কেএনএফের ভয়ংকর কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান চালানো সময়ের দাবী।

0

তাপস কুমার পাল, পার্বত্য চট্টগ্রাম

কেএনএফ বা কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) বান্দরবানের রুমা রোয়াংছড়ি, থানছি, লামা ও আলীকদমে রয়েছে তাদের ভয়ংকর ঘাটি। তাছাড়া রাঙামাটি রবরকল, সাজেক, বিলাইছড়ি, জুরাছরিতে তাদের অবস্থান রয়েছে। এই সংগঠনের প্রধান হলেন বম সম্প্রদায়ের তথাকথিত নেতা নাথাম বম। পার্বত্য অঞ্চলে পৃথক একটি পূর্ণ স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখেন নাথান বম।
তার স্বপ্ন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে তিনি কেএনএফকে পূর্ণ সামরিক বাহিনীতে রুপান্তর করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেন এবং অর্থ কালেকশনে মনোনিবেশ করেন। বিভিন্ন পত্রপত্রিকা এবং গোয়েন্দা সুত্রে জানা যায়, ২০০৮ সালে কেএনএফ-এর জন্ম হলেও ২০১৬ সালে সংগঠনটি সশস্ত্র গ্রুপ তৈরি করে। শুরুতে এর নাম ছিল কুকি চিন ন্যাশনাল ভলান্টিয়ার্স কেএনডি। বর্তমানে এই সশস্ত্র সংগঠনের নাম কুকি চিন ন্যাশনাল আর্মি (কেএনএ)। প্রথম দিকে তারা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করে ভারতের মনিপুর ও বার্মার ‘চীন রাজ্যের’ সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলে। প্রথম ব্যাচে শতাধিক সদস্যকে মনিপুরে প্রশিক্ষণে পাঠানো হয়। এরপর ১০০ জনকে ভারতের মনিপুর, বার্মার কারেন ও কাচিন রাজ্যে গেরিলা প্রশিক্ষণের জন্য পাঠায়। ২০১৯ সালে প্রশিক্ষণ শেষে তারা পার্বত্য চট্টগ্রামের ফিরে আসে‌। শুরুতে তারা নীরব থাকে। কিছু দিন পর তারা সক্রিয় হয়ে ওঠে। তাদের কাছে রয়েছে ভয়ংকর সব স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র।

কে এন এফের ভয়ংকর কর্মকাণ্ডের কিছু চিত্র দেখুন :
২০২৪ সালের ১৯ এপ্রিল রুমা উপজেলায় কেএনএফ এর গুলিতে নিহত হন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কর্পোরাল রফিকুল ইসলাম (৩৭)।
২০২৪ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারিতে চাঁদা দিতে অপারগতা প্রকাশ করায় উহ্লাচিং মার্মাকে গুলি করে হত্যা করে কে এন এফ সদস্যরা।
কে এন এফের গুলিতে সৈনিক মোন্নাফ হোসেন (২১) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।
১২ মার্চ বান্দরবানের রোয়াংছড়িতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে জাতীয় শিশু দিবস-২০২৩ ও মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় মা ও শিশুদের বিনামূল্যে স্বাস্থ্য সেবা প্রদানের উদ্দ্যেশে গমনকৃত দলের নিরাপত্তায় নিয়োজিত সেনাবাহিনীর টহল দলের উপর কেএনএফ সদস্যরা অতর্কিত গুলি বর্ষণ করলে সেনাবাহিনীর মাস্টার ওয়ারেন্ট অফিসার নাজিম উদ্দিন গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান। এ ঘটনায় আরও দুই সেনা সদস্য আহত হন।
গত মাসে বান্দরবানে সোনালী ব্যাংকে ২ কোটি টাকা ডাকাতি করে এবং ম্যানাজারকে অপহরণ করে এ এন এফ সন্ত্রাসীরা।
এগুলো সামান্য কিছু তথ্য মাত্র। বাস্তবতা হলো পাহাড়ের এক আতংকের নাম। হত্যা গুম, খুন, চাঁদাবাজি কেএনএফের নিত্যদিনের কর্মকান্ড।
কেএনএফের রাষ্ট্রবিরোধী এবং সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে সরাসরি সামরিক অভিযান পরিচালনা করা দরকার।অন্যথায় জনগণের জানমাল নিরাপত্তাহীনতায় ভুগবে এবং দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব হুমকির সম্মুখীন হবে।

Leave A Reply

Your email address will not be published.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More