সরকার তার ১ নং খতিয়ানের ভূমি তার নাগরিকদের বন্দোবস্ত প্রদান করেন। ১৯৭৯ সালে আগত বাঙ্গালীদের ধাপে ধাপে সরকার দেশের প্রচলিত ভূমি আইন মোতাবেক বন্দোবস্ত প্রদান করেন। খাসভূমি উপজাতি দখলকৃত কোনো ভূমি নয়। পার্বত্য চট্টগ্রামের উপজাতিরা এ অঞ্চলের সব ভূমি তাদের প্রথাগত অধিকারের নামে দাবি করে আসছে। প্রথাগত নিয়মে ৩০ শতক ভূমি তারা ভোগ করার কথা থাকলেও তাদের দখলে রয়েছে শত শত শতক ভূমি। যদিও তাদের কাছে ভূমির কোন বৈধ কাগজপত্র নেই। এমনকি তাদের কাছে খাজ পরিশোধের দাখিলা পর্যন্ত নেই। শুধুমাত্র হিল ম্যানুয়েল বা প্রথাগত অধিকারের নামে তিন দশকের বেশি সময় ধরে বাঙ্গালীদের বন্দোবস্ত ভূমি উপজাতি সন্ত্রাসী দলগুলোর ইন্ধনে বেদখল করে আছে।
পার্বত্য খাগড়াছড়ি জেলার সদর উপজেলার ১নং সদর ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের ২৫৬ নং মৌজার অন্তর্গত গামাঢ়িঢালা বাঙ্গালীদের রেকর্ডীয় ভূমি রয়েছে। গতকাল (শুক্রবার) ১ মার্চ ২০২৪ খ্রিস্টাব্দে নিরুপম চাকমা (যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা, খাগড়াছড়ি) কর্তৃক বাঙ্গালীদের রেকর্ডীয় ভূমি বেদখলের চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। আঞ্চলিক সংগঠন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) নিরুপম চাকমা ও একদল শ্রমিককে ইন্ধন দিয়ে বাঙ্গালীদের ভূমি বেদখল করার জন্য প্রচেষ্ঠা করেন। পরে ভূমির মালিক মো. মঈনুল স্থানীয় বাঙ্গালীদের নিয়ে বাধা দিলে ভূমি বেদখলকারী নিরুপম চাকমা গংরা পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়।
ভূমির মালিক মো. মঈনুল, তার পিতার নাম মৃত.মোজাম্মেল হক। মঈনুল জানায়, নিরুপম চাকমার উক্ত হোল্ডিং ও তফসিল অনুযায়ী কোনপ্রকার ভূমি নেই৷ তার ভূমি অন্যত্র। কিন্তু সে সন্ত্রাসীদের ইন্ধনে আমাদের বাঙ্গালীদের ভূমি বেদখলের চেষ্টা করে। আমরা বাঙ্গালীরা তীব্রভাবে বাধা দিলে তারা পালিয়ে যায়। এর আগে ২০১১ সালে আমাদের বাঙ্গালীদের ভূমি বেদখল করার চেষ্টা করা হয়। আমরা সম্মিলিতভাবে প্রতিবাদ করলে তখন বেদখল করতে পারেনি কিন্তু এখন আবার চেষ্টা করছে আমাদের ভূমি কেড়ে নেওয়ার। আমরা প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করি। পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে বাঙ্গালীদের উচ্ছেদ করতে ভূমি বেদখলের চেষ্টা চালাচ্ছে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলো।
স্থানীয় বাঙ্গালীরা জানায়, ইউপিডিএফ এর নির্দেশে অনেক দিন ধরে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে আমাদের ভূমি বেদখলের। আমাদের ভূমির প্রয়োজনীয় কাগজপত্র এবং খাজনার দাখিলা রয়েছে৷ অথচ উপজাতিদের কোনপ্রকার বৈধ কাগজপত্র নেই৷ তারপরও তারা অন্যায়ভাবে গায়ের জোর এবং অস্ত্রের জোর দেখিয়ে আমাদের ভূমিতে আমাদের যেতে বাধা প্রদান করে আসছে। বিষয়টি সুস্থ সমাধানে আমরা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করি।