নিঃশব্দ অশ্রুর নোনাজলে সিক্ত পাহাড়, বিপন্ন মানবতার উদ্ধার কাজ কী এখানে অসম্ভব?

0

দেশের অপার সম্ভাবনার মেরুদন্ড পার্বত্য চট্টগ্রাম। কৃষি, বনজ, ফলজ এবং অনাবিষ্কৃত প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর এ জনপদ। ভারত ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল ঘিরে বিশ্বের পরাশক্তিগুলোর প্রতিদ্বন্দ্বিতার কারণে বর্তমানে এই অঞ্চলের গুরুত্ব বেড়ে গেছে আরও বহুগুণ।


বিশ্বের এই পরাশক্তিগুলোর পরোক্ষ মদদে ৭১ এর পরাজিত শক্তি ত্রিদিব রায় এর উত্তরসূরী উপজাতীয় সন্ত্রাসীরা পাহাড়কে একটি অনিরাপদ অঞ্চলে পরিনত করেছে। কথিত ভ্রাতৃঘাতি সংঘাত, ভূমি দস্যুতা, চাদাবাজি এবং নিরাপত্তাবাহিনীর উপর হামলা করা তাদের দৈনন্দিন রুটিনে রুপান্তরিত হয়েছে।
জেএসএস সন্ত্রাসীদের দৈনন্দিন অপতৎপরার শিকার হয়েছেন লংগদু উপজেলার, লংগদু ইউনিয়নের বাসিন্দা জ্যোতি চাকমা (নিরাপত্তার কারণে ছদ্মনাম ব্যাবহার করা হয়েছে) নামের এক উপজাতি।


জ্যোতি চাকমার বাপ দাদার সম্পত্তি জোর করে দখল করে নেয় পার্বত্য চট্টগ্রাম জন সংহতি সমিতি (জেএসএস) সন্ত্রাসীরা। গবাদি পশু ও পাখি, অর্থ সম্পদ সবই লুট করে নেয়। নিজের বলতে আর কিছু থাকলো না। সর্বস্ব হারিয়ে এখন ফেরারি জীবন। দুঃখজনক বিষয়, জ্যোতি চাকমা তার সম্পত্তি হারানোর করুণ অবস্থা কারো কাছে জানাতে পারছেনা এবং উচ্চস্বরে কান্নাও করতে পারছেনা জেএসএস সন্ত্রাসীদের ভয়ে।
মুখ বন্ধ করে ভূমিদস্যু তথা উপজাতি সন্ত্রাসীদের এহেন আচরণ তাকে সহ্য করতে হচ্ছে।
ভূমি হারানোর শোকে কাতর জ্যোতি চাকমা যদি মুখ ফসকেও উফ শব্দ বের করে তাহলে স্বজাতী সন্ত্রাসীরা তাকে দুনিয়া থেকে বিদায় করতে দ্বিধাবোধ করবেনা। পাহাড়ে আঞ্চলিক সন্ত্রাসীদের রাজত্ব কায়েম চলে।


শুধু জ্যোতি চাকমা নয়, এরুপ অসংখ্য জ্যোতিদের অশ্রুশিক্ত নয়নে পাহাড় আজ শিহরিত।
পাহাড়ের মানবতা আজ বিপন্ন। কখন পাহাড়ের বিপন্ন মানবতার উদ্ধার হবে?
কখন জ্যোতিরা তাদের হারানো সম্পত্তি ফিরে পাবে? কেউ কী দিবে এর জবাব?

আগের পোস্টকেএনএফ’র ভয়ে গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে আসা বম সম্প্রদায়ে আস্থার ঠিকানা হয়েছে সেনাবাহিনীর কাছে।
পরের পোস্টসীমান্ত সড়ক নির্মাণে পাহাড়ি জনপদে লেগেছে আধুনিকতার ছোঁয়া।

রিপ্লাই দিন

আপনার কমেন্ট লিখুন
আপনার নাম লিখুন