নিজেস্ব প্রতিনিধি: বান্দরবানের ব্যাংক ডাকাতির মূল রহস্য কাণ্ডে জড়িত ছিল রুমা সোনালী ব্যাংকের সহকারী ক্যাশিয়ার লালপিয়াম। সে ব্যাংকের টাকার ব্যাপারে কেএনএফকে জানিয়েছিল। কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) পূর্বেই গোপন সংবাদের মাধ্যমে জেনেছে। কেএনএফের হেডকোয়ার্টারে টাকার পরিমাণ ও কোথায় যাবে তা জানানো হয়েছিল। বান্দরবান ব্যাংকের জেলা অফিস থেকে ব্যাংকে টাকা রুমা থানচি ব্যাংকে পাঠানো হয়েছে, এই মর্মে তথ্য ফাঁস করেছে বা দিয়েছে সেখানে থাকা কেএনএফ মদদপুষ্ট বম সম্প্রদায়ের কিছু চাকরিজীবী। সহকারী ক্যাশিয়ার লালপিয়াম থেকে গোপন সংবাদ এর ভিত্তিতে থানচি এবং রুমার সোনালী ব্যাংকে ঈদ বোনাসসহ বিভিন্ন টাকা যখন জমা হয়েছে এমন তথ্য জেনেছে কেএনএফ সন্ত্রাসীরা। এর পরিপ্রেক্ষিতে কেএনএফ সন্ত্রাসী হামলার মাধ্যমে ব্যাংক লুটপাটের সিদ্ধান্ত নিতে সক্ষম হয়েছে। পূর্বেই তারা জানত, কত টাকা, কোন দিন, কীভাবে রুমা এবং থানচিতে বান্দরবান সদর হতে নেওয়া হয়েছে। সেই তথ্য ফাঁস করেছে বম সম্প্রদায়ের ব্যাংক ক্যাশিয়ারসহ অন্যান্য চাকরিজীবীরা। গোপন তথ্যের মাধ্যমে তারা এই অর্থ লুটপাটের সিদ্ধান্ত নিতে সক্ষম হয়েছিল। এবং সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে কর্মরত কিছু বম সম্প্রদায় সরকারি গোপন নথিপত্র ফাঁস করে থাকে। তাদের থেকে গোপন তথ্য পেয়ে কেএনএফ সন্ত্রাসীরা হামলা চালায়। আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর টহল সম্পর্কেও তথ্য প্রচার করে থাকে। ব্যাংক ডাকাতির ঘটনায়, সহকারী ক্যাশিয়ার লালপিয়াম বমকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ২৮ এপ্রিল আটক করেছিলো।
সরকারি বিভিন্ন দপ্তর গুলোতে দেখা যায় বম সম্প্রদায়ের কিছু জনবল চাকরি করে তথ্য ফাঁস করে আসছে। তারা মূলত ঘাপটি মেরে দেশবিরোধী সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সহযোগী হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে। কিছু সন্দেহভাজন এরকম অসাধু কর্মকর্তা কর্মচারীকে যদি আইনের আওতায় আনা হয় তাহলে গোপন তথ্য বের হয়ে আসবে। নাথান বমের স্ত্রী অনেক দিন ধরে সরকারি চাকরির সুবাদে তথ্য ফাঁস করে আসছিল। পরবর্তীতে যখন তাকে রুমা থেকে লালমনিরহাটে বদলী দেওয়া হয় ঠিক তখন সে চাকরি থেকে পালিয়ে যায়। এই ঘটনা গুলো থেকে প্রমাণিত বম সম্প্রদায়ের কিছু চাকরিজীবি কেএনএফ এর কাছে সরকারি তথ্য ও নুথিপত্র ফাঁস করেছে।
বম ও কেএনএফ এর আরও কিছু অসাধু ব্যক্তি যারা কীনা গাড়ি চালক, দিনমজুরি কাজ করে, এবং বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চাকরি করে, বিভিন্ন এনজিও তে চাকরি করে, তারা বিভিন্ন সংবাদ কালেকশন করে তাদের হেডকোয়ার্টারে পৌঁছিয়ে দেয়। তাদের এই সমস্ত তথ্যের মাধ্যমে কেএনএফ সদস্যরা বিভিন্ন রূপ ধারণ করে। বম সম্প্রদায়ের কিছু লোক রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে সোচ্চারভাবে কাজ করে থাকে। এ সমস্ত তথ্য ফাঁসকারীদের কঠিন শাস্তির আওতায় আনা প্রয়োজন।