বন্যায় উপজাতিদের পাশে কেবলই সেনাবাহিনী।

0

টানা বৃষ্টি আর উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে দেশের অন্যান্য অঞ্চলের ন্যায় পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়িও প্লাবিত হয়। এতে হাজার হাজার উপজাতি পরিবার পানি বন্দি অবস্থায় জীবননাশের ঝুকিতে পড়ে। এমন করুণ পরিস্থিতিতে উপজাতিদের দাবি আদায়ের বিভিন্ন সংগঠন থাকলেও বন্যার্তদের উদ্ধার ও ত্রাণ সহায়তায় কেউ এগিয়ে আসেনি। শুধুমাত্র বাংলাদেশ সেনাবাহিনী তাদেরকে উদ্ধার এবং ত্রাণ সহায়তা দিয়ে সর্বদা পাশে থেকেছে।

দিনভর উদ্ধার কার্যক্রমের মাধ্যমে খাগড়াছড়ি, রাঙামাটি ও বান্দরবান জেলার প্রায় ৩ হাজার বাসিন্দাকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে সেনাবাহিনী। সেনাবাহিনীর নিরলস প্রচেষ্টার মাধ্যম বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত যাদেরকে আশ্রয় কেন্দ্রে আনতে সক্ষম হয়েছে তাদের প্রত্যেককে রান্না করা খাবার, শুকনা খাবার, মোমবাতি, দিয়াশলাই, স্যালাইনসহ যাবতীয় প্রয়োজনীয় সামগ্রী পৌঁছে দেয়া হয়েছে। সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে আরো আস্বস্ত করা হয়েছে যে, বন্যা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রমের পাশাপাশি চিকিৎসা সেবা প্রদান অব্যাহত রাখা হবে।

গত কয়েকদিন ধরেই বানভাসি উপজাতি জনগোষ্ঠীর পাশে দাঁড়িয়েছেন সেনাবাহিনী:
খাগড়াছড়ি শহরের অপর্ণা চৌধুরী পাড়া, পানখাইয়াপাড়া, ও স্বনির্ভর এলাকা থেকে বন্যার পানিতে আটকে পড়া উপজাতি পরিবারকে উদ্ধার করেছে সেনাবাহিনী।

রাঙামাটি ও বান্দরবান পাহাড়ে ঝুঁকিতে বসবাসরত উপজাতি পরিবারগুলোকে নিরাপদ আশ্রয় শিবিরে সরিয়ে নেয় সেনাবাহিনী।

জানা গেছে, নিচু এলাকা হওয়ার কারণে খাগড়াছড়ি দীঘিনালার মেরুং ইউনিয়নের বেশির ভাগ এখনও পানিবন্দি। কবাখালী ও বোয়ালখালী ইউনিয়নের বেশ কয়েকটা গ্রাম এখনও প্লাবিত। এলাকাগুলোর উপজাতিদের উদ্ধার করে আশ্রয় নিশ্চিত করতে সেনাবাহিনী প্রতিকূল ধ্বংসাত্মক পরিস্থিতি মোকাবেলা করে পাশে দাঁড়ান। এখানে উপজাতি সংগঠনগুলোর আধিপত্য কিন্তু তারা এগিয়ে আসেনি!

এছাড়াও খাগড়াছড়ির বন্যার পানি রাস্তা থেকে নেমে যাওয়ায় সেনাবাহিনীর বাঘাইহাট জোনের তত্ত্বাবধানে এবং বেসামরিক ব্যক্তিদের প্রচেষ্টায় সড়কে যান চলাচলের উপযোগী করা হয়। পরে সেখানে আটকে পড়া উপজাতিদের নিরাপদে সরিয়ে আনে সেনাবাহিনী।

অথচ এই সেনাবাহিনীকে পাহাড় থেকে বিতাড়িত করতে উপজাতিদের সশস্ত্র গ্রুপ গুলো সর্বদা প্রোপাগান্ডা ছড়িয়ে থাকে। আমরা গত দু’দিন আগেও দেখেছি, পাহাড় থেকে সেনাবাহিনী প্রত্যাহারের দাবিতে সোচ্চার হতে উপজাতি সংগঠনগুলোকে। যাদেরকে পাহাড় থেকে বিতাড়িত করতে আন্দোলন সংগ্রাম করা হয় তারাই পাহাড়ের উপজাতিদের দুর্দিনে একমাত্র ত্রাণকর্তা হিসেবে উপস্থিত হয়।

এছাড়াও প্রাকৃতিক দুর্যোগ, শিক্ষা, চিকিৎসা, উন্নয়নসহ সকল বিষয়ে পাহাড়ের জনগণের পাশে সবার আগে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী অগ্রণী ভূমিকা পালন করে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর এই দেশপ্রেম ও মহানুভবতা পার্বত্য চট্টগ্রামের মাটিও মানুষ সারাজীবন শ্রদ্বার সাথে মনে রাখবে।

আগের পোস্টসন্তু লারমাকে দেখা যায়নি কোন ত্রাণ শিবিরে!
পরের পোস্টকর আদায়ের সময় দেখা গেলেও বিপদের সময় স্বজাতির পাশে নেই ব্যারিস্টার দেবাশীষ রায়।

রিপ্লাই দিন

আপনার কমেন্ট লিখুন
আপনার নাম লিখুন