শিক্ষা উন্নয়নে ভূমিকা রাখায় অনগ্রসর জাতির আলোর প্রদীপ সেনাবাহিনী।

0
3

অপূর্ব সাচিং, বিশেষ প্রতিনিধি: হিলনিউজবিডি: রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান নিয়ে গঠিত পার্বত্য চট্টগ্রাম, বাংলাদেশের অন্য ৬১টি জেলার চেয়ে ভিন্ন প্রকৃতির এটি। ‘শান্তি, সম্প্রীতি ও উন্নয়ন’ মূলমন্ত্রকে সামনে রেখে পার্বত্য চট্টগ্রামে সরকারের পাশাপাশি শিক্ষা উন্নয়নে বিরামহীন কাজ করে যাচ্ছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। দুর্গম পাহাড়ী ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর শিক্ষার আলোয় আলোকিত করতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
বাংলার এক দৃশ্যদন্দিত চোখ জুড়ানো স্বপ্নীল ভূস্বর্গ হলো পার্বত্য চট্টগ্রাম। অপার সম্ভাবনার এ ভূস্বর্গটি শান্তিচুক্তি সম্পাদনের পূর্বে ছিল অশান্ত দুর্গম প্রতিকূল এক ভয়ংকর জনপদ। এ অঞ্চল ঘিরে বাংলাদেশের যেকোনো সরকারকে উন্নয়নের কাজ সম্পাদনে ব্যাপকহারে হিমসিম খেতে হতো। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেন্ত্রী শেখ হাসিনার অসামান্য দক্ষতায় ১৯৯৭ সালের ২ রা ডিসেম্বর সম্পাদিত হয় পার্বত্যচুক্তি। এর পর থেকেই পাল্টে যায় সকল প্রকার উন্নয়নের চিত্র। পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়ী জনপদে যখন আদিমযুগের মত পায়ে হেঁটে, বোট, নৌকা আর কলার ভেরালী দিয়ে চলতে হতো, পাহাড়ী দুর্গম এলাকাগুলোতে যখন শিক্ষার আলো ছড়ায়নি, বিভিন্ন দুর্গম অঞ্চলে যখন কোন শিক্ষার আলো পৌছায়নি, স্বাস্থ্য সেবা ছিল মানুষের জন্য এক অনিশ্চিত বিষয়, যোগাযোগ ব্যবস্থার জন্য জনপদ ছিল চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসীদের নিয়ন্ত্রণে, এমন এক কালো অনিশ্চিত জীবনধারার বাস্তবিক অধ্যায়কে সামনে রেখে চলমান পাহাড়ে শিক্ষা উন্নয়নের সমস্যাকে নিরসন করার লক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।

একটি জাতির উন্নতির চাবিকাঠি হচ্ছে শিক্ষা। মেধা ও মননে আধুনিক এবং চিন্তা-চেতনায় প্রাগ্রসর একটি জাতি তৈরি করাই শিক্ষার লক্ষ্য। বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষানীতির মূল উদ্দেশ্য মানবতার বিকাশ এবং জনমুখী উন্নয়ন ও প্রগতিতে নেতৃত্বদানের উপযোগী মননশীল, নীতিবান, সকল ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, কুসংস্কারমুক্ত, পরমতসহিষ্ণু, অসাম্প্রদায়িক, দেশপ্রেমিক এবং সম্প্রীতির বন্ধনের সৎ নাগরিক গড়ে তোলা। সরকারের এ লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যকে ত্বরান্বিত করার লক্ষে দুর্গম পার্বত্য চট্টগ্রামে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার সাংবিধানিক দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে। পার্বত্য চট্টগ্রামে প্রান্তিক জনপদে অবকাঠামো উন্নয়নের পাশাপাশি শিক্ষার মান উন্নয়নে সর্বাত্মক কাজ করে যাচ্ছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। দুর্গম এ অঞ্চলে সরকারের জনমুখী শিক্ষানীতি বাস্তবায়নে সম্প্রীতি উন্নয়নের জন্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনী স্কুল, কলেজ, কারিগরি শিক্ষা ইত্যাদি প্রতিষ্ঠাপূর্বক অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে পরিচালনা করছে, এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠার জন্য সহায়তা করছে। প্রত্যন্ত অঞ্চলে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিতে শিক্ষার্থীদের শিক্ষার্জনে আরো বেশি আগ্রহী করতে বিতরণ করা হচ্ছে নানার রকম শিক্ষা উপকরণ। দুর্গম পার্বত্য চট্টগ্রামে সকল শ্রেণি-পেশার নাগরিকের সন্তানদের জন্য এ সকল প্রতিষ্ঠান উন্মুক্ত রয়েছে। পার্বত্য চট্টগ্রামে সেনাবাহিনী কর্তৃক পরিচালিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে পাঠ্যসূচির পাশাপাশি খেলাধুলাসহ বিভিন্ন ধরনের সহশিক্ষা কার্যক্রম, শৃঙ্খলা, নৈতিক শিক্ষা, দায়িত্ববোধ, দেশপ্রেম সম্প্রীতি উন্নয়ন ইত্যাদি বিষয়ে নিয়মিত প্রেষণা প্রদান করা হয়ে থাকে। বিশ্বায়নের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় শিক্ষার্থীগণকে ICT বিষয়ে ও কারিগরিসহ আধুনিক সুযোগ-সুবিধা প্রদানে এ সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সর্বাধিক গুরুত্ব আরোপ করছে। অনগ্রসর জাতিকে অগ্রসর করে একটি সুশিক্ষিত জাতি গড়ে তোলার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দূর্গম পার্বত্য চট্টগ্রামের জন্য বেশি অবদান রাখছে।

যেভাবে শিক্ষার আলোয় আলোকিত করা হচ্ছে পার্বত্য চট্টগ্রামকে-
পার্বত্য চট্টগ্রামের সর্বত্র শিক্ষাকে ছড়িয়ে দিয়ে শিক্ষার আলোয় অবহেলিত পার্বত্য চট্টগ্রামকে আলোকিত করার প্রয়াসে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পশ্চাত্পদ ও দুর্গম অঞ্চলে প্রত্যেকটি সেনানিবাসে স্কুল ও কলেজ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করছে। পাশাপাশি অনেক প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠার জন্য সহায়তা করছে। এই প্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষার্থীদেরকে শৃঙ্খলা, নৈতিক মূল্যবোধ, কর্তব্যপরায়ণতা, শিষ্টাচার সহজীবন-যাপনের মানসিকতা, সৌহার্দ্য, সহিষ্ণুতা, সম্প্রীতির বন্ধন তৈরি,অধ্যাবসায় ইত্যাদি গুণাবলী অর্জন করে বিজ্ঞান ও সংস্কৃতিমনস্ক, কুসংস্কারমুক্ত একজন সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালানো হয়ে থাকে। পরিচালনা পর্ষদের দায়িত্বশীল তদারকি এবং প্রশিক্ষিত শিক্ষকগণের আন্তরিক পরিচর্যার কারণে এ সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয় পরীক্ষাসমূহে ঈর্ষণীয় ফলাফল অর্জন করছে। এ সকল প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা পাঠ্যসূচির পাশাপাশি সহশিক্ষা কার্যক্রমে জাতীয় পর্যায়ে কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখে চলেছে। সমগ্র বাংলাদেশে সেনাবাহিনী কর্তৃক পরিচালিত এ জাতীয় মোট ৪৭টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বর্তমানে ৯৯,১২৩ জন শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত রয়েছে। এ সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছাড়াও বিভিন্ন সেনানিবাসে মোট ৩৯টি ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড স্কুল ও কলেজ রয়েছে। সেনাবাহিনী এবং সামরিক ভূমি ও সেনানিবাস অধিদপ্তর-(ডিএমএলসি) এর সমন্বয়ে পরিচালিত এই প্রতিষ্ঠানসমূহে বর্তমানে মোট ৫২,০৩৮ জন ছাত্র-ছাত্রী অধ্যয়নরত রয়েছে। তার মধ্যে পার্বত্য চট্টগ্রামে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ২৩টি আর সেনাবাহিনী কর্তৃক সহায়তা প্রদান করা হয় ৫৮টির ও বেশি প্রতিষ্ঠানে। সেনাবাহিনীর সার্বিক অর্থায়নে সংগীত বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে পাহাড়ি-বাঙালি ছেলেমেয়েদের সুকোমল মনোবৃত্তির চর্চায় আগ্রহী করে তোলায় সেনাবাহিনী কার্যকর ভূমিকা রেখে চলেছে।
পার্বত্য চট্টগ্রামে স্কুলের স্বল্পতা এবং যোগাযোগ ব্যবস্থার অসুবিধার কারণেও অনেকেই শিক্ষা গ্রহণ কার্যক্রমের বাইরে থেকে যায়। সার্বিক পরিস্থিতি হতে উত্তরণের মাধ্যম হিসেবে সেনাবাহিনীর সার্বিক ব্যবস্থাপনা এবং অর্থায়নে সমগ্র পার্বত্য চট্টগ্রামজুড়েই অনেক ইংরেজি ও বাংলা মাধ্যমের স্কুল (দিবা ও নৈশ) প্রতিষ্টা করে পরিচালনা করে আসছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। সেনাবাহিনী পার্বত্য চট্টগ্রামের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামো থেকে শুরু করে শিক্ষকদের বেতন-ভাতা, বই বিতরণ, শিক্ষাসামগ্রী প্রদান, ছাত্র-ছাত্রী পরিবহন, আর্থিক অনুদান, কম্পিউটারসহ বিভিন্ন শিক্ষাসামগ্রী, ছাত্র-ছাত্রীদের স্কুল ড্রেস ও খেলাধুলার সামগ্রী বিতরণ করে সর্বদা স্থানীয় পাহাড়ি-বাঙালিদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। সেনাবাহিনী প্রতিবছরই শিক্ষাকে সর্বাগ্রে নিয়ে আসা, সর্বস্তরের প্রতিনিধিদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধিসহ মানসম্মত ও কর্মঠ শিক্ষকের প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরার জন্য শিক্ষা সেমিনারের আয়োজন করে।

এছাড়াও ছাত্র-ছাত্রীদের মেধার বিকাশ ও জ্ঞানের নানামুখী চর্চায় সুযোগ্য মানুষ হয়ে গড়ে ওঠার জন্য আন্তঃস্কুল বিতর্ক, বানান ও কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করে সেনাবাহিনী। সেনা রিজিয়ন/জোন কর্তৃক পরিচালিত কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে এ পর্যন্ত উল্লেখযোগ্য সংখ্যক পাহাড়ি-বাঙালি প্রশিক্ষণার্থী কম্পিউটার প্রশিক্ষণে দক্ষতা অর্জন করেছে, যা তাদের কর্মসংস্থান বা চাকরি পেতে সহায়তা করছে।
সর্বোপরি, পিছিয়ে পড়া জনপদের মানোন্নয়ন প্রক্রিয়া সমুন্নত করা এবং সকলের নিকট সর্বোচ্চ সুবিধা পৌঁছে দেওয়াও সেনাবাহিনী কর্তৃক সম্পাদিত কার্যসমূহের অন্তর্নিহিত লক্ষ্য। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত জনসাধারণের আর্থ-সামাজিক ব্যবস্থার উন্নয়নের লক্ষ্যে নিয়মিতভাবে উন্নয়নমূলক প্রকল্পের আওতায় বিভিন্ন উন্নয়নমুখী কার্যক্রম, খাদ্য সমস্যা নিরসন, বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত স্থানীয় ব্যক্তিদের চিকিৎসাসেবা, দরিদ্র ব্যক্তিদের স্বাবলম্বী হতে সহযোগিতা, দরিদ্র শিক্ষার্থীদের শিক্ষা উপকরণ বিতরণ, দুর্গম এলাকায় পানির কষ্ট লাঘবে সুপেয় পানির ব্যবস্থা এবং বেকার ব্যক্তিবর্গের কর্মসংস্থানের জন্য ক্ষুদ্র কারখানা স্থাপন করে আসছে।
পার্বত্য চট্টগ্রাম বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কতৃর্ক সকল প্রকার শিক্ষা বিস্তারের মাধ্যমে পাহাড়ি-বাঙালিদের মধ্যে বিদ্যমান সম্পর্ক অত্যন্ত সৌহার্দ্যপূর্ণ ও বিশ্বাসের ভিত্তিতে রচিত হয়। পাহাড়ি-বাঙালিদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে পাড়া, মৌজা, ইউনিয়ন, উপজেলা এবং সবশেষে জেলা পর্যায়ে বিভিন্ন খেলাধুলার আয়োজন, জনগোষ্ঠীর স্বকীয়তা ধারণ ও চর্চার উদ্দেশ্যে পাহাড়ি-বাঙালিদের সম্পৃক্ততায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। যা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সহজ হয়েছে। দুর্গম পার্বত্য এলাকার জনগণের সুষ্ঠু বিনোদনের জন্য সেনাবাহিনী কর্তৃক বিগত বছরে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজনের পাশাপাশি উন্মুক্ত চলচ্চিত্রও প্রদর্শন করা হয়।
বিভিন্ন সেনা ক্যাম্পের সন্নিকটে অথবা উপজেলার সুবিধাজনক স্থানে সেনাবাহিনী হতদরিদ্র পাহাড়ি-বাঙালি মহিলাদের ক্ষমতায়ন এবং আত্মনির্ভরশীল করে গড়ে তোলার প্রয়াসে কম্বল ও ব্যাগ ফ্যাক্টরি, কুটির শিল্প ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করে অনেক পাহাড়ি-বাঙালি মহিলাকে চাদর, থামি, লুঙ্গি ও গামছা তৈরির প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়ে থাকে। যা শিখার পর নিজেদেরকে আত্ম নির্বরতা করে তুলতে পেরেছে অনেকে।
এ উদ্যোগ বাস্তবায়নে সেনাবাহিনী কর্তৃক বিভিন্ন তাঁত তৈরি ও কাঁচামাল ক্রয় বাবদ প্রয়োজনীয় অর্থ প্রদান করা হয়। বিভিন্ন গুচ্ছগ্রামে মহিলাদের কর্মসংস্থান তৈরিতে উদ্ভাবনী পদ্ধতিতে মুরগির ফার্ম পরিচালনা ও এ সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ প্রদান, মাশরুম, স্ট্রবেরি, ড্রাগন ফল চাষের প্রশিক্ষণ ও প্রত্যক্ষ সহায়তা প্রদান করায় তাদের পারিবারিক ভরণপোষণ ক্ষমতা ও সচ্ছলতা বৃদ্ধি পেয়েছে।
পার্বত্য চট্টগ্রামে প্রথমত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করা হয়। এর পর অনাগ্রসর এলাকাতে দেখে দেখে বিভিন্ন স্থানে প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করে পরিচালনা করা হয়। বিভিন্ন দুর্গম এলাকাগুলোতে যতায়ত নিশ্চিত করে শিক্ষা বিস্তার করার লক্ষে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।
বর্তমান সরকার ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ঐকান্তিক প্রচেষ্ঠায় পার্বত্য চট্টগ্রামে নিজ নিজ ভাষায় এখন শিক্ষা লাভ করতে পারছে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সম্প্রদায় শিক্ষার্থীরা। যা সংস্কৃতির এক বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। পার্বত্য চট্টগ্রামে ২ শতাংশ শিক্ষার হার থেকে ৪৫.৫০ শতাংশে উন্নতি লাভ করতে সক্ষম হয়েছে। যার অধিকাংশ অবদান বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর।

আগের পোস্টবাঙালিদের কোটায় অন্তর্ভুক্ত করার দাবিতে স্মারকলিপি: ছাত্র পরিষদ বান্দরবান।
পরের পোস্টউপজাতিরা জাতিসংঘের সংজ্ঞা অনুযায়ী আদিবাসী পূর্বশর্তসমূহ পূরণ করেনা।

রিপ্লাই দিন

আপনার কমেন্ট লিখুন
আপনার নাম লিখুন