বান্দরবানে কেএনএফের আস্তানায় যৌথ বাহিনীর অভিযানে নিহত এক।

0

নিউজ ডেস্ক:

পার্বত্য বান্দরবানে যৌথ বাহিনীর বাহিনীর অভিযানে এক কেএনএফ সদস্য নিহত ও একজন আটক হয়েছে। এ সময় উদ্ধার করা হয়েছে অস্ত্র, গোলাবারুদসহ সরঞ্জাম। অভিযানের সময় কেএনএফের পুতে রাখা ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস (আইইডি) বিস্ফোরণে স্থানীয় দু’জন আহত হয়েছে।

অদ্য বুধবার (২৬ জুন) সকালে রুমা উপজেল রেমাক্রি প্রাংশা ইউনিয়নের দুর্গম সিমত্লাংপি পাড়া এলাকায় এই অভিযান পরিচালনা করা হয়।

হতাহতদের এখনো কোনো পরিচয় পাওয়া না গেলেও থানচি থানা পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত জন্য বান্দরবান সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।

বান্দরবানের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো: রায়হান কাজেমী ওই এলাকা থেকে একজনের লাশ উদ্ধারের কথা জানিয়েছেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে যৌথ বাহিনীর সদস্যরা বুধবার সকালে থানচি উপজেলা সদরের কাছাকাছি রুমা উপজেলার রেমাক্রি প্রাংসা ইউনিয়নের সিমত্লাংপি পাড়া এলাকায় অভিযান চালায়। সেখানে কেএনএফের একটি ঘাটিতে অভিযানের সময় একজন আটক ও অপরজন গুলিবিদ্ধ হয়। পরে গুলিবিদ্ধ কেএনএফ সদস্য মারা যায়। সেখান থেকে উদ্ধার করা হয় দু’টি দেশীয় তৈরি বন্দুক কার্তুজ ও বিপুল পরিমাণ সরঞ্জাম। অভিযানের সময় কেএনএফের পুতে রাখা আইডি বিস্ফোরণে স্থানীয় দুজন সদস্য আহত হয়। এ ঘটনার পর ওই এলাকায় এখনো যৌথ বাহিনীর তল্লাশি অভিযান চলছে।

উল্লেখ্য যে, গত ২ ও ৩ এপ্রিল বান্দরবানের রুমা ও থানচি উপজেলায় সোনালী ও কৃষি ব্যাংকের তিনটি শাখায় কেএনএফ সদস্যরা হামলা চালিয়ে অস্ত্র, গুলি ও টাকা লুট করে। ওই ঘটনার পর সেনাবাহিনী নেতৃত্বে যৌথ বাহিনী রুমা, রোয়াংছড়ি ও থানচি উপজেলায় অভিযান পরিচালনা করছে। এই অভিযানে এ পর্যন্ত ২২টি মামলায় ১০৯ জন গ্রেফতার হয়েছে। নিহত হয়েছে কেএনএফের সন্দেহভাজন সাত সদস্য।

আগের পোস্টবিচ্ছিন্নতাবাদীদের মূলোৎপাটনে পার্বত্য চট্টগ্রামে সেনাবাহিনীর প্রয়োজনীয়তা অপরিহার্য।
পরের পোস্টপার্বত্য চট্টগ্রামে আঞ্চলিক দলগুলোর অপকর্মের দায়ভার জেএসএস সন্তু কেই নিতে হবে।

রিপ্লাই দিন

আপনার কমেন্ট লিখুন
আপনার নাম লিখুন