বান্দরবানে সন্ত্রাসবাদ দমনে কঠোর অবস্থানে যৌথবাহিনী, কেএনএফের আরো ৩০ সদস্যকে কারাগারে হস্তান্তর।

0

নিজেস্ব প্রতিনিধি: বান্দরবানে তিনটি ব্যাংকে ডাকাতি ও পুলিশের অস্ত্র লুটের ঘটনায় যৌথবাহিনী অত্যন্ত কঠোর অবস্থানে রয়েছে বলে জানা গেছে।

স্থানীয়রা বলছেন, জনপদে শান্তি ফিরিয়ে আনার পাশাপাশি রুমা সোনালী ব্যাংক থেকে লুট হওয়া ১৪টি অস্ত্র উদ্ধারে যৌথবাহিনীর সাঁড়াশি অভিযান চলছে।

মাথাচাড়া দিয়ে ওঠা কেএনএফের সন্ত্রাসবাদ দমনে এই কঠোর অভিযান বলে জানা যায়।

তৃতীয় দফায় কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ)-এর আরো ৩০ জন সদস্যকে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে হস্তান্তর করা হয়েছে। গত শনিবার ২৯ জনু দুপুরে তাদের বান্দরবান জেলা কারাগার থেকে চট্টগ্রাম কারাগারে আনা হয়।

এর আগে, সকাল ১০টার দিকে কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে তাদের নিয়ে বান্দরবান থেকে রওনা দেয় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

বান্দরবান জেলা কারাগারে স্থান সংকুলান না হওয়ায় এসব কেএনএফ সদস্যদের চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে সংশ্লিষ্টসূত্রে জানা গেছে।

গত বছরের ১৮ মে প্রথম দফায় ১৮ জন এবং চলতি বছরের ১১ জুন দ্বিতীয় দফায় ১৬ নারীসহ ৩১ জন কেএনএফ সদস্যকে চট্টগ্রাম কারাগারে স্থানান্তর করা হয়। সব মিলিয়ে এখন চট্টগ্রাম কারাগারে বন্দি কেএনএফ সদস্যের সংখ্যা ৭৯ জন।

গত ২ এপ্রিল রাতে বান্দরবানের রুমায় সোনালী ব্যাংকে এবং পরদিন ৩ এপ্রিল দুপুরে থানচি উপজেলার সোনালী ব্যাংক ও কৃষি ব্যাংকে ডাকাতি, হামলা ও টাকা লুটের ঘটনা ঘটে। ঘটনায় জড়িত আসামিদের ধরতে বান্দরবানে অভিযান শুরু করে যৌথবাহিনী। অভিযানে এখন পর্যন্ত ১১০ জন কেএনএফ সদস্য ও সহযোগী গ্রেফতার হয়ে কারাবন্দি হয়েছেন। এসব ঘটনায় বান্দরবানের বিভিন্ন থানায় মোট ২২টি মামলা হয়েছে।

আগের পোস্টপার্বত্য চট্টগ্রামে আঞ্চলিক দলগুলোর অপকর্মের দায়ভার জেএসএস সন্তু কেই নিতে হবে।
পরের পোস্টবান্দরবানে যৌথ বাহিনীর অভিযানে কেএনএফের প্রধান নাথান বমের অন্যতম সহযোগী গ্রেফতার।

রিপ্লাই দিন

আপনার কমেন্ট লিখুন
আপনার নাম লিখুন