ঢাকার কেরানীগঞ্জে বিরোধ মীমাংসার কথা বলে ডেকে নিয়ে গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার (১৭ মে ২০২৪ খ্রিঃ) কেরানীগঞ্জ উপজেলার বন্দ ডাকপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ব্যাপারে কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় মামলা হয়েছে।
আসামিরা হলেন- মো. শামীম (২৬), মো. আলী বিশ্বাস ও নাদীম (২৩)।
এ ঘটনায় পুলিশ রাতেই একজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
ভুক্তভোগী নারী ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ওই নারীর স্বামী রাহুল পেশায় একজন রিকশাচালক। দেড় মাস আগে ভুক্তভোগী নারীর বোন ও বোনজামাই জয়কে নিয়ে তাদের বাসায় আসে। এরপর রাহুল জয়কে মামলার ১নং আসামি শামিমের গ্যারেজ থেকে ভাড়ায় রিকশা নিয়ে দেয় চালানোর জন্য।
এর কিছুদিন পরে জয় গ্রামের বাড়িতে চলে গেলে। রিকশা মালিক শামিম রাহুলকে জানায়, তার বোনজামাই জয় রিকশার সামনের চাকা নষ্ট করে দিয়ে গেছে, এ জন্য রাহুলের কাছে ৫০০ টাকা ক্ষতিপূরণ দাবি করে। শামীমকে জয়ের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি সমাধান করবে বলে জানায় রাহুল। কিন্তু শামীমের চোখ পড়ে রাহুলের স্ত্রীর দিকে।
গত শুক্রবার সকাল আনুমানিক ৮টার দিকে মামলার ৩ নম্বর আসামি নাদিম ৫০০ টাকার বিষয়টি মীমাংসার জন্য ভুক্তভোগী নারীকে তার সঙ্গে শামীমের গ্যারেজে যেতে বলে।
ওই নারীর স্বামী বাসায় না থাকায় যেতে অপারগতা জানান, তখন নাদীম তাকে গালাগালি করে। এরপর সে নাদীমকে বলে, তার খালাকে নিয়ে শামীমের গ্যারেজে যাবে। তার খালার বাসায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে রিকশা ভাড়া করে। তবে যাওয়ার পথে রিকশা বন্দ ডাকপাড়া ছালেহা বেগমের ছয়তলা বাসার সামনে গেলে রিকশা থেকে নামিয়ে নাদীম ভুক্তভোগী নারী ২ নম্বর আসামি আলী বিশ্বাসের ভাড়া বাসায় জোরপূর্বক নিয়ে যায়।
সেখানে আগ থেকেই অবস্থান করছিলেন আলী এবং শামীম।
এরপর শামীম ভুক্তভোগী নারীকে জোরপূর্বক বাথরুমের ভেতর নিয়ে তার মুখ চেপে ধরে ধর্ষণ করে। পরবর্তী সময়ে রুমের ভেতর নিয়ে আলী বিশ্বাস ধর্ষণ করে।
ভুক্তভোগী নারীর স্বামী রাহুল বলেন, ‘আমি এতিম, আমার বাবা-মা কেউ নাই স্ত্রী-সন্তান ছাড়া। ওরা আমার যে ক্ষতি করেছে এটা তো আর তুলে নেওয়া যাবে না। তবে আমি এর সঠিক বিচার আশা করি। আমি আমার ও আমার পরিবারের নিরাপত্তাসহ আসামিদের শাস্তি দাবি করছি।’
কেরানীগঞ্জ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) খালেদুর রহমান জানান, এই ঘটনায় তিনজনকে আসামি করে একটি মামলা গ্রহণ করা হয়েছে। আমরা ভুক্তভোগী নারীকে মেডিক্যাল পরীক্ষা করতে পাঠিয়েছি। এরই মধ্যে অভিযুক্ত একজনকে আটক করে সাত দিনের রিমান্ডে পাঠানো হয়েছে। বাকি দুজন গ্রেপ্তারের খবর জানতে পেরে গাঢাকা দিয়েছে। তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলমান আছে।