পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে বাঙ্গালী শূন্য করার মহাপরিকল্পনা সে সুদূরপ্রসারী। অত্রাঞ্চলে বাঙ্গালীদের ভূমি বেদখল হচ্ছে হরহামেশাই। বিচ্ছিন্নতাবাদী উপজাতি সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলো পাহাড় থেকে বাঙ্গালী শূন্য করার জন্য হামলা, অপহরণ ও খুন-গুম এবং চাঁদাবাজি করেই বাঙ্গালীদের জনজীবন বিপদস্থ করে তুলেছে। গুচ্ছগ্রাম গুলোতে মানবেতর জীবনযাপন করা বাঙ্গালীরা একত্রেই থাকাতে সন্ত্রাসী হামলার শিকার না হলেও ক্ষুদ্র পরিসরে থাকা বাঙ্গালী গুলো সন্ত্রাসীদের প্রধান টার্গেটের পরিণত হয়েছে। পার্বত্যাঞ্চল থেকে বাঙ্গালী শূন্য করতে পারলে তাদের স্বপ্নের জুম্মল্যাণ্ড গঠনের বাধা থাকবে না। তারই ধারাবাহিকতায় সন্ত্রাসীরা ভয়ভীতি, হামলা ও খুন-গুম করে পাহাড় থেকে বাঙ্গালী বিতাড়নের ষড়যন্ত্র করছে৷ জেএসএস সন্তু ১৯৭৯ সালে পাহাড়ে বাঙ্গালী পূর্ণবাসনের বিরোধিতা করে গণহত্যা পরিচালনা করে। তাদের মত একই কায়দায় হাঁটছে ইউপিডিএফ। তারাও পাহাড়ে বাঙ্গালী বসতি মেনে নিতে পারছে না। তারই অংশ হিসেবে ইউপিডিএফ পার্বত্য চট্টগ্রামে বাঙ্গালী শূন্য করার জন্য দিবারাত্রি চোরাগোপ্তা হামলা চালাচ্ছে। এর বহিঃপ্রকাশ ঘটে উত্তর গুজাপাড়া নামক স্থানে বাঙ্গালী ১২টি পরিবারের উপর হামলার মধ্য দিয়েই। যেখানে একসময় ৭০/৮০টি বাঙ্গালী পরিবার বসবাস করতো সেখানে এখন মাত্র ১৫টি বাঙ্গালী পরিবার রয়েছে। সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়ে অধিকাংশ বাঙ্গালী পরিবার এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে। প্রতিনিধিদের পাঠানো রিপোর্ট বলছে-
“খাগড়াছড়ি জেলার রামগড় উপজেলার ২নং পাতাছড়া ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ড উত্তর গুজাপাড়া নামক এলাকায় সাম্প্রতিক সময়ে গভীর রাতে বাঙ্গালী ১২টি পরিবারের উপর প্রায় ৩০ জনের উপজাতি সন্ত্রাসী গ্রুপ কর্তৃক হামলা হয়েছে। ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) প্রসিত বিকাশ খীসার সন্ত্রাসী গ্রুপ এই হামলা করে। উপজাতি সন্ত্রাসীরা বাঙ্গালী ১২টি পরিবারের উপর হামলা করে, মহিলা ও পুরুষদের কে মারধর করে, তাদেরকে বলে প্রত্যেক পরিবার থেকে ৫ লাখ টাকা করে চাঁদা দিতে হবে তাদের নিজস্ব বসতভিটা বাড়িতে বসবাস করতে হলে। এবং তাদেরকে ৫ দিনের সময় বেঁধে দেয় বলে স্থানীয় সূত্রে জানা যায়। একসময় অত্র এলাকাতে প্রায় ৭০ থেকে ৮০ বাঙালি পরিবার বসবাস করতো কিন্তু উপজাতীয় সন্ত্রাসীদের অত্যাচারে সকলেই এলাকা ছেড়ে অন্যত্র সরে গিয়েছে।”
এখন প্রায় ১৫ টি বাঙালি পরিবার অত্র এলাকায় বসবাস করছে বলে জানা যায়। যেকোনো মুহূর্তে এই বাঙালি পরিবারগুলো ইউপিডিএফ উপজাতীয় সন্ত্রাসী কর্তৃক বড় ধরনের ক্ষতির শিকার হতে পারে বলে স্থানীয় সূত্র গুলো দাবি করছে। “প্রায় সময় এলাকার পুরুষরা তাদের বাড়িঘর ছেড়ে রাতের বেলায় মসজিদে অবস্থান করে বলে জানা যায়।” এই নিয়ে এলাকাবাসী সেনা ও পুলিশের সহযোগিতা চেয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে লিখিতভাবে জানিয়ে সহযোগিতাও চেয়েছে এলাকাবাসী।
যদি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এগিয়ে না আসে অচিরেই বাঙ্গালীরা গ্রামটি থেকে উচ্ছেদ হবে এবং এর মাধ্যমে সন্ত্রাসীরা সফলতা অর্জন করে তাদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড এবং বাঙ্গালী উচ্ছেদ কার্যক্রম বৃদ্ধি করবে।