রাঙ্গামাটি ও খাগড়াছড়িতে শুরু হয়েছে ইউপিডিএফ এর আধাবেলা অবরোধ।

0

আল শাহরিয়ার রোকন, পার্বত্য চট্টগ্রাম প্রতিনিধি:

মৃত আইন শাসনবিধি বলবৎ করার দাবিতে ইউপিডিএফ এর আধাবেলা ডাকা অবরোধ শুরু হয়েছে রাঙামাটি ও খাগড়াছড়িতে।

ভোর সকাল থেকে শুরু হওয়া অবরোধে অংশগ্রহণ করেছে ইউপিডিএফ এর সহযোগী অঙ্গসংগঠন পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ ও হিল উইমেন্স ফেডারেশন। রাঙামাটি শহরের ভেদভেদি, সাপছড়ি, কতুকছড়ি, নানিয়ারচর, কাউখালী ও খাগড়াছড়ি মহালছড়ি, রামগড়, মাটিরাঙ্গা, দীঘিনালা, সাজেক, লক্ষ্মীছড়ি ও পানছড়ি এক যুগে অবরোধ পালন করা হচ্ছে।

হঠাৎ বিচ্ছিন্নতাবাদী ইউপিডিএফ সন্ত্রাসীদের তৎপরতা বৃদ্ধি পাওয়াতে আতঙ্কিত পাহাড়ি- বাঙ্গালীরা। কারণ ইউপিডিএফ কেএনএফ এর মত দেশবিরোধী সংগঠন৷ তারা পূর্বে পাহাড়ে অনেক বাঙ্গালী ও নিরাপত্তা বাহিনীরসহ অগণিত মানুষ হত্যা, অপহরণ ও খুন-খারাবির সঙ্গে জড়িত। তাদের চাঁদাবাজি ও অপহরণ বাণিজ্যে অতিষ্ঠ পার্বত্যবাসী। পার্বত্য চট্টগ্রামে রাষ্ট্রীয় আইন অকার্যকর করার দাবিতে ইউপিডিএফ এর এই নাশকতামূলক অবরোধ। স্বায়ত্তশাসনের দাবিতে ইউপিডিএফ পাহাড়ে বিপুল পরিমাণ ভারী অস্ত্র মজুদ করছে৷ ত্রিদেশীয় সীমান্ত ব্যবহার করে ইউপিডিএফ অস্ত্র সংগ্রহ ও প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে আসছে।

আজকের অবরোধে এখন পর্যন্ত কোথায় অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। অবরোধে নাশকতা ঠেকাতে স্থানীয় পাহাড়ি-বাঙ্গালীরা সবর হচ্ছে। তারা বলছে পাহাড়ে কোন বিচ্ছিন্নতাবাদী সন্ত্রাসী সংগঠনকে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতে আমরা দিতে পারিনা। ১৯৭১ সালে অর্জিত স্বাধীনতা রক্ষা করতে শরীরের শেষ বিন্দু রক্ত দিয়ে হলেও চেষ্টা করবো৷ ইউপিডিএফ পার্বত্য চট্টগ্রামকে দেশ থেকে পৃথক করার যে নীলনকশা বাস্তবায়নে স্বপ্ন দেখে তা দেশপ্রেমিক জনতা মেনে নিবে না।

স্থানীয়রা অধিবাসীরা বলছে, ইউপিডিএফ এর হাতে থাকা বিপুল পরিমাণ ভারী অস্ত্র উদ্ধারে দাবি জানাই। সেসাথে তাদেরকে সাংগঠনিক পরিচালনায় অর্থনৈতিক উৎস দিয়ে সহযোগিতা করা বাঙ্গালী কাঠ ব্যবসায়ী ও ঠিকাদারদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার জোর দাবি জানাই।

উল্লেখ যে, ব্রিটিশ কর্তৃক প্রণীত পার্বত্য চট্টগ্রাম শাসনবিধি বা পার্বত্য চট্টগ্রাম রেগুলেশন (চিটাগং হিল ট্র্যাক্ট ম্যানুয়েল ১৯০০) কে আইন হিসেবে ২০১৪ ও ২০১৬ সালে পৃথক দুই মামলার রায় দেয় সুপ্রীম কোর্টের পুর্ণ বেঞ্চ।
এ রায়ের বিরুদ্ধে ২০১৮ সালে সুপ্রীম কোর্টে রিভিউ করেছেন, বাঙ্গালীদের পক্ষে খাগড়াছড়ি জেলার বাসিন্দা আব্দুল আজিজ আখন্দ ও আব্দুল মালেক। একাধিক আপিল শুনানির পর রায়টি উচ্চ আদালত বাতিল করে মৃত আইন হিসেবে রায় দেওয়া চূড়ান্ত ধাপে পৌঁছে। আগামীকাল ১৬ মে রায়টি নিয়ে বাতিলের চূড়ান্ত শুনানি অনুষ্ঠিত হবে৷ তাই রায়টি বলবৎ করতে ইউপিডিএফ বিভিন্ন কর্মসূচী পালন করছে। পার্বত্য চট্টগ্রাম শাসনবিধি মূলত পার্বত্য বাঙ্গালী তথা রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে৷ এই তথাকথিত শাসনবিধি পার্বত্য চট্টগ্রামে রাষ্ট্রের ক্ষমতা খর্ব করেছে এবং দেশের প্রচলিত আইন অকার্যকর করেছে।

আগের পোস্টআলোচনার টেবিল থেকে সরে গিয়ে কেএনএফ প্রমাণ করেছে তারা পাহাড়ে শান্তি চায়না।
পরের পোস্টবান্দরবানে এপিবিএন এর হাতে ইয়াবাসহ মাদক কারবারি গ্রেফতার।

রিপ্লাই দিন

আপনার কমেন্ট লিখুন
আপনার নাম লিখুন