রাজনৈতিক হীন উদ্দেশ্য আদায়ে নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে তৎপর ইউপিডিএফ।

0

গত কয়দিন আগেও পাহাড়ে বন্যা পরিস্থিতিতে যখন পাহাড়িরা না খেয়ে মৃত্যুর মুখে ছিল তখন কিন্তু সেনাবাহিনী ছাড়া পাহাড়ীদের পাশে এই ইউপিডিএফ এগিয়ে আসেনি। আজ সেনাবাহিনীর গাড়ির সামনে এগিয়ে এসে যারাই স্লোগান দিচ্ছে এবং সেনাবাহিনীর ভিডিও করে সেনাদের বিরুদ্ধে যে প্রোপাগান্ডা ছড়াচ্ছে তারা বন্যার সময় কোথায় ছিল? তখন তাদের জাত প্রেম কোথায় ছিল?? আন্দোলনের নামে তারা যে রাস্ট্রের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র করে আসছে তা কিন্তু সকলের কাছে স্পষ্ট।

সারাদেশে বৈষম্যমূলক কোটা বিরোধী আন্দোলন সর্বপ্রথম যখন শুরু হয় তখন পাহাড়ের উপজাতি ছাত্র-ছাত্রীরা কোনপ্রকার আন্দোলনে যুক্ত ছিলনা। শুধুমাত্র রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৭/৮ জন ছাত্র তবলছড়ি সংলগ্ন সড়কে আন্দোলন করেছিল। সেদিন আন্দোলনকারীর চেয়ে পুলিশের সংখ্যা বেশি ছিল। হয়তো নেট ঘাটলে সেছবি গুলো পাওয়া যেতে পারে। সুযোগ সন্ধানী ইউপিডিএফ সবসময় সুযোগের অপেক্ষায় থাকে। যেমন, গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে গত ৫ আগস্ট সরকারের পতন হলো ঠিক তখনই রাজনৈতিক হীন উদ্দেশ্য আদায়ে পাহাড়ের সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের মাঠে নামিয়ে দেয় ইউপিডিএফ। কথিত বৈষম্য বিরোধী পাহাড়ি ছাত্র আন্দোলন দিয়ে ইউপিডিএফ দাবিদাওয়া উত্থাপনের মাধ্যমে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চিরস্থায়ী বন্দোবস্তো করার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে। একই সাথেই পার্বত্য জেলা পরিষদ পূর্ণগঠন হলে সেখানে নিজেদের প্রতিনিধি নিযুক্ত করতে মাঠে নেমেছে। এটাই যে আসল বিষয় তা কারোরই অজানা নয়।

আজ বৈষম্য বিরোধী পাহাড়ি ছাত্র আন্দোলন ব্যানারে ইউপিডিএফ রাঙামাটি ও খাগড়াছড়ি সকাল ১০ ঘটিকা হইতে বিক্ষোভ মিছিল কর্মসূচী করে। ছাত্র-ছাত্রীদের ভয়ভীতি প্রদর্শন করে কর্মসূচীতে নিয়ে আসে বলে অভিযোগ উঠে। ইউপিডিএফ সহযোগী অঙ্গসংগঠন পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ, হিল উইমেন্স ফেডারেশন ও গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম এই আন্দোলনের নেতৃত্ব দেয়। এই আন্দোলন কর্মসূচীতে ৮ দফা দাবি ছিল! দাবিগুলো সম্পূর্ণ অযৌক্তিক ও দেশের বর্তমান পরিস্থিতি অনুযায়ী বেমানানই। আজ যখন খাগড়াছড়ি সদর দিয়ে সেনাবাহিনীর ৩/৪ জন সদস্য বিশিষ্ট একটি গাড়ি জরুরী কাজে যাচ্ছিল ঠিক তখনই পাহাড়ে সহিংসতা ঘটনা ও নৈরাজ্য সৃষ্টি করার মাধ্যমে রাজনৈতিক হীন উদ্দেশ্য আদায়ে সেনাদের গাড়িটি উদ্দেশ্য করে উস্কানিমূলক স্লোগান দিয়ে এগিয়ে আসতে থাকে। কিন্তু সেনাবাহিনী ক্ষয়ক্ষতির বিবেচনায় এবং পাহাড়ি নারীদের নিরাপত্তার কথা ভেবেই তাৎক্ষণিক গাড়িটি সেখান থেকে ঘুরিয়ে চলে যায়৷ ইউপিডিএফ নিয়ন্ত্রিত সোশ্যাল মিডিয়া একাউন্টগুলো সেনাদের কয়েক সেকেন্ডর একটি ভিডিও ছেড়ে দিয়ে সেনাবাহিনীর দুর্বলতা তুলে ধরার চেষ্টা করে। কিন্তু সচেতন পার্বত্যবাসী জানে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সক্ষমতা সম্পর্কে। তাই ভিডিও’টি নিয়ে ইউপিডিএফ যতই বাহাদুরি মনে করুন না কেন সচেতন মহল তা ঘৃণার সাথে প্রত্যাখ্যান করেছে। ইউপিডিএফের এই কাজকে দুঃখজনক হিসেবে আখ্যায়িত করে এটি নোংরা রাজনীতির অংশ হিসেবে উল্লেখ করেন। ইউপিডিএফ হয়তো জানে না একটি রাস্ট্রের সর্ব বৃহত্তম বাহিনী কতটা শক্তিশালী এবং কতটা শত্রু মোকাবেলা পারদর্শী হয়। সেনাবাহিনী সবসময় মানবাধিকার বিষয়ে সচেতন এবং ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর জাতিসত্তাগুলোর সুরক্ষায় কাজ করে আসছে। তারই আলোকেই সেনাবাহিনী ইউপিডিএফের উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ফাঁদে পা বাড়ায়নি। এর ফলে ইউপিডিএফ আন্দোলনে ব্যর্থ হয়েছে বলে অভিমত দেন সচেতন মহল।

আগের পোস্টবিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা ও ঔষধ প্রদান করেছে রাঙ্গামাটি জোন।
পরের পোস্টআঞ্চলিক সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে পাহাড়ী জনগণের সত্যিকারের বন্ধু বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।

রিপ্লাই দিন

আপনার কমেন্ট লিখুন
আপনার নাম লিখুন