ভুঁইফোড় লেখকের মিথ্যা কলামে ছয়লাব মানবকন্ঠ পত্রিকা; প্রসঙ্গ উপজাতি কোটায় বাঙ্গালী ভর্তি!

0

মারুফ হাসান ভূঞা নামক একজন ভুঁইফোড় লেখকের একটি মিথ্যা কলাম প্রকাশ করে পত্রিকার গ্রহণ যোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

মারুফ হাসান ভূঞা লেখক প্রাবন্ধিক ও কলামিস্ট। এই ভদ্র লোককে কোনভাবেই আমার সুস্থ মস্তিষ্কের বা রুচিশীল বা বিবেকবান মানুষ মনে হয়নি। চাটুকারিতা যখন মানুষের পেশা হয় তখন প্রকৃত সত্য ও নির্যাতন-নিপীড়ন দামাচাপা পড়ে যায়।

গত কয়েকদিন ধরে কিছু পত্রপত্রিকা সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে উপজাতি কোটায় নির্বাচিত হয়েছে বাঙ্গালী শিক্ষার্থীরা। এমন সংবাদ প্রকাশিত হয়। সংবাদে কোথাও নেতিবাচক প্রভাব বা তেমন মিথ্যা ও মনগড়া তথ্য পরিলক্ষিত হয়নি। কিন্তু অদ্য ২০ ফেব্রুয়ারী মানবকন্ঠ পত্রিকার অনলাইন ভার্সন ও প্রিন্ট ভার্সনে ‘ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর কোটা ব্যবহার করছে কারা’ মারুফ হাসান ভূঞা কর্তৃক প্রকাশিত লেখাটি দৃষ্টিগোচর হয়। লেখাটি পড়ে কোন সুস্থ লোক এই লেখককে বাহবা দিবেনা বরং তার চাটুকারিতা আর মিথ্যা তথ্য দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করার প্রচেষ্ঠার জন্য থুতু নিক্ষেপ করবে৷ জানি না এই ভদ্র লেখকের ঠিকানা কোথায়৷ তার জন্ম, বেড়ে ওঠা বা পরিবার নিয়ে মন্তব্য করতে চায়না শুধু বলতে চায় তার মত মীরজাফর ও মিথ্যাবাদী বাংলার মাটিতে যুগে যুগে ছিল এখনো বিদ্যমান। এদের বাঙ্গালী বিরোধী ধারণা ও জাত বিরোধী কথাবার্তা কখনো বাঙ্গালীর হৃদয়কে চুরমার করতে পারেনি। বরং বাঙ্গালী হৃদয় দৃঢ় ও মজবুত হয়েছে এদের প্রতিহত করতে।

মারুফ হাসান ভূঞা লেখাটির কিছু অংশ হুবহু তুলে ধরা হল- ” পাহাড়ে জনগোষ্ঠীর ওপর সাম্প্রদায়িক নির্যাতন, নিপীড়ন করা সেটেলার বাঙালির বসবাস পাহাড়কে আরো অশান্ত করে তুলছে। পাহাড়ে সেটেলার বাঙালিদের স্থানান্তর সম্পূর্ণ অগণতান্ত্রিকভাবে হয়েছিল। পার্বত্য চট্টগ্রাম শাসন ১৯০০ খি. আইনে ১৯২০ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত সমতলের বাঙালিদের এই অঞ্চলে জমি কেনা-বেচা বৈধ ছিল। সে প্রক্রিয়ায় সমতলের বাঙালিদের জমি চাষাবাদের জন্য পাহাড়ে এনেছিলো পাহাড়ি জনগোষ্ঠী। পরবর্তীতে জমি চাষ ও বসবাসের জন্য পাহাড়ি জনগোষ্ঠীকে নানাভাবে প্রভাবিত, নির্যাতিত করে জমি ক্রয় ও দখল করেন। এর মধ্য দিয়ে পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর ভূমি দখল হতে শুরু করে। যা এখনো চলমান রয়েছে। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পরবর্তী সময়ে এই সেটেলার বাঙালিদের একটি অংশ পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর আতঙ্কের কারণ হয়ে দাঁড়ায় এবং সে আতঙ্ক স্বাধীনতার ৫৩ বছরে আরো দ্বিগুণ পরিমাণে বেড়েছে।
বাংলাদেশের সংবিধানের ২৮ ও ২৯ নং অনুচ্ছেদ বিশ্লেষণ করে দেখা যায় ধর্ম, বর্ণ, জাত কিংবা জন্মস্থানের বিবেচনায় নাগরিকদের কোনো প্রকার বৈষম্য করতে পারবে না রাষ্ট্র। পাশাপাশি সরকারি চাকরি কিংবা সরকারি সুযোগ সুবিধায় প্রতিনিধিত্বমূলক অংশগ্রহণের লক্ষ্যে বিশেষ আইন ও বিধানের ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে রাষ্ট্রকে।
১৯৮৫ সালে দেশের কোটাব্যবস্থায় প্রথমবারের মতো উপজাতি ও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর জন্য নামমাত্র ৫ শতাংশ কোটা চালু করা হয়। যা পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর প্রত্যাশার থেকেও একেবারে সংকীর্ণ। বরাদ্দকৃত যে কোটা চালু রয়েছে তার কার্যকারিতা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। কারণ এই কোটার সুফল পাহাড়ি জনগোষ্ঠী সম্পূর্ণভাবে পায় না। এর এক-তৃতীয়াংশ সুফল ভোগ করছে পাহাড়ে বসবাস করা সেটেলার বাঙালি। এই সেটালার বাঙালিরা পাহাড়ের কোটা ব্যবস্থার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে দেশের সরকারি চাকরি থেকে শুরু করে শিক্ষা, স্বাস্থ্যসহ সরকারি সকল পরিষেবা ভোগ করছে। অর্থাৎ পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর জন্য যে ক্ষুদ্র কোটাব্যবস্থা নামমাত্র ছিল সেটি সম্পূর্ণ ভোগ করছে সেটেলার বাঙালি জনগোষ্ঠী। পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর ওপর এই যেন বঞ্চনার সর্বোচ্চ প্রক্রিয়া।
১৯৮৬ থেকে সরকারি চাকরিসহ সমস্ত সরকারি পরিষেবায় পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর জন্য নির্ধারিত ৫ শতাংশ কোটার উপরি উপরি প্রায় ১ থেকে ৩ অংশ বাদে বাকি ২ অংশ সেটেলার বাঙালিদের প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। যা শিক্ষা ক্ষেত্রে ৪ শতাংশেই সেটেলার বাঙালি সন্তানদের প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্য সেবায় কোটার সুফল তো দূরে থাক পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর জন্য মানসম্মত হাসপাতালও নেই।”

মারুফ হাসান ভূঞার এই লেখাটি কতটা উস্কানিমূলক ও জঘন্যতম মিথ্যাচার তা হয়তো ইতোমধ্যে আপনারা অনুমান করতে পেরেছেন। তার এই মিথ্যাচারের জবাব আরো কঠোরভাবে দেওয়া যায় কিন্তু তার মত ঘৃণিত ব্যক্তিকে নিয়ে অতিরিক্ত চর্চা করে মূল্যবান সময় নষ্ট করার মানে হয়না। শুধুমাত্র বিবেকের তাড়নায় পাঠকমণ্ডলী ওয়াকিবহালের জন্য মিথ্যা ও বানোয়াট উদ্দেশ্য-প্রণোদিত সংবাদ ছয়লাব বিষয়ে একজন পার্বত্য চট্টগ্রামের সচেতন বাসিন্দা হিসেবে প্রতিবাদ করা কর্তব্য।

সাম্প্রতিক সময়ে মেডিকেল কলেজের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে ‘উপজাতি’ কোটায় ভর্তি তালিকায় ভুলে সমতল ভূমির ৭ বাঙ্গালী শিক্ষার্থী নির্বাচিত হয়েছেন। বিষয়টি কর্তৃপক্ষের দৃষ্টিগোচর হওয়ার পর তারা নিম্নোক্ত শিক্ষার্থীদের থেকে এই বিষয়ে ব্যাখা চেয়েছে এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র তলব করেছে। শিক্ষার্থীরা জানায়, তারা ভর্তি আবেদন করেছে কম্পিউটার দোকান থেকে৷ সেখানে আবদনের সময় ভুলবশত টিক চিহ্ন পড়ে যায় উপজাতি কোটায়৷ এটা অনিচ্ছাকৃত ভুল হতে পারে বা উপজাতি কোটায় পদে আবেদন করার মতো হয়তো আর উপজাতি শিক্ষার্থী ছিলোনা, সে সুযোগে তারা আবেদন করে থাকতে পারে।

একটি পরিসংখ্যান তুলে ধরা আবশ্যক- বাংলাদেশে জনসংখ্যা অনুপাতে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী বা উপজাতি ১% এর চেয়ে কম। সেখানে ১% এর কম জনসংখ্যার জন্য ৫% কোটা কী অযৌক্তিক নয়? এই ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীকে ৫% কোটা সুবিধা দেওয়ার কারণে আমরা দেখেছি দেশে মেধাবীরা শিক্ষা, চাকরি ও বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

৪০তম বিসিএস পরীক্ষার চুড়ান্ত ফলাফলে ১,৯৬৩ জনকে বিভিন্ন ক্যাডারে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করা হয়েছিল। মেধা ভিত্তিতে টিকেনি কোন উপজাতি৷ এর আগে প্রতিবছর বিসিএসে ৫% উপজাতি কোটায় অহরহ উপজাতি সুপারিশ প্রাপ্ত হত। এই থেকে অনুমেয় যে, মেধা তালিকায় উপজাতিরা অনেক পিছিয়ে৷ এতদিন তারা উপজাতি কোটায় প্রশাসন ক্যাডারে সুপারিশ প্রাপ্ত হয়েছে। সরকারি চাকরিতে উপজাতিদের উপস্থিতি ব্যাপকহারে বৃদ্ধির অন্যতম কারণ, ‘ছিল উপজাতি কোটা’। মেধাকে ধ্বংস করেছে কোটা প্রথা। যথাসময়ে এই কোটা প্রথা বাতিল যদি না হত তাহলে হাজার হাজার অযোগ্য উপজাতি কোটায় চাকরি নিয়ে দেশের প্রশাসনিক অবকাঠামো ধ্বংস করত। যেমনটা তারা অনেকটা করে ফেলেছে। ৫% উপজাতি কোটা যদি উপজাতিরা পুরণ করতে ব্যর্থ হয়, সেখানে বাঙ্গালী আবেদন করলে সমস্যা কোথায়? তা আমার বোধগম্য নয়।

কোটা বিরোধীদের তীব্র আন্দোলনে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণীর সরকারি চাকরির কোটা প্রথা বাতিল হয়।
রেফারেন্স-
গত ২০১৮ সালের ০৪ অক্টোবর, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব ফয়েজ আহম্মদ স্বাক্ষরিত পরিপত্রে বলা হয়েছে, সরকার সকল সরকারি দপ্তর, স্বায়ত্তশাসিত/আধা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান এবং বিভিন্ন করপোরেশনের চাকরিতে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ১৭/৩/১৯৯৭ তারিখের সম (বিধি-১) এস-৮/৯৫ (অংশ-২)-৫৬ (৫০০) নম্বর স্মারকে উল্লিখিত কোটা পদ্ধতি নিম্নরূপভাবে সংশোধন করল :

ক. ৯ম গ্রেড (পূর্বতন প্রথম শ্রেণি) এবং ১০ম-১৩তম গ্রেডের (পূর্বতন ২য় শ্রেণি) পদে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ প্রদান করা হবে এবং

খ. ৯ম গ্রেড (পূর্বতন ১ম শ্রেণি) এবং ১০ম-১৩তম গ্রেডের (পূর্বতন ২য় শ্রেণি) পদে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে বিদ্যমান কোটা পদ্ধতি বাতিল করা হলো।

বাতিল হওয়া কোটা পুনর্বহাল করতে উপজাতি সন্ত্রাসীদের লেলিয়ে দেওয়া ঢাকা অবস্থানরত উগ্রবাদী উপজাতি ছাত্ররা তৎপর হয়েছে।

পিছিয়ে পড়া অনগ্রসর জাতিগোষ্ঠীর জন্য কোটা প্রথা প্রযোজ্য হলেও পার্বত্য চট্টগ্রামের উপজাতিরা এখন আর পিছিয়ে পড়া অনগ্রসর জাতি নয়। তারা আজ পার্বত্য চুক্তির সুযোগ-সুবিধা ভোগ করে এখন উন্নত জাতিতে পরিণত হয়েছে৷
উপজাতি কোটা প্রথার কারণে সমগ্র পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রশাসনিক কার্যক্রম ভেঙে পড়েছে৷ এখানে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর নিয়োগ পদ্ধতি উপজাতি কোটার ভিত্তিতে হচ্ছে। এমনকি এখানকার চাকরির নিয়োগের সম্পূর্ণ চাবিকাঠি উপজাতীয়দের হাতে। অসাংবিধানিক পার্বত্য চুক্তির ফলে তারা এমন মামার বাড়ির আবদার হাতের মুঠোয় পেয়েছে। তা ছাড়াও সরকার তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর কোটা প্রথা বাতিল করেননি। পার্বত্য চট্টগ্রামের সরকারি দপ্তর, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানগুলোর ৯৫% কর্মকর্তা ও কর্মচারী উপজাতি জনগোষ্ঠী হতে নিশ্চিত করা হয়েছে পার্বত্য চুক্তির উপজাতি কোটায়৷ এই কোটা প্রথার কারণে পার্বত্য চট্টগ্রামে যেমন বৈষম্যের শিকার হচ্ছে বাঙ্গালীরা তেমনি অযোগ্যদের হাতে চলে যাচ্ছে প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রণ। যা একটি স্বাধীন সার্বভৌমত্ব দেশকে মেরুদণ্ডহীন করার শামিল। পরিতাপের বিষয় যে, কোনভাবেই বাতিল করা যাচ্ছে না অসাংবিধানিক পার্বত্য চুক্তির কোটা প্রথা। তাই এখনো তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর সরকারি চাকরিতে নিয়োগ পেয়ে যাচ্ছে উপজাতিরা। উপজাতিদের জন্য এত এতো সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করার পরও মারুফ হাসান ভূঞা কোন তথ্যের ভিত্তিতে মনগড়া ও মিথ্যা সংবাদ ছয়লাব করলেন তা বোধগম্য নয়। কোন গোষ্ঠীর ইন্ধনে এমন ভিত্তিহীন সংবাদ প্রকাশ করে থাকতে পারে৷ এই দায় মানবকন্ঠ পত্রিকা পক্ষ কোনভাবেই এড়াতে পারেনা। একটি পত্রিকার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন ও পাঠক হ্রাস করতে মারুফ হাসান ভূঞার মত লেখক বুদ্ধিজীবি যথেষ্ট।

এমবিবিএসে উপজাতি কোটায়
নির্বাচিত হওয়া বাঙ্গালী শিক্ষার্থীরা হলেন- সাদিয়া আক্তার রাইসা (কর্নেল মালেক মেডিকেল কলেজ, মানিকগঞ্জ), সায়মা আলম (সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ), তহুরা তানজিনা নিশাত (শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ, কিশোরগঞ্জ), তাসনুবা অস্মিতা কাহন (শেখ সায়েরা খাতুন মেডিকেল কলেজ, গোপালগঞ্জ), আরফা জান্নাত সামিয়া (শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ, টাঙ্গাইল), শাহরিয়ার হাসান শিফান (যশোর মেডিকেল কলেজ), এবং বৈশাখী দে নদী (শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ, জামালপুর)।

উক্ত তথ্য ও নাম ঠিকানা অনুযায়ী কেউ পার্বত্য বাঙ্গালী নয়।

কিন্তু মারুফ হাসান ভূঞা তথাকথিত লেখক প্রাবন্ধিক ও কলামিস্ট তার লেখায় বিশদভাবে পার্বত্য বাঙ্গালীদের চৌদ্দ গোষ্ঠী উদ্ধারসহ রাষ্ট্র বা প্রশাসনকে ইনিয়ে বিনিয়ে দোষারোপ করেছেন। অদৃশ্য শক্তি এমন সব শব্দ ইঙ্গিত করে অনেক কিছু বোঝানোর ব্যর্থ চেষ্টা করেছেন। তার এমন বিতর্কিত লেখা পার্বত্য চট্টগ্রামের সন্ত্রাসবাদকে সমর্থন দেওয়ার সামিল। যারা পার্বত্য চট্টগ্রামে বিচ্ছিন্নতাবাদ লালন করে এবং এ অঞ্চলকে আলাদা রাষ্ট্র গঠন করার জন্য তৎপরতা চালিয়ে পাহাড় থেকে বাঙ্গালী বিতাড়িত করতে পার্বত্য বাঙ্গালী বিরোধী প্রোপাগান্ডা চালাতে মরিয়া তাদের সমর্থন যোগাতে এই লেখাটি প্রকাশ করা হয়েছে বলে আপামর জনতা মনে করে।

বস্তুতঃ উপজাতি কোটায় ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীরা কেউ পার্বত্য চট্টগ্রাম তথা খাগড়াছড়ি, রাঙ্গামাটি ও বান্দরবানের বাসিন্দা নয়। সঠিক অনুসন্ধান না করে কোন যৌক্তিকতায় মেডিকেল কলেজের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে ‘উপজাতি’ কোটায় ভর্তি তালিকার বিষয়ে পাহাড়ের সেটেলার বাঙ্গালীদের দোষারোপ করা হল? এই লেখক যে সেটেলার শব্দ ব্যবহার করেছে তার আভিধানিক শাব্দিক অর্থ কী? সেটেলারের শব্দের কোন অর্থ বা ব্যাখা কী আছে কিংবা এই নামে কোন জাতি আছে? তার এই বক্তব্য সম্পূর্ণ পার্বত্য বাঙ্গালী বিদ্বেষমূলক মন্তব্য যা উস্কানিমূলক এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করার প্রচেষ্ঠার অংশ। মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য ছড়িয়ে জনমনে নেতিবাচক প্রভাব সৃষ্টির অভিযোগে তথ্য প্রযুক্তি ও সাম্প্রদায়িক বিনষ্ট করার প্রচেষ্ঠার মামলা ঢুকিয়ে দেওয়া তার মত হীন চরিত্রের মানুষের সঙ্গে ন্যায় বলে মনে হয়।

আগের পোস্টকোমলমতি শিক্ষার্থীদের দিয়ে ইউপিডিএফের কর্মসূচি বাস্তবায়ন চেষ্টার প্রতিবাদ জানিয়েছে পিসিসিপি।
পরের পোস্টবান্দরবানে বোমাং সার্কেল চীপের সনদের নামে বাঙ্গালীদের হয়রানি।

রিপ্লাই দিন

আপনার কমেন্ট লিখুন
আপনার নাম লিখুন