ছাত্র আন্দোলনের সুযোগ নিচ্ছে ইউপিডিএফ সহ অন্যান্য আঞ্চলিক দল।

0

স্বাধীনতার ৫৪ বছর পরও পার্বত্য এলাকায় বসবাসরত জনসাধারণ সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের নির্যাতন ও নিপীড়নের কারণে স্বাধীনতার প্রকৃত মুক্তির আনন্দ উপলব্ধি করতে পারেনি। এখানকার পাহাড়ী ও বাঙ্গালী উভয়ই সন্ত্রাসীদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ। এই নির্যাতন থেকে মুক্তির নিশ্চয়ই কোন পথ আছে বলে তারা বিশ্বাস করতে চায় কিন্তু সে পথের শেষ প্রান্ত যে কত দূরে তা তারা এখনও দেখতে পাচ্ছে না। গত ৫-ই আগষ্ট ২০২৪ দেশ নতুন করে ছাত্রদের আন্দোলনে অভ্যুত্থান হওয়ার পর দেশের সাধারণ মানুষ স্বস্তির শ্বাস নিতে খুশিতে ডগমগ হয়ে দিকবিদিক হন্য হয়ে জয়ের গান গেয়ে বেড়াচ্ছে।
পার্বত্য চট্টগ্রামে ও এর বিপরীতে নয়। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নিরপেক্ষতা ছিল দেশের সাধারণ জনগণের আশার প্রদীপ। সর্বশেষ সেটিই হয়েছে দেশে। কিন্তু সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশের চিত্র নতুনরূপে সাজাতে যখন তরুন সমাজ ব্যস্ত। তখন পার্বত্য চট্টগ্রামে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে ব্যস্ত উপজাতি সন্ত্রাসী দলগুলো। দেশমাতৃকার অকুতোভয় দুঃসাহসী সন্তানদের আন্দোলনের তোপে দূর্নীতিবাজ সরকারের পতন হতে না হতেই মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে উপজাতি সন্ত্রাসীদলগুলো। তারা ছাত্র আন্দোলনের সুযোগ নিয়ে দেশ প্রেমিক বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের উত্তেজনা মূলক কর্মকান্ড করতে দেখা যায়। দেশের সাধারণ জনগণ যখন দেশ পূণঃগঠনে ব্যস্ত ঠিক সেই সুযোগে দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্রে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে উপজাতি সন্ত্রাসী দলগুলো। তাদের মধ্যে ক্ষমতা প্রদর্শনে দেখা যায় এক গ্রুপ অন্য গ্রুপকে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া লাঠিপেটা করছে। ক্ষমতা জানান দিতে রাঙ্গামাটি সদরে জেএসএস ও ইউপিডিএফ মারাত্মক রূপ ধারণ করে। এক পর্যায় তারা বেপরোয়া হয়ে পড়ে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করে তাদের নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হন। তাদের মিছিলে দেখা যায় সেনাবাহিনী ও নিরাপত্তা বাহিনীর বিরোধী আচরণ ও বিভিন্ন দেশ বিরোধী স্লোগান। দেশের আইন শৃঙ্খলা যখন ছাত্রদের হাতে নিয়ন্ত্রিত হচ্ছিল। সে সুযোগে তারা বিভিন্ন কৌশলে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চেয়েছিল। কিন্তু চৌকস বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সহযোগিতা তারা ছিন্নভিন্ন হয়ে পড়ে এবং তাদের পরিকল্পনা ভেস্তে যায়। ছাত্ররা যখন স্বৈরশাসকের পতন ঘটিয়ে দেশের সকল ক্ষেত্রে বৈষম্য দূরীকরণে কাজ করছে, তখন পাহাড়ি সন্ত্রাসীরা বৈষম্যমূলক বিভিন্ন দেশ বিরোধী স্লোগান গ্রাফিতে অঙ্কন করে দেশে অরাজকতা সৃষ্টি করতে চাচ্ছে। কিন্তু সাধারণ শিক্ষার্থী ও জনগণ তা প্রত্যাখান করে তাদের বিরুদ্ধে গ্রাফিতি করে দেশের সাধারণ জনগণে দেশ প্রেমে উদ্বুদ্ধ করছে। বৈষম্য কোটা আন্দোলনের সুযোগ সুবিধা উপজাতিরা বেশি পেয়েও তাদের সন্ত্রাসী সংগঠনের ইন্ধনে বিভিন্ন স্থানে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চেয়েছিল এবং ষড়যন্ত্র করে বিভিন্ন বিতর্কের সৃষ্টি করেছে যা দুঃখজনক। দেশের বিশৃঙ্খল মূহুর্তে সন্ত্রাসী দলগুলো তাদের বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে পাহাড়ে অশান্তি সৃষ্টির জন্য কিছু কিছু স্থানে মিটিং মিছিল করতে দেখা যায়। তাতে তাদের উপস্থিতি ছিল খুবি কম। যারা ছিল তারা ছিল সন্ত্রাসীদলের সদস্যরা। সাধারণ জনগণ তাদের বিভিন্নভাবে প্রত্যাখান করেছে সেটা তারা উপলব্ধি করে জনগণকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে বলে অনেক অভিযোগ উঠেছে। একটি চমৎকার বিষয় অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনে পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে একজন উপদেষ্টা নেয়া হয়েছে। সেক্ষেত্রে ও তাদের বিরোধ মূলক আচরণ দেখা যায়। কারণ ছিল সুপ্রদীপ চাকমা হল একজন নিরপেক্ষ মানুষ। তারা চেয়েছিলেন সন্ত্রাসী মনোভাব পোষণ করা কোন কেহ উপদেষ্টা হউক। তাতে তাদের জন্য পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে সুবিধা হবে। অতীতে তারা তাই করে এখন অবধি নিজেদের দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রেখেছে। সাধারণ জনগণ আশা করে সুপ্রদীপ চাকমা পার্বত্য চট্টগ্রামে সকল জনতার দুঃখ সুখের ক্ষেত্রে সহায়ক হযে কাজ করবেন। তিনি কারো পক্ষ নেবেন না।

বৈষম্য ছাত্র আন্দোলনের সুযোগ নিয়ে পাহাড়ে যেভাবে সন্ত্রাসীরা মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছেছিল, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী তা নিয়ন্ত্রণ না করলে পাহাড়ি জনপদ অশান্ত হয়ে পড়তো। তারপরও সন্ত্রাসী দলগুলো বিভিন্ন সুযোগ বুঝে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে পারে। সকলকে সচেতন থাকতে অনুরোধ করছি।

আগের পোস্টবম সন্ত্রাসীরা ‘শান্তিপ্রিয় বম জনগোষ্ঠীর’ প্রতিনিধিত্ব করেনা।
পরের পোস্টশান্তি চুক্তির পরেও পাহাড়ে অশান্তির কারণ কী?

রিপ্লাই দিন

আপনার কমেন্ট লিখুন
আপনার নাম লিখুন