দেশান্তরি এবং গৃহহীন হওয়া কিছু বম জনগোষ্ঠীকে পূঁজি করেছে জেএসএস।

0

দেশান্তরি এবং গৃহহীন হওয়া কিছু বম জনগোষ্ঠীকে পূঁজি করে জেএসএস নোংরা খেলায় মেতেছে!

স্বজাতি সন্ত্রাসীদের বিতাড়নে দেশান্তরি এবং গৃহহীন হওয়া কিছু বম জনগোষ্ঠীকে পূঁজি করে জেএসএস নোংরা খেলায় মেতেছে!

অদ্য ৩১ জানুয়ারী, জেএসএস নিয়ন্ত্রিত hillvoice এর প্রকাশিত বম জনগোষ্ঠী সম্পর্কিত একটি সংবাদ মনোযোগ সহকারে পড়ার চেষ্টা করলাম। কিছু অংশ পড়ার পর মনে খটকা লাগলো! অনলাইনে কতজনে কতকিছু লিখে সব যে সত্য বা মিথ্যা তা কিন্তু নয়। প্রয়োজনীয় সত্য জানার আগ্রহ থেকে স্থানীয় বম জনগোষ্ঠীর নেতৃত্ব্শ্রেণী- হেডম্যান, কার্বারী ও মান্যগণ্য, ব্যক্তিবর্গ যারাই আছেন তাদের সঙ্গে বিষয়টির সত্যতা নিয়ে কথা বললাম। এর মধ্যে রুমা ও থানচি এবং রোয়াংছড়ির বম জনগোষ্ঠীর প্রথমসারির ব্যক্তিদের সঙ্গেও কথা হয়েছে। তারা বললো “আমাদের বম জনগোষ্ঠীর উপর এই পর্যন্ত রাষ্ট্র এবং সেনাবাহিনী কোনপ্রকার নির্যাতন- নিপীড়ন কিংবা চাপ প্রয়োগ করেনি। সেনাবাহিনী সবসময় আমাদের কল্যাণে কাজ করেছে। আমাদের আপদ-বিপদে সর্বপ্রথম সেনাবাহিনী এগিয়ে আসে। দুর্গম পাহাড়ে আমাদের বন্ধু একমাত্র সেনাবাহিনী। জেএসএস সন্তু গ্রুপ নির্লজ্জ মিথ্যাচার করেছে জনমতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারে তৎপর। তারজন্যেই এমন মিথ্যাচার রটিয়েছে। এটা তাদের হীন রাজনৈতিক প্রচেষ্ঠার অংশ। আমরা পাহাড়ে সেনাবাহিনী আছে বিধায়ী শান্তিতে ঘুমাতে পারছি, আমাদের জীবনমান পরিবর্তনে সেনাবাহিনীর ভূমিকা প্রশংসনীয়।
জেএসএস আমাদের নিরীহ বমসহ কুকি সম্প্রদায়ভুক্ত ৬টি জনগোষ্ঠী থেকে এতবছর ধরে চাঁদা নিয়ে আমাদের শোষণ করেছে৷ আমরা বর্তমানে জেএসএস এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সোচ্চার। শুধু জেএসএস নয় কুকি জনগোষ্ঠীর নাম দিয়ে চাঁদাবাজি, অপহরণ ও খুন-গুম করা কেএনএফ এর ব্যাপারেও আমরা সোচ্চার। আমরা পাহাড়ে শান্তি চায়।”

বান্দরবানের দুর্গম এলাকায় গত ২০২২ সালের অক্টোবর থেকে জঙ্গি গোষ্ঠীর সঙ্গে সম্পৃক্ততা এবং বিচ্ছিন্নতাবাদ কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকায় কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট বা কেএনএফ এর বিরুদ্ধে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী অভিযানে নামে। এই অভিযান থেকে রক্ষা পেতে সাধারণ কুকি জনগোষ্ঠীভুক্ত ৬টি জাতির মানুষকে মানবঢাল হিসেবে ব্যবহার করে কেএনএফ। সন্ত্রাসীদের ভয়ভীতি, চাঁদাবাজি ও অস্ত্রবাজিতে গৃহহীন ও দেশান্তরি হয় প্রায় দুই শতাধিক বম পরিবার৷ পরবর্তীতে তাদের একটি অংশকে আশ্রয় নিরাপত্তা ও খাওয়া-দাওয়া, চিকিৎসা নিশ্চিত করে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। পরবর্তী তাদের মধ্যে অনেকেই গ্রামে ফিরে আসলেও কেএনএফ এবং জেএসএস এর ভয়ে অনেকেই গ্রামে বা গৃহে ফিরে আসেনি। মূলত তাদেরকে পুঁজি করে স্বার্থ হাসিলের জন্য তাদেরকে গ্রামে ফিরে আসতে দেয়নি তারা।

এখন এই মানুষগুলোকে পুঁজি করেই নোংরা খেলায় মেতেছে বর্ণিত সন্ত্রাসী গোষ্ঠী এবং তাদের পরিচালিত হিল ভয়েস। পার্বত্য চট্টগ্রামে তিলকে তাল বানানো কাজ জেএসএস, ইউপিডিএফসহ আঞ্চলিক সন্ত্রাসী দলগুলোর। পার্বত্যবাসী জানে পাহাড়ে অরাজকতা তৈরি করতে মরিয়া সন্ত্রাসীরা। তাই তারা তাদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের জন্য বাধা হয়ে দাঁড়ানো সেনাবাহিনীকে বিতর্কিত করতে নিত্য নতুন অপপ্রচার ও গুজবে লিপ্ত হয়।

আগের পোস্টচাঁদাবাজির প্রধান উৎস অবৈধ কাঠ বন্ধ করে দেওয়াই সেনাদের বিরুদ্ধে পরিকল্পিত অপপ্রচার!
পরের পোস্টরামগড় থেকে শান্তি পরিবহনের বাঙ্গালী চালককে অপহরণের খবর পাওয়া গেছে!

রিপ্লাই দিন

আপনার কমেন্ট লিখুন
আপনার নাম লিখুন