সর্বমহল থেকে দাবি উঠেছিলো চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়ার
কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) প্রতিষ্ঠাতা ও সংগঠনের বর্তমান প্রধান নাথান বমের স্ত্রী লেলসমকিমকে বান্দবানের রুমা স্বাস্থ্য কমপ্লক্স থেকে বদলি করা হয়েছে। তার নতুন কর্মস্থল লালমনিরহাট। বদলি করে লালমনিরহাট সিভিল সার্জন কার্যালয়ে পাঠানো হলেও তাকে এখন পর্যন্ত কোন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বা হাসপাতালে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তা জানা যায়নি।
রাষ্ট্রের সাথে বৈরী আচরণকারী দেশদ্রোহী নাথানের স্ত্রীর নাম লেলসমকিম বম। তিনি সিনিয়র স্টাফ নার্স হিসেবে এতদিন রুমা হাসপাতালে কর্মরত ছিলেন। নাথানের স্ত্রীর সঙ্গে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আরেক সিনিয়র নার্স দিপালী রাড়ইকেও বদলি করা হয়েছে।
গত পরশু স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নার্সিং বিভাগ থেকে তাদের বদলির আদেশ জারি করা হয়। বান্দরবানের সিভিল সার্জন ডাক্তার মাহবুবুর রহমান বদলির বিষয়টি জানায়। তবে তিনি বদলির পেছনে কোনো কারণ উল্লেখ করেননি।
দেশদ্রোহী নাথানের নেতৃত্বাধীন কেএনএফ গত ২ এপ্রিল রুমা উপজেলা সোনালী ব্যাংকে হানা দিয়ে পুলিশ ও আনসার বাহিনীর ১৪টি অস্ত্র এবং চার শতাধিক গুলি লুট করে। এ ঘটনার একদিন পরই থানচি উপজেলার সোনালী ও কৃষি ব্যাংকে হানা দিয়ে প্রায় ১৮ লাখ টাকা লুট করে তারা। এসব ঘটনার পর বান্দরবানে কেএনএফের বিরুদ্ধে যৌথ অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। এই অভিযানে এখন পর্যন্ত ৫৬ জন গ্রেপ্তার হয়েছে বলে জানা গেছে।
নাথান বম বাংলাদেশের সংবিধান বিরোধী দাবি স্বশাসন ব্যবস্থা ও কুকি ল্যাণ্ডের জন্য রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অস্ত্র হাতে নিয়ে রাষ্ট্রীয় বাহিনী হত্যা, ব্যাংক ডাকাতি এবং জনসাধারণের ক্ষতিসাধন করে আসছে। তার স্ত্রী লেলসমকিম নাথানের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডকে সমর্থন দেওয়াসহ সশস্ত্র কার্যক্রমকে জাতির অধিকারের সঙ্গে তুলনা করে আসছেন এবং নাথান বমের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে আসছিলেন। তার স্বামী যে রাষ্ট্রের সঙ্গে বৈরী আচরণ করছে তা নিয়ে তার মধ্যে বিন্দুমাত্র অনুতপ্ত বোধ নেই। নাথান বমের স্ত্রীকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়ার দাবি উঠেছে সর্বমহল থেকে। বাংলাদেশ সরকার ও প্রশাসন উপজাতি জাতিসত্তার প্রতি আন্তরিক এবং নমনীয় নীতি গ্রহণ করে সবসময়৷ তারই কারণে দেশদ্রোহী নাথান বমের স্ত্রী লেলসমকিমকে সরকারি চাকরি থেকে অব্যাহত দেওয়া হয়নি। এইটি একটি রাষ্ট্রের উদার নীতি বলা যায়৷