রাঙামাটিতে মারমা ইউপি চেয়ারম্যান হত্যা মামলায় আ;লীগ নেতাসহ গ্রেফতার ৪ জন।

0

রাঙামাটি পার্বত্য জেলার বিলাইছড়ি উপজেলাধীন বড়থলি ইউনিয়ন পরিষদের মারমা সম্প্রদায়ের চেয়ারম্যান আতোমং মারমা হত্যা মামলার এজাহারভূক্ত চার আসামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃত চারজনের মধ্যে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতিসহ তিনজন স্থানীয় ইউপি মেম্বার রয়েছে।

রাঙামাটিতে মারমা ইউপি চেয়ারম্যান হত্যা মামলায় আ;লীগ নেতাসহ গ্রেফতার ৪ জন।

গ্রেপ্তারকৃত আসামীরা হলো, বড়থলি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ও ৬নং ওয়ার্ডের মেম্বার সত্য চন্দ্র ত্রিপুরা, ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ও ৪নং ওয়ার্ডের মেম্বার ওয়াইভার ত্রিপুরা, ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও ৭নং ওয়ার্ডের মেম্বার সাধু চন্দ্র ত্রিপুরা ও আ:লীগের সদস্য সুজন ত্রিপুরা। গ্রেফতারকৃতরা যথাক্রমে ৭নং, ৪নং, ৬নং ও ৮নং এজাহারনামীয় আসামি বলে জানা গেছে।

রাঙামাটির পুলিশ সুপার মীর আবু তৌহিদ বিপিএম(বার) গ্রেফতারের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

গত (২১ মে) ২০২৪ খ্রিস্টাব্দে রাত আনুমানিক ১১:৩০ টায় বড়থলি পাড়া গ্রামে নিহত আতোমং মারমার স্ত্রীর ভাই চিংহ্লা অং মারমার (৫০) মাচাং ঘরে ভাত খাওয়ার সময় সশস্ত্র হামলা চালিয়ে আতোমং মারমাকে গুলি করে উপজাতি ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসীরা। গুরুত্বর আহত আতোমংকে উদ্ধার করে প্রথমে বড়থলি সেনা ক্যাম্পে চিকিৎসা পরে বান্দরবানের রুমায় অবস্থা অবনতি হলে চট্টগ্রাম মেডিকেলে নিয়ে যায়।

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আহত চেয়ারম্যানের শরীর থেকে চারটি গুলি বের করে চিকিৎসকরা। এরপর থেকে তিনি সেখানে লাইফ-সাপোর্টে চিকিৎসাধীন থাকার পর অবস্থার অবনতি হয়ে গত ৩০ মে, রাত ১১:৩৮ টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন চেয়ারম্যান আতোমং মারমা।

এই ঘটনায় ৩১ মে, রাত ৮ টার দিকে নিহত চেয়ারম্যানের বড় ভাই ক্যসিংমং মারমা (৬১) বাদী হয়ে বিলাইছড়ি থানায় ৮ জনের নাম উল্লেখ করে এবং আরো ১০/১২ জনকে অজ্ঞাত দেখিয়ে দন্ডবিধি ৩০২/৩৪ পেনাল কোডে হত্যা মামলা দায়ের করেন। বিলাইছড়ি থানায় দায়েরকৃত মামলা নং-০১, তাং-৩১/৫/২০২৪ইং।

রাঙামাটির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোঃ জাহেদুল ইসলাম জানিয়েছেন, বিলাইছড়িতে দায়েরকৃত মামলায় আসামীদের গ্রেফতারে বিভিন্নভাবে কাজ করছে পুলিশ। তারই ধারাবাহিকতায় আসামীদের কয়েকজন রাঙামাটি শহরে অবস্থান করছে এমন খবর সোর্সের মাধ্যমে অবহিত হন রাঙামাটির পুলিশ সুপার মীর আবু তৌহিদ-বিপিএম(বার)। পরবর্তীতে পুলিশ সুপারের নির্দেশনায় আমি ও কোতয়ালী থানা পুলিশ ও ওসি ডিবির নেতৃত্বে শহরের বিভিন্ন হোটেলে অভিযান পরিচালনা করি।

সোমবার ভোররাতে রিজার্ভ বাজারের শুকতারা আবাসিক হোটেল থেকে এজাহারনামীয় চার আসামীকে গ্রেফতার করি। আসামীদের বিলাইছড়ি থানার মাধ্যমে আদালতে প্রেরণের প্রক্রিয়া চলছে বলেও প্রতিবেদক জানিয়েছেন সদর সার্কেল অফিসার জাহেদুল ইসলাম।

তবে একটি সূত্র বলছে, এই হত্যাকাণ্ডের সাথে আঞ্চলিকদল জড়িত থাকতে পারে। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে নিরিহ ব্যক্তি রয়েছে।

আগের পোস্টঅপরাধীকে নিরিহ বা ছাত্র বলে প্রচার করা কেএনএফ’র কমনট্রেন্ড পরিণত!
পরের পোস্টআজ লংগদু রাজনগর গনহত্যার ৩৮ বছর।

রিপ্লাই দিন

আপনার কমেন্ট লিখুন
আপনার নাম লিখুন