জেএসএস ও ইউপিডিএফ এর সন্ত্রাসবাদের কারণে আবারো প্রাণ দিতে হলো অসহায় এক বাঙ্গালীকে।

0

পাহাড়ে সন্ত্রাসবাদের অংশ হিসেবে আধিপত্য বিস্তার ও চাঁদাবাজির টাকা ভাগাভাগিকে কেন্দ্র করে আঞ্চলিকদল ইউপিডিএফ ও জেএসএস ও তার প্রতিপক্ষ দলগুলো প্রায়শ্চই রক্তারক্তি সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। তাদের এই সংঘর্ষে আবারো প্রাণ দিতে হলো অসহায় এক বাঙ্গালীকে। পাহাড়ে জেএসএস ও ইউপিডিএফ এর এই সন্ত্রাসবাদ শেষ হবে কবে?

রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক ইউনিয়নের বাঘাইহাটে আঞ্চলিক দুইটি সন্ত্রাসী সংগঠনের গোলাগুলিতে মোঃ নাঈম নামে শান্তি পরিবহণের সুপারভাইজার গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যুবরণ করেন।

জানা যায়, গত ১৮ জুন দুপুরে ইউপিডিএফ প্রসীত ও তার প্রতিপক্ষ সন্ত্রাসী দলের এলোপাতাড়ি গুলিতে শান্তি পরিবহনের সুপারভাইজার নাঈম (৩৫) গোসল করতে যাওয়ার পথিমধ্যে গুলিবিদ্ধ হন। পরবর্তীতে তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় দীঘিনালা হাসপাতালে নিলে ডাক্তার তাকে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

জানা গেছে, নাঈম এর নিজ বাড়ি খাগড়াছড়ি জেলার লক্ষ্মীছড়ি উপজেলার জুর্গাছড়ি এলাকায়। নাঈম জন্মের আগেই তার পিতা মো. নজরুল ইসলাম নিখোঁজ হন। দেখেনি পিতাকে, অনেক দুঃখকষ্টের জীবন। ৪ বোন ১ ভাইয়ের মধ্যে নাঈম সবার ছোট। নাঈমের স্ত্রী ৬ মাসের অন্তসত্ত্বা। পরিবারের একমাত্র উপার্জনের মাধ্যম ছিল নাঈম। উপার্জনের নাঈমকে হারিয়ে তার পরিবারের সদস্য ও স্বজনরা আহজারিতে।

এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনার প্রতিবাদে খাগড়াছড়ি জেলার লক্ষীছড়ি নিজ উপজেলায় এলাকাবাসী নাঈম হত্যার প্রতিবাদে আধাবেলা হরতাল পালন করেছে। অদ্য- ২০ জুন সকাল থেকে লক্ষীছড়ি উপজেলার বিভিন্ন স্থানে কঠোরভাবে হরতাল পালনে করে এলাকাবাসী৷ জড়িত সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার দাবিতে ৭২ ঘন্টা আল্টিমেটাম দিয়ে হরতাল পালন করেছেন। লক্ষীছড়ি উপজেলার সড়কের পথে পথেই নাঈম হত্যার প্রতিবাদে ” আর কত মায়ের বুক খালী হবে” স্লোগানের ব্যানার লাগিয়েছে লক্ষীছড়ি উপজেলার সর্বস্তরের বাঙ্গালীরা।

পাহাড়ে আর কত বাঙ্গালী উপজাতি সন্ত্রাসীদের হাতে হত্যাকাণ্ডের শিকার হবে? ইউপিডিএফ প্রসিত ও জেএসএসসহ সকল আঞ্চলিক সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে যথাযথ পদক্ষেপই এই অঞ্চলে সব সমস্যার সমাধান হতে পারে।

লেখক: উমেশ কর্মকার, খাগড়াছড়ি। ২০/৬/২০২৪

আগের পোস্টকেন ইউপিডিএফ প্রসীত এত মরিয়া?
পরের পোস্টবান্দরবানে অবসরপ্রাপ্ত সশস্ত্র বাহিনী সংগঠনের আত্মপ্রকাশ।

রিপ্লাই দিন

আপনার কমেন্ট লিখুন
আপনার নাম লিখুন