কেএনএফ এর নারী শাখার প্রধান সমন্বয়ক আকিম বম গ্রেপ্তার।

0

কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) এর নারী শাখার অন্যতম প্রধান সমন্বয়ক আকিম বমকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব। অদ্য শুক্রবার (১৭ মে ২০২৪ খ্রিঃ) ভোর সকালে বান্দরবান জেলার লাইমী পাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব-১৫।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র‍্যাব সদর দপ্তরের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের সিনিয়র সহকারী পরিচালক আ ন ম ইমরান খান। তিনি বলেন, কুকি-চিনের নারী শাখার অন্যতম প্রধান সমন্বয়ক আকিম বমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি দেশে-বিদেশে সামরিক প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত।

কে এই আকিম বম?

আকিম বম সম্পর্কে তিনি বলেন, ২০২৩ সালে সে কাল্পা কেউক্রাডং এলাকার রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুলে ভর্তি হয়। এসময় মাইকেল নামে একটি ছেলে সঙ্গে পরিচয় ও পরে প্রেমের সম্পর্ক হয়। মাইকেলের মাধ্যমেই সে কেএনএফের ট্রেনিংয়ে যায়।

যেভাবে কুকি চিনের আস্তানায় আকিম:

২০২৩ সালের ডিসেম্বরের শুরু দিকে এক সন্ধ্যায় আকিম ও মাইকেল পায়ে হেঁটে কেএনএফের ট্রেনিং সেন্টারের দিকে রওনা হয়। পরের দিন ভোর পাঁচটার দিকে তারা রোয়াংছড়ির গহীন পাহাড়ি জঙ্গলের ট্রেনিং সেন্টারে পৌঁছায়। সেখানে পৌঁছানোর পর ভান থার ময়-বম নামে কেএনএফের একজন নারী কমান্ডারের সঙ্গে তাদের পরিচয় হয় এবং ট্রেনিং সেন্টারে তাদের স্বাগত জানায়।

কুকিদের আস্তানায় আর কারা:

আকিমের দেওয়া তথ্য মতে, সেখানে আরও অ‌নেক নারী ছিল। তবে তাদের বেশিরভাগের মুখে কালি মাখা থাক‌তো। যার কার‌ণে অ‌নে‌কেই অপ‌রি‌চিত। মুখের এ কা‌লি প্রতি সাত দিন পর বদল কর‌তো। ট্রেনিং সেন্টারের নাম ছিল কেডিওন (ঈশ্বরের দিকে)। তাদের ব্যাচে ২০ জন প্রশিক্ষণার্থী ছিল। তাদের প্রশিক্ষণ দিতো ৪-৫ জন এবং প্রশাসনিক কাজের জন্য আলাদা সদস্য নিয়োজিত ছিল।

কেমন প্রশিক্ষণ হতো আকিমদের:

প্রশিক্ষণের বিষয়ে সে জানায়, ভোর তিনটার দিকে ঘুম থেকে উঠে ট্রেনিং শুরু করতো। প্রশিক্ষণ হিসেবে শারীরিক প্রশিক্ষণ বিশেষ করে মার্শাল আর্ট শেখানো হতো। প্রশিক্ষণের কষ্ট সহ্য করার জন্য তাদের বেত দিয়ে আঘাত করা হতো। এছাড়া বিভিন্ন কঠিন পরিস্থিতিতে টিকে থাকার জন্য লাঠি দিয়েও আঘাত ও টর্চার করা হতো।

বিশেষ প্রশিক্ষণ:

পাহাড় ও জঙ্গলে কীভানে নিজেকে লুকিয়ে রাখতে হয় এ ব্যাপারে তাদের বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হতো। এছাড়াও জঙ্গলে বৈরি পরিবেশে কীভাবে টিকে থাকতে হয় সে প্রশিক্ষণও দিতো। প্রশিক্ষণ চলতো সকাল ১০টা পর্যন্ত। এসময় সাধারণ খাবা‌রের পাশাপা‌শি তারা বনের পাখি, কাঠবিড়ালি শিকার ক‌রেও রান্না করে খেত। তার প্রশিক্ষণের সময় মেয়েদের একদলে ৫০ জন উত্তীর্ণ হয়েছে। প্রায় তিন শতাধিক পুরুষ সদস্যও প্রশিক্ষণে ছিল। রুমা এলাকায় আরও দেড় শতাধিক নারী-পুরুষ প্রশিক্ষণরত ছিল ব‌লেও জানায় সে।

Leave A Reply

Your email address will not be published.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More