পার্বত্য চট্টগ্রাম তথা খাগড়াছড়ি, রাঙ্গামাটি ও বান্দরবান জুম চাষের নামে পাহাড়ে আগুন দিয়ে এভাবেই চলছে বনজঙ্গল উজাড়; এছাড়াও অবৈধভাবে গাছগাছালি কেটে পাহাড়কে ন্যাড়া করে পরিবেশের ভারসাম্য বিনষ্ট করছে কাঠ চোরাকারবারি সিন্ডিকেট।
সারাদেশের মত পার্বত্য চট্টগ্রামে তীব্র তাপদাহের অন্যতম কারণ বনজঙ্গল উজাড় করার মাধ্যমে পাহাড়কে মরুভূমি করার ফল। সংশ্লিষ্টরা বনাঞ্চল রক্ষায় বরাবরই ব্যর্থ হয়েছে। পাহাড়ের ওপর দিয়েও বইছে তাপদাহ। তাপদাহ দীর্ঘদিনের পরিবেশ ধ্বংসের ফল।
পরিবেশবাদীরা বলছে, পার্বত্য চট্টগ্রামে বনভূমি রক্ষায় সংশ্লিষ্টদের উদাসীনতা বন্ধ করতে হবে। খাগড়াছড়ি, রাঙ্গামাটি ও বান্দরবান প্রতিদিন অবিরত গাছগাছালি কেটে পাহাড় মরুভূমি করা হচ্ছে। একসময়ের সবুজের আচ্ছাদনে মোড়ানো পার্বত্য চট্টগ্রাম আজ ক্রমেই যেন হারিয়ে ফেলছে তার শ্যামলিমার সৌন্দর্য।
গাছপালা পরিবেশ থেকে কার্বন ডাইঅক্সাইড ও তাপ শোষণ করে অক্সিজেন সরবরাহ করে। ফলে বাতাসে অক্সিজেন ছড়িয়ে আশপাশের এলাকা শীতল রাখে। কিন্তু এখন পাহাড়ে সংশ্লিষ্টদের ম্যানেজ করে অসাধু কাঠ চোরাকারবারি সিন্ডিকেট গাছগাছালি কেটে পাচার করে আসছে। ফলে বায়ুমণ্ডলে অক্সিজেন ও জলীয় বাষ্প কমে গিয়ে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং একই কারণে বৃষ্টিপাতও কমে যাচ্ছে।
জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় যেকোনো দেশে শতকরা ২৫ ভাগ বনভূমি থাকা প্রয়োজন। বাংলাদেশে আছে মাত্র ১৫ দশমিক ৫৮ ভাগ। আমরা আজকে যে জলবায়ু পরিবর্তন দেখতে পাচ্ছি, তা থেকে মুক্তি পেতে হলে আমাদেরকে অবশ্যই বেশি বেশি গাছ লাগাতে হবে এবং গাছ রক্ষায় জনসচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে।