রাজা ব্যারিষ্টার দেবাশীষ রায় একজন শিক্ষিত বিশ্বাসঘাতক।

0

কথিত রাজা ব্যারিষ্টার দেবাশীষ রায় বাংলাদেশ নামক স্বাধীন দেশের স্বাধীনতার বিরোধী। বৃটিশরা ভারতীয় উপমহাদেশসহ পার্বত্য চট্টগ্রাম ছেড়ে গেছে অন্ততপক্ষে ৭৬ বছর চলমান। তাদের অধিকাংশ রাজপ্রথা নিয়মকানুন উপমহাদেশে মাটিতে বিলুপ্ত। অথচ স্বাধীন সার্বভৌমত্ব দেশ প্রতিষ্ঠা হওয়ার পরেও দেশের পার্বত্য চট্টগ্রামে রাজপ্রথা বৃটিশ কর্তৃক প্রণিত বিতর্কিত ‘হিলট্যাক্স ম্যানুয়েল ১৯০০’ বহাল আছে। এসুযোগকে কাজে লাগিয়ে কথিত রাজা দেবাশীষ রায় তার উত্তরসূরীদের মতো পার্বত্য চট্টগ্রাম তথা বাংলাদেশ নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে বিদেশী রাষ্ট্রদূত, মিশনারী ও দ্বাতাসংস্থাগুলোর সঙ্গে কূটনীতিক তৎপরতা জোরদার করেছে। যা রাষ্ট্রদ্রোহীতার শামিল। এই রাজার রয়েছে কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি। এ টাকা আসার মূল কেন্দ্রবিন্দু হচ্ছে অবৈধ খাজনা আদায়। খাজনা প্রসঙ্গে রাজা দেবাশীষ বলেন, আমরা মূলত তিন ধরনের খাজনা আদায় করে থাকি- “জুম খাজনা পরিবার পিছু বাৎসরিক ৬ টাকা। এর মধ্যে রাজার অংশ আড়াই টাকা। বাকি অংশ পায় সরকার। জমির খাজনা করা হয় গ্রোভল্যান্ড (উঁচুভূমি) এবং ফ্রিঞ্জল্যান্ড (নিচুভূমি) থেকে। এ খাজনার মধ্যে রাজার অংশ ৪২, হেডম্যান ২৭ এবং বাকি অংশ সরকারের।”

 

রাজা খাজনা কোন আইনের ভিত্তিতে নেয়? বাংলাদেশ সংবিধানের কোথাও তো বলা নেই যে, রাজা খাজনা আদায় করবেন?? সারাদেশে খাজনা আদায় করে ভূমি অফিস ও ইউনিয়ন পরিষদ। অথচ পার্বত্য চট্টগ্রামে খাজনা আদায় করেন, অসাংবিধানিক রাজারা। পার্বত্যাঞ্চলের খেটে খাওয়া মানুষের রক্ত চুষে খায় এ রাজারা।

 

ব্যারিষ্টার দেবাশীষ রায়কে একজন সুশিক্ষিত হিসেবে জানতাম। তিনি নাকি বিলাত ফেরত ব্যারিষ্টার। তাই সবসময় শ্রদ্বার চোখে দেখছি। তার দেশ বিরোধী ও বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের কারণে জানতে পারলাম সেই একজন শিক্ষিত বিশ্বাসঘাতক। বছরে কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি অর্জন করে রাষ্ট্র বিরোধী ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে এ শিক্ষিত ব্যারিষ্টার দেবাশীষ রায়। দেশী ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রকারীদের সঙ্গে নিয়ে রাষ্ট্রের মূল ভূখণ্ড নৈসর্গিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম’ বিচ্ছিন্ন করার নীল নকশা বাস্তবায়নে কাজ করছে। তার বারবার বিদেশ সফরের উদ্দেশ্য কী আর দেশে থাকতে কেন বা বিদেশী রাষ্টদূতগণ তার সঙ্গে ঘনঘন গোপন বৈঠক করে? সেই কি রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ সরকারি কেউ?? যে, তার সঙ্গে কূটনীতিকমহল ঘনঘন বৈঠক করবেন! প্রশাসনকে না জানিয়ে বিদেশী রাষ্ট্রদূত, মিশনারী ও দাতাসংস্থার প্রতিনিধি কর্তৃক আয়োজিত সভা-সেমিনারে যোগদান একপ্রকার রাষ্ট্র বিরোধিতার সামিল। রাষ্ট্রকে না জানিয়ে জাতিসংঘের বিভিন্ন আদিবাসী ও মানবাধিকার সংক্রান্ত প্রোগ্রামে যোগদান কীসের ইঙ্গিত বহন করে? এ থেকে কী প্রমাণিত নয় যে, রাজা ব্যারিষ্টার দেবাশীষ রায় একজন দেশবিরোধী এবং শিক্ষিত বিশ্বাসঘাতক?

 

এখানে উল্লেখ্য যে, গত-২০১৬ সালে রাঙামাটি জেলার রাজস্থলী উপজেলার একটি বাড়ি হতে সেনাবাহিনী অভিযান চালিয়ে বিপুলসংখ্যক অবৈধ অস্ত্র ও গোলাবারুদসহ মায়ানমারের বিচ্ছিন্নতাবাদী সন্ত্রাসী গ্রুপ এর অন্যতম মূলহোতা ডঃ রেনিসোঁকে আটক করে। পরোক্ষণে জানা যায় রাজা দেবাশীষের সঙ্গে ড. রেনুসোঁর গভীর সম্পর্ক রয়েছে। আরো জানা যায়, পানছড়ি লৌহাং গণহত্যা নিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে অপপ্রচার ছড়িয়ে দিতে মিথ্যা ভিডিও ক্যাসেট ও ডকুমেন্টারি তৈরি করে হাঙ্গেরি যাওয়ার সময় বিমানবন্দরে পুলিশের হাতে আটক হন!

 

এদিকে তার পরিবার সম্পর্কে রয়েছে ভয়ঙ্কর সব তথ্য-

 

রাজা দেবাশীষ রায়ের পিতা হচ্ছেন একজন আত্মস্বীকৃত রাজাকার। ১৯৭১ সনে স্বাধীনতার যুদ্ধে বাংলাদেশের বিরোধিতা করে পাকিস্তানের পক্ষাবলম্বন করে যুদ্ধাপরাধ করেন । ৭২ এর রাজাকার তালিকায় তার পিতা ত্রিদিব রাজাকারের নাম রয়েছে। স্বাধীনতার যুদ্ধের পর তিনি পাকিস্তানে চলে যান৷ পাকিস্তান সরকার তাকে আর্জেন্টিনার রাষ্ট্রদূত করেন। পাকিস্তানে তাকে দেওয়া হয় আজীবন মন্ত্রীর মর্যাদা। তার মৃত্যুর পর লাশ পাকিস্তানের মাটিতে সমাধি করা হয়। এমন একজন আত্মস্বীকৃত রাজাকারের পুত্র ব্যারিষ্টার দেবাশীষ রায় কতটুকু আর বাংলাদেশ প্রেমি হবে তা ‘পর্যালোচনা’ করার দায়িত্ব পাঠকমণ্ডলীর উপর বর্তালাম।

আগের পোস্টরুমা জোন কর্তৃক শীতবস্ত্র, শিক্ষাসামগ্রী বিতরণ এবং মেডিক্যাল সহযোগিতা প্রদান।
পরের পোস্টকাউখালী থেকে ইউপিডিএফ কর্তৃক তিন আওয়ামীলীগ কর্মী অপহরণের শিকার।

রিপ্লাই দিন

আপনার কমেন্ট লিখুন
আপনার নাম লিখুন