেতারা  দিনমান অহর্নিশ সরকারের মুন্ডুপাত করেন- “মূই হিচ্ছু ন পেই,  মূই হিচ্ছু ন পেই”( আমি কিছু পাইনি আমি কিছু পাইনি)।
তাহলে কি প্রশ্ন জাগে না,  এতো কোটা গেল কোথায়???

তাহলে ৫৬ হাজার বর্গমাইলের এই দেশের এপ্রান্ত থেকে ওপ্রান্তে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা সমতলের নৃগোষ্ঠী বা রুমা -থানচির সুউচ্চ পাহাড়ের চূড়ায় বাস করা সেই বনযোগী, সেই খুমি সেই বোম সেই  মুরং সেই খিয়াং কি বলবে??
আজ সময় এসেছে সব নৃগোষ্ঠীকে প্রতিনিধিত্ব দিয়ে ( বিদ্যমান কোটা বা অনুসৃত নীতিকে পুনর্বিবেচনায় নিয়ে)  একটা বিশেষ সামরিক ইউনিট গড়ে তোলা যেখানে সবার সমান বা যৌক্তিক অনুপাতে প্রতিনিধিত্ব থাকবে। এটা হতে পারে একটা রেইনবো ইউনিট। এখানে থাকবে  প্রচলিত যোগ্যতার মাপকাঠিকে শিথিল করে সবার অংশগ্রহণ কে নিশ্চিত করার লক্ষ্য ।
এটার নাম হতে পারে ‘স্পেশাল  বাংলাদেশ ব্যাটালিয়ন ‘ বা ‘বাংলাদেশ ফ্রন্টিয়ার্স ফোর্স’। এটা অবশ্যই হবে পদাতিকের একটি দল।
তবে অনেকেই হয়তো দ্বিমত করবেন এখনই  সর্ব অংশগ্রহণমূলক একটি স্পেশাল ইউনিটকে
“Too ambitious and too early”  বলে।
তবে সকল নৃগোষ্ঠির দৃশ্যমান অংশগ্রহণ প্রতীয়মান হয় এমন সংখ্যায় অর্থাৎ বেসিক মিলিটারি ইউনিট (সেকশন) জনবলে  তাদের কে বৃহৎ কোন ব্যাটালিয়ানের আওতায় সেনাবাহিনীতে প্রবেশের দ্বার উন্মোচন করে দেওয়া । সেনাবাহিনীতে খেলোয়াড় হিসাবে নিয়োগের ক্ষেএে নির্বাচনী যোগ্যতা  শিথিল করার রেওয়াজ আছে। যদি সেনাবাহিনীতে মুক্তিযোদ্ধার কোটা, অবসরপ্রাপ্ত সৈনিকের জন্য পোষ্য কোটা থাকতে পারে তবে বৃটিশদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ যোদ্ধা – একাওরে স্বাধীনতা যুদ্ধে সাঁওতাল -মুরং বা ক্ষুদ্র থেকে ক্ষুদ্রতরদের জন্য কেন বিশেষ সুযোগ থাকবে না??

যারা নিবিড় পরিচর্যা উওম প্রশিক্ষন ও যোগ্য নেতৃত্বের মাধ্যমে  দূর্গম পাহাড়ে বা কঠিন ভূমিতে তাদের মার্শাল কোয়ালিটি প্রদর্শন করবে।
যাদের মূলমন্ত্র হবে গোর্খাদের মতনঃ

”  Better to die than be a coward”.
প্রায় পৌনে দুলক্ষ জনবলের সেনাবাহিনীতে ৬০০ থেকে ৭০০ জনবলের একটি স্পেশাল সামরিক  (ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সমম্বয়ে) একটি ইউনিট গড়ে তোলা কি খুব অসম্ভব ব্যাপার??

লেখক: মেজর নাসিম হোসেন (অব:)
লেখক ও সামরিক বিশ্লেষক

তথ্যসূত্র
ছবি: The Chittagong Hill Tracts – Living in a Borderland.  Willem van Schendel,,

আগের পোস্টসরকারি রাস্তায় গর্ত খুঁড়ে কী ঈঙ্গিত বহন করে কেএনএফ?
পরের পোস্টবান্দরবানের চলমান সংঘর্ষ  ‘জো’ জাতীয়তাবাদ’ ও ‘জুম্মা জাতীয়তাবাদের দ্বন্ধ’??

রিপ্লাই দিন

আপনার কমেন্ট লিখুন
আপনার নাম লিখুন