বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদে ভাইস-চেয়ারম্যানের একটি পদ সৃষ্টি করে সেখানে বাঙালি প্রতিনিধি নিয়োগের দাবি জানিয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ নামক একটি সংগঠন।
এই দাবিতে বান্দরবানের জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বরাবর একটি স্মারকলিপি প্রেরণ করা হয়েছে। স্মারকলিপিতে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ বান্দরবান পার্বত্য জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মো. নাছির উদ্দিনের স্বাক্ষর রয়েছে।
এ ব্যাপারে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার অবগতির জন্য মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪) সচিবের কাছে একটি পত্র ও স্মারকলিপির সংযুক্তি পাঠিয়েছেন বান্দরবানের জেলা প্রশাসক (ডিসি) শাহ্ মোজাহিদ উদ্দিন। এছাড়া এর অনুলিপি পাঠানো হয়েছে চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার, বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার একান্ত সচিবের কাছে।
এর আগে রবিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) ওই স্মারকলিপি জেলা প্রশাসকের কাছে দাখিল করে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ। স্মারকলিপিতে বলা হয়, ১৯৮৯ সালে জেলা পরিষদ আইনের মাধ্যমে বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ গঠন করা হয়। ১৯৯৮ সালে এই আইন সংশোধনের মাধ্যমে একজন চেয়ারম্যান, ১৯ জন উপজাতি সদস্য ও ১০ জন অ-উপজাতি সদস্য নিয়ে জেলা পরিষদ গঠনের বিধান করা হয়, যদিও এর সম্পূর্ণ বাস্তবায়ন পরিলক্ষিত হয়নি।
স্মারকলিপিতে আরও উল্লেখ করা হয়, ৩৫ বছর ধরে আইনী কারণে বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদে কোনো বাঙালি ব্যক্তি চেয়ারম্যান পদে দায়িত্ব পাননি। অথচ পার্বত্য বান্দরবান জেলায় ৫৪ শতাংশ বাসিন্দা বাঙালি এবং সেখানে এমন বৈষম্য হওয়া অপ্রাসঙিক। এতে বাঙালিদের আশা-আকাঙ্ক্ষারও প্রতিফলন ঘটছে না। উপরন্তু সম্পূর্ণ নির্বাহী ক্ষমতা চেয়ারম্যানের হাতে ন্যস্ত থাকায় দুর্নীতি ও অস্বচ্ছতার আশঙ্কাও রয়েছে। যেহেতু নতুনভাবে জেলা পরিষদ গঠন করা হচ্ছে, তাই সেখানে বাঙালি প্রতিনিধির নেতৃত্ব নিশ্চিত করতে একটি ভাইস-চেয়ারম্যান পদ সৃষ্টি করা জরুরি, যার মাধ্যমে জাতিগত বৈষম্য দূর করা সম্ভব হবে। পাশাপাশি চেয়ারম্যানের অনুপস্থিতিতে ভাইস-চেয়ারম্যান পরিষদের দায়িত্ব পালন করতে পারবেন, এমন আইন পাশ করারও দাবি জানানো হয় এতে।