পার্বত্য চট্রগ্রাম নামটি শুনলেই মনের মধ্যে বাসা বাধে এক নৈসর্গিক সৌন্দর্যের মানচিত্র। পাহাড়, লেক আর সবুজের হাতছানি প্রকৃতি প্রেমী প্রত্যেক মানুষকেই বিমোহিত করে।
কিন্তু ভারাক্রান্ত মন নিয়ে বলতে হয় দৃষ্টিনন্দন এ পাহাড়া আজ উপজাতি সন্ত্রাসীদের চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ।
উপজাতি সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের চাঁদাবাজির হাত থেকে রেহাই পাচ্ছেনা খেটে খাওয়া হতদরিদ্র মানুষ থেকে জনপ্রতিনিধিরাও।
এই চাঁদাবাজির সাথে সরাসরি জড়িত উপজাতিদের সশস্ত্র ৪ টি আঞ্চলিক সংগঠন। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি চাঁদাবাজি করে পার্বত্য চট্টগ্রাম জন সংহতি সমিতি (জেএসএস সন্তু)
পার্বত্য চট্টগ্রাম নিয়ে প্রকাশতি বিভিন্ন পত্র-পত্রিকার তথ্য অনুযায়ী, উপজাতি ৪ টি সংগঠন বছরে প্রায় ৯০০ কোটি টাকা চাঁদাবাজি করে।
চাঁদাবাজির এই অর্থ কয়েকটি ভাগে ব্যায় হয়।
যথাক্রমে- (১) সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের মাসিক বেতন।
(২) বিদেশী বিভিন্ন সন্ত্রাসী গ্রুপ থেকে অস্ত্র ক্রয়।
(৩) উপজাতি সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের মদতদানকারী কথিত সুশীলদের মাসিক সম্মানী প্রদান।
(৪) সন্ত্রাসীদের সাংগঠনিক কাজে ব্যবহারের জন্য নির্দিষ্ট ফান্ডে জমা।
(৫) বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে অপপ্রচারে চাঁদাবাজির টাকা ব্যায় করা হয়।
চাঁদাবাজির ভয়াবহতা সম্পর্কে অবগত হওয়ার জন্য সমান্য দু একটি তথ্য উপস্থাপন করছি।
পার্বত্য চট্টগ্রামে সরকারের উন্নয়নকর্মকাণ্ড পরিচালনা করতে চাঁদা দিতে হয়।
যেমন- রাস্তাঘাট, কালভার্ট, স্কুল-কলেজ, হাসপাতাল ও সরকারি স্থাপনা নির্মাণে জেএসএসসহ অন্যান্য সন্ত্রাসী দলগুলোকে ৫ থেকে ১০% হারে চাঁদা দিতে হয়।
সশস্ত্র উপজাতি সংগঠনগুলোর চাঁদাবাজির প্রসংগে স্থানীয়রা বলেন, পাহাড়ে উপজাতি সন্ত্রাসীদের চাঁদাবাজির কারণ হল আধিপত্য বিস্তার করা। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে সরাসরি চাঁদাবাজি করতে গিয়ে গ্রেফতার হয়েছে অনেক উপজাতি চাঁদাবাজ।
পাহাড়ে চাঁদাবাজির এই ভয়াল প্রকোপ থেকে রক্ষা পেতে এবং মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পাহাড়ে সেনাবাহিনীর কোন বিকল্প নেই। পার্বত্য চট্টগ্রামের অবৈধ অস্ত্রের ঝনঝনানি বন্ধে একটা হতে পারে কার্যকারী পদক্ষেপ।