||বান্দরবান প্রতিনিধি||
কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) তথা পাহাড়ে যেকোন সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে এমনকি খুব দ্রুত পাহাড়ে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হবে বলে জানান, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন, এমপি।
আজ শনিবার (৬ এপ্রিল) সকালে বান্দরবানের রুমায় সোনালী ব্যাংক ও রুমা উপজেলা কমপ্লেক্স পরিদর্শন শেষে বান্দরবান সার্কিট হাউসে মতবিনিময় সভায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী আরও বলেন, রুমা ও থানচিতে যারা সরকারী ব্যাংকগুলোতে সশস্ত্র হামলা চালিয়েছে, যারা নিরাপত্তা বাহিনীর অস্ত্র লুট করে নিয়েছে তাদেরকে কোন প্রকার ছাড় দেয়া হবেনা। ইতোমধ্যে রুমা থানচিসহ বান্দরবানে অতিরিক্ত পুলিশ, বিজিবি, র্যাব বৃদ্ধি করা হয়েছে। দ্রুত যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন-পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি, বান্দরবানের সংসদ সদস্য বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি, বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী, আনসারও ভিডিপি মহা পরিচালক মেজর জেনারেল একেএম আমিনুল হক, পুলিশ প্রধান (আইজিপি) চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, অতি:আইজিপি (এসবি) মনিরুল ইসলাম,জন নিরাপত্তা সচিব মোস্তাফিজুর রহমান, সুরক্ষা সচিব আব্দুল্লাহ আল মাসুদ চৌধুরী, বান্দরবান সেনা রিজিয়ন কমান্ডার মেহেদী হাসান, জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দীন,পুলিশ সুপার সৈকত শাহীনসহ সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) পাহাড়ের সশস্ত্র সন্ত্রাসী গ্রুপ কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট(কেএনএফ) এর শতাধিক অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী রাত ৯টার দিকে এসে রুমা ইউএনও অফিসসংলগ্ন মসজিদ ও সোনালী ব্যাংক ঘেরাও করে। তারা সোনালী ব্যাংকের টাকাসহ ডিউটিরত পুলিশ ও আনসার সদস্যদের ১৪টি অস্ত্র ছিনিয়ে নিয়ে যায়। পরে তারা যাওয়ার সময় রুমা সোনালী ব্যাংকের ম্যানেজার নিজাম উদ্দিনকে অপহরণ করে।
পরের দিন বুধবার (৩ এপ্রিল)দুপুর বেলায় থানচি উপজেলা সদরের সোনালী ব্যাংক ও বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকে হামলা চালায় কেএনএফ। এতে দুই ব্যাংকের প্রচুর টাকা লুট করে নিয়ে যায় তারা।
রুমার ঘটনার পরপর অভিযান চালিয়ে (৪এপ্রিল) রুমা উপজেলার সোনালী ব্যাংক শাখার অপহৃত ম্যানেজার নেজাম উদ্দীনকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করেছে র্যাব ও সেনাবাহিনী।