অদ্য (রোববার) ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ বিকাল তিন ঘটিকার সময় সাজেকে পার্বত্য চুক্তি পক্ষ পার্বত্য চট্টগ্রাম জন সংহতি সমিতি (জেএসএস) ও চুক্তি বিরোধী পক্ষ ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) মধ্যকার দেড় ঘন্টা ব্যাপী প্রায় তিন শতাধিক রাউন্ড গুলিবিনিময়ের ঘটনা ঘটে৷
রাঙ্গামাটি জেলার বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক ইউনিয়নের গন্ডারামছড়া এলাকায় এই গোলাগুলির ঘটনা ঘটে৷ ঘটনার পর পুরো এলাকার মানুষদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়। এসময় রোমিও ত্রিপুরা নামে ৭ বছরের এক শিশু গুলিবিদ্ধ হয়েছে। রোমিও ত্রিপুরা গণ্ডারামছড়া এলাকার ফবেন ত্রিপুরার ছেলে। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে সাজেক রুইলুই অস্থায়ী হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
এই থেকে অনুমেয় ইউপিডিএফ জেএসএস এর কাছে স্বজাতি ও নিষ্পাপ শিশুরা নিরাপদ নয়। পার্বত্য চট্টগ্রামের উপজাতিদের অধিকার আদায়ের সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে তারা অস্ত্রবাজি, খুন-গুম, চাঁদাবাজি ও অপহরণ বাণিজ্য করার মধ্য দিয়ে এ অঞ্চলে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করছে। মূলত চাঁদাবাজির টাকা ভাগাভাগি ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে তাদের মধ্যে এই বিরোধ ও ভয়ঙ্কর সংঘাত তৈরি হয়৷ যার বলি হয় সাধারণ পাহাড়ি বাঙ্গালীরা।
বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবউদ্দিন তিন দিনের অবকাশ যাপনে বর্তমানে সাজেকের পর্যাটন কেন্দ্রে অবস্থান করছেন। সাজেকসহ আশপাশের এলাকায় বর্তমানে নিরাপত্তা চাদরে ঢেকে আছে। ছিদ্রহীন নিরাপত্তার মধ্যেও সশস্ত্র বিচ্ছিন্নতাবাদী উক্ত দুই সংগঠনের ভয়ঙ্কর গোলাগুলিতে স্থানীয়রা হতবাক হয়েছে এবং তাদের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
সন্ত্রাসী গোষ্ঠী দু’টি কতটা শক্তিসঞ্চারণ করলে রাষ্ট্রপতির উপস্থিতিতে ৩০০ রাউন্ডের মত গোলাগুলি করতে পারে এবং পুরো এলাকার মানুষকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করতে পারে? সন্ত্রাসীদের এই গোলাগুলি প্রদর্শন থেকে বুঝা যায় তারা রাষ্ট্রের সঙ্গে ধৃষ্টতা করছে।
রাষ্ট্রের উচিত হবে দেশদ্রোহী বিচ্ছিন্নতাবাদী ইউপিডিএফ ও জেএসএসের শিকড় উপড়ে ফেলা। এরা রাষ্ট্র ও নাগরিকদের জন্য হুমকিস্বরুপ।