কেএনএফ শান্তি আলোচনায় ফিরলে কূটনৈতিক বিজয়সহ কুকিভুক্ত জনগোষ্ঠীর অধিকার নিশ্চিত হবে।
পার্বত্য চট্টগ্রামের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জাতিসত্তার সংস্কৃতি, ঐতিহ্য ও অধিকার সম্পর্কে প্রশাসন, সরকার তথা রাষ্ট্র বরাবরই আন্তরিক। তাদের রক্ষায় রাষ্ট্র বদ্ধপরিকর।
কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) ও শান্তি কমিটির মধ্যে আলোচনা হলে বম, খুমি, চাক, মুরং ও ম্রোসহ ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী বা উপজাতি কুকিভুক্ত জনগোষ্ঠী লাভবান হবে৷ শান্তি আলোচনাটি বিশেষ করে বম জনগোষ্ঠীর জন্য অবশ্যই প্রয়োজন। অন্যথায় তারা নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে। পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির মাধ্যমে চাকমা জনগোষ্ঠী লাভবান হয়েছে। পূর্ববর্তী চুক্তির মাধ্যমে চাকমারা যা অর্জন করেছে শান্তি আলোচনার মাধ্যমে কুকিভুক্ত জনগোষ্ঠীও তাদের মতো নতুন একটি চুক্তির আওতায় আরো আধুনিক যুগোপযোগী চুক্তি করে চাকমাদের একক আধিপত্য খর্ব করতে সক্ষম হবে। কুকি জনগোষ্ঠীর মধ্যে যে চাকমা ভীতি বা দেশান্তরিত হওয়ার আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে তারও অবসান হবে শান্তি আলোচনায় অংশ নিয়ে নিজেদের দাবিদাওয়া পেশ করে চুক্তিতে উপনীত হওয়ার মাধ্যমে। যদিও ইতোমধ্যে কেএনএফ শীর্ষ নেতারা শান্তি কমিটির আলোচনা সভায় অংশ নিয়েছিলো। তাদের অংশ গ্রহণকে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী জাতিসত্তা স্বাগতম জানানোসহ ইতিবাচক হিসেবে দেখছে।
এখন কেএনএফ এর উচিত কুকি জনগোষ্ঠীকে অবহেলিত ও তাদের অধিকার হতে বঞ্চিত না করে আগামী ৫-ই মার্চের শান্তি আলোচনার মাধ্যমে চুক্তিতে উপনীত হওয়া। এবং দাবিদাওয়া তুলে ধরার মাধ্যমে তা অক্ষরে অক্ষরে বাস্তবায়নে সহযোগিতা করা। কেএনএফ যদি সাধারণ বম বা কুকি জনগোষ্ঠী পক্ষে না দাঁড়ায় তাহলে কেএনএফ ক্ষতিগ্রস্ত হবে৷ আমরা যদি সারাবিশ্বের দিকে তাকায়, তাহলে দেখতে পাবো সশস্ত্র গেরিলা বা বিচ্ছিন্নতাবাদ জীবন বেছে নিয়ে কেউ রাস্ট্র শক্তিকে কপোকাত করতে পারেনি। কেএনএফ এর চেয়ে শক্তিশালী ছিল শ্রীলংকার তামিম টাইগার৷ তাদের ছিল যুদ্ধ বিমান, প্রশিক্ষিত লোকবল ও সামরিক রণ কৌশল। তামিম টাইগারদের পরিণত কী হয়েছিল সে ইতিহাস কেএনএফ এর অজানা নয়।
কুকিভুক্ত জনগোষ্ঠীর মধ্যে শান্তি- সম্প্রীতি ও সংস্কৃতি ঐতিহ্য এবং অধিকার নিশ্চিতে কেএনএফ আন্তরিকভাবে চলমান শান্তি প্রক্রিয়ার আলোচনা ফলপ্রসূ করার জন্য অংশ নিবে বলে আমরা সাধারণ জনগণ আশাবাদী।