জনরোষ টা কী সেটা কেউ টের না ফেলেও এবার কিন্তু ইউপিডিএফ প্রসীত সন্ত্রাসীরা হারে হারে টের পেয়েছে৷ গত বছরের ১১ ডিসেম্বর খাগড়াছড়ি জেলার পানছড়ি উপজেলার অনিলপাড়ায় ইউপিডিএফ সহযোগী অঙ্গসংগঠনের বিপুল চাকমা, সুনীল ত্রিপুরা, লিটন চাকমা ও রুহিন ত্রিপুরা হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়।
হত্যাকাণ্ডে শিকার হওয়া ব্যক্তিরা একাধিক মামলার আসামী ছিল। ধারণা করা হয় অভ্যন্তরীণ কোন্দল বা প্রতিপক্ষ সন্ত্রাসী গ্রুপের হাতে নিহত হন।
নিহতের পর থেকে ইউপিডিএফ প্রসিত সন্ত্রাসীরা দফায় দফায় পানছড়ি বাজার বয়কটের ডাক দেয়। বয়কটের ডাক দিলেও কার্যত লাভ হয়নি৷ স্থানীয় পাহাড়ি-বাঙ্গালী তাদের আহ্বানে সাড়া দেয়নি। উল্টো জনরোষে পড়ে বাজার বয়কট প্রত্যাহার করে।
ইউপিডিএফ প্রসিতদের আত্মগোপনে থাকা নিরন চাকমা বাজার বয়কটের সত্যতা নিশ্চিত করেছে৷
এলাকাবাসীরা জানায়, ইউপিডিএফ জনগণকে যতটা বোকাভাবে জনগণ ততটা বোকা নয়। বরং জনগণ ইউপিডিএফ এর ভাঁওতাবাজি বুঝে গেছে৷ কেউ এখন ইউপিডিএফ এর কথা শুনতে বাধ্য নয়। ইউপিডিএফ এর বন্দুকের নলের বিরুদ্ধে মানুষ প্রতিবাদ করা শুরু করেছে। পানছড়ি বাসী ঘোষণা দিয়েছে ইউপিডিএফ যদি বাজার বয়কট প্রত্যাহার না করে যেখানে ইউপিডিএফকে পাওয়া যাবে সেখানে ধরেই গণধোলাই দিয়ে প্রশাসনের নিকট হস্তান্তর করবে। তাই ইউপিডিএফ এক প্রকার জনরোষে পড়ে বাজার বয়কট প্রত্যাহার করে।