লংগদুতে জেএসএস সন্তু কর্তৃক ইউপিডিএফ প্রসিত মূলদলের দুই সদস্য নিহতের প্রতিবাদে ২০ মে রাঙামাটি জেলায় ইউপিডিএফ সহযোগী অঙ্গসংগঠনের ডাকে অর্ধদিবস সড়কপথ ও নৌপথ অবরোধ চলছে। সকাল ৫ টা থেকে অবরোধ চলছে রাঙামাটি সদর সাপছড়ি, যৌথখামার, কতুকছড়ি, নানিয়ারচর, বুড়িঘাট, ঘিলাছড়ি, টিএন্টি বাজার, গর্জনতলী, কাউখালী সুগারমিল ও বাঘাইছড়ি-সাজেকের বিভিন্ন এলাকায়।
অবরোধে সড়কে অবস্থান নিয়েছে ইউপিডিএফ বিচ্ছিন্নতাবাদী সন্ত্রাসী সংগঠনের সহযোগী অঙ্গসংগঠন পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (পিসিপি) ও হিল উইমেন্স ফেডারেশন। তারা সড়কে প্রতিবান্ধকতা সৃষ্টি করতে গাছের গুটি ফেলেছে এবং সড়কে টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে অবরোধ পালন করছে৷ এর ফলে যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায়। বিপাকে পড়ে স্কুল-কলেজের ছাত্র-ছাত্রী, পর্যটক ও বিভিন্ন পেশাজীবি মানুষ।
জানা যায়, অবরোধের কারণে চরম ভোগান্তি সৃষ্টি হয়েছে জনসাধারণে। ইউপিডিএফ, জেএসএসসহ আঞ্চলিক বিচ্ছিন্নতাবাদী সন্ত্রাসীরা অস্ত্রবাজি, চাঁদাবাজি এবং আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে হানাহানি, খুনাখুনি ও সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। তাদের এই সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের ভুক্তভোগী হতে হয় পাহাড়ের সাধারণ মানুষদের। আজকে তারা গণতান্ত্রিক আন্দোলন বাদ দিয়ে সড়কে জ্বালাও পোড়াও এর মত গণবিরোধী ধ্বংসাত্মক কর্মসূচি বেছে নিয়েছে৷ যা সাধারণ মানুষের জীবন জীবিকা নির্বাহসহ বিভিন্ন কর্মে প্রভাব ফেলবে। সন্ত্রাসীরা অবরোধের নামে নৈরাজ্য ও অরাজকতা পরিস্থিতি তৈরি করে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করার চেষ্টা করে যাচ্ছে৷ বেলা বাড়তে বাড়তে অবরোধের তীব্রতা বাড়ানো, যানবাহনে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করার জন্য রাঙামাটি সদরের সাপছড়ি, কতুকছড়ি ও বাঘাইছড়ি সাজেক অবস্থান নিয়েছে ইউপিডিএফ সহযোগী উগ্র অঙ্গসংগঠন।
তাদের এই নৈরাজ্য ও নাশকতা বন্ধে রাঙামাটি সদর সাপছড়ি, যৌথখামার ও তার আশেপাশের এলাকায় জননিরাপত্তার স্বার্থে সেনাবাহিনীর টহল জোরদার রয়েছে৷ সকাল থেকে রাঙামাটি সদর ও তার আশেপাশের এলাকায় সেনাটহল দিচ্ছে যার কারণে জনসাধারণে ভয়ভীতি শঙ্কা অনেকটাই কমে আসছে। পর্যটকবাহী গাড়িসহ প্রয়োজনী যানবাহন পারাপারে রাঙামাটি সদর জোনের সেনাবাহিনীকে এগিয়ে আসতে দেখা গেছে। যে কোনপ্রকার নৈরাজ্য, নাশকতা ও অরাজকতা ঠেকাতে সেনাবাহিনী মাঠে কাজ করছে। পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তিচুক্তি বাস্তবায়নে সহযোগিতার পাশাপাশি জননিরাপত্তা ও শান্তি-সম্প্রীতি ও উন্নয়নে কাজ করছে সেনাবাহিনী।
উল্লেখ যে, গত ১৮ মে সকালে লংগদুতে ইউপিডিএফ এর দুই সদস্যকে প্রতিপক্ষ গ্রুপ কর্তক হত্যা করার অভিযোগ ওঠে। তারই প্রতিবাদে গত ১৯ মে এই সড়ক ও নৌপথ অবরোধের ডাক দেয় বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনটি।