কেএনএফ’র ভয়ে গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে আসা বম সম্প্রদায়ে আস্থার ঠিকানা হয়েছে সেনাবাহিনীর কাছে।

0

নিজেস্ব প্রতিনিধি

কুকিচিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট ‘কেএনএফ’ নিজেদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালিত করতে বরাবরই সাধারণ কুকি সম্প্রদায়কে মানবঢাল হিসেবে ব্যবহার করেছে। তাদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে কোন সাধারণ জনগণই মুখ খুলতে পারে না। যখনেই কেএনএফ এর নির্যাতনে মাত্রা বেড়েছে তখন থেকেই অসহায় অবস্থায় দিন পার করছে জনসাধারণ। এছাড়াও কেএনএফ প্রায়শ্চই লোকালয়ে এসে স্ব বম সম্প্রদায়ের ঘরবাড়িতে আশ্রয় নিচ্ছে। সাংগঠনিক পরিচালনার জন্য চাঁদাবাজি ও লুটপাট করেছে। এমনকি গৃহপালিত গবাদিপশু নিয়ে যাচ্ছে। এসবের বিরুদ্ধে কেউ প্রতিবাদ করলে তাকে মোটা অংকের জরিমানাসহ অপহরণ পূর্বক হত্যা করা হচ্ছে। এমন করুণ পরিস্থিতিতে বম সম্প্রদায়ের আস্থার ঠিকানা হয়েছে সেনাবাহিনীর কাছে।

বান্দরবান জেলার রুমা, রোয়াংছড়ি ও থানচির বম সম্প্রদায়ের সাধারণ মানুষগুলো বিগতবছর ধরে স্বজাতি সন্ত্রাসী কেএনএফ কর্তৃক চাঁদাবাজি, অপহরণ, নির্যাতন ও হামলার শিকার। জাতিগুলোর উপর স্টিমরোলার চালানো হচ্ছে প্রতিনিয়ত। এমতাবস্থায় বম অসহায় সম্প্রদায়ের আস্থার ঠিকানা হয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মানবিক বিভিন্ন সেবা। খাবার, পানি ও চিকিৎসাসহ সব কিছুতেই যখন সাধারণ জনগণ ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। তখনই একমাত্র বাংলাদেশ সেনাবাহিনীই তাদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে।

এর আগেও একাধিকবার কেএনএফ’র ভয়ে পালিয়ে থাকা বম সম্প্রদায়ের গ্রামবাসীদের সমস্যা নিরসনে সেনাবাহিনী এগিয়ে এসেছিলো।

এবং প্রতিনিয়ত নিজেদের জীবন বাজি রেখে বিভিন্ন সেবা দিয়ে যাচ্ছে দেশ প্রেমিক বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।

বিভিন্ন সেবা পেয়ে স্বস্তির নিশ্বাস ফেলছে বম সম্প্রদায়ের সাধারণ জনগণ। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বম শিক্ষক জানান আমাদের জীবন ও ভবিষ্যৎ কেএনএফ এর কারণে অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। আগে আমরা খুব ভালো ছিলাম। এখন যেখানে সেনাবাহিনী ও নিরাপত্তা বাহিনীর অবস্থান আছে সেখানকার জনগণ ভালো আছে। আবার বিভিন্ন সময় কেএনএফ সাধারণ জনগণের বেশ ধরে আমাদের কাছে এসে বিভিন্ন চাঁদা নিয়ে যায়। এটি খুবি দৃঃখজনক। এর থেকে পরিত্রাণের জন্য আমরা সরকার ও প্রশাসনের সহায়তা কামনা করছি।

Leave A Reply

Your email address will not be published.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More