রাঙ্গামাটি জেলার বিলাইছড়ি উপজেলার বড়থলি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আতুমং মারমা কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) গুলিতে আহত হয়ে ৯দিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় থাকার পর বৃহস্পতিবার রাতে ১১টা ৪৮ মিনিটে চট্টগ্রামে মারা গেছেন ।
বিলাইছড়ি পূনঃনিবাচিত উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীরত্তোম তঞ্চঙ্গ্যা বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
গত ২১ মে দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা পরিষদ নিবাচনের দিন বড়থলি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আতুমং মারমা কেএনএফ এর হামলায় গুলিবিদ্ধ হন। পরে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় আতুমং চেয়ারম্যানকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে বড়থলি সেনা ক্যাম্পে নিয়ে চিকিৎসা প্রদান করে। এরপর বুধবার (২২মে) ভোর ৬টায় রুমা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে এবং প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে চেয়ারম্যানকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে প্রেরণ করা হয়। ৯ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর তিনি ৩০ মে রাতে তিনি মারা যান।
ইউপি চেয়ারস্যানের মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
আজ বেলা সাড়ে ১০টার দিকে রাঙ্গামাটির পুলিশ সুপার মীর আবু তৌহিদ জানান, বড়থলি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আতুমং মারমা চট্টগ্রামে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। ময়নাতদন্ত শেষে লাশ এখনো রাঙ্গাোটিতে এসে পৌঁছায়নি। গুলিতে আহত হওয়ার পরে চেয়ারম্যান আতুমং মারমা বলেছিলেন তিনি সুস্থ হয়ে ফিরে নিজে এসে মামলা করবেন। এখন তার পরিবার থেকে মামলা করা হবে বলে পুলিশ সুপার জানান।
তবে কেএনএফ কর্তৃক মারমা জনপ্রতিনিধি হত্যাকাণ্ডের ঘটনা সর্বত্র নিন্দার ঝড় বইছে। এই নিয়ে মারমা নেতৃত্বশ্রেণী কী করে সেটা দেখার বিষয়।