হিল নিউজ বিডি প্রতিবেদক | রাঙামাটি
সম্প্রীতির রাঙামাটি অশান্ত করলো পার্বত্য চুক্তি বিরোধী সন্ত্রাসী সংগঠন ইউপিডিএফ। বনরূপা বাজার মসজিদে হামলা কেন? এর জবাব চাই৷ এই স্লোগানে প্রতিবাদ জানাচ্ছে ধর্মপ্রাণ মুসল্লীরা। পাহাড়ে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা লাগাতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করছে আঞ্চলিক সন্ত্রাসী দল ইউপিডিএফ প্রসীত। খাগড়াছড়ি দীঘিনালার সাম্প্রদায়িক উত্তেজনার পর শুক্রবার সকালে রাঙামাটি বনরূপা জামে মসজিদে ইউপিডিএফ এর উস্কানিতে হামলা করে কয়েক শতাধিক উগ্র পাহাড়ি যুবক।
গত ১৮ সেপ্টেম্বর ও ১৯ সেপ্টেম্বর খাগড়াছড়ি-দীঘিনালা সৃষ্ট ঘটনাকে রাঙামাটি টেনে এনে পাহাড়ে অরাজকতা তৈরি করতে চায় সন্ত্রাসীরা। খাগড়াছড়ি নিউজিল্যান্ড এলাকায় বাঙালি যুবক মোটরসাইকেল চালক মামুনকে হত্যা করে পাহাড়িরা। এর প্রতিবাদে দীঘিনালা বাঙালি ছাত্ররা বিক্ষোভ করলে তাদের উপর অতর্কিত ভাবে হামলা করে ইউপিডিএফ সহযোগী অঙ্গসংগঠন পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ ও গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম। পরে পাহাড়ি বাঙালি সংঘর্ষের রূপ নেয়৷ এই ঘটনার জের ধরে অদ্য ২০ সেপ্টেম্বর সকাল ১০ ঘটিকায় ইউপিডিএফ এর উস্কানিতে পাহাড়ি উগ্রবাদীরা রাঙামাটি শহরে দেশীয় অস্ত্র ও লাঠিসোঁটা নিয়ে মহড়া শুরু করে। এবং সর্বশেষ মসজিদে হামলা ও বাঙালিদের মারধরসহ বিভিন্ন স্থানে আগুন দিয়েছে। এর প্রভাবে শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে পাহাড়ি ও বাঙালিদের মধ্যে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টি হয়।
এর আগে ইউপিডিএফ মদদপুষ্ট বৈষম্য বিরোধী পাহাড়ি ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে লোকজনকে রাঙামাটি জিমনেসিয়াম মাঠে সমবেত করে৷ পরবর্তীতে ইউপিডিএফ উগ্র পাহাড়ি যুবকদের ব্যবহার করে বাঙালি ও সেনাবাহিনী বিরোধী উস্কানিমূলক স্লোগান দিয়ে রাঙামাটি শহরের ব্যস্ততম বনরূপা বাজারে নিয়ে যায়। সেখানে বাঙালিদের উপর এলোপাতাড়ি হামলা এবং মসজিদ ভাংচুর করে। এই ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়লে রিজার্ভ বাজার থেকে একদল বাঙালি এসে উগ্রবাদীদের ধাওয়া করে৷ পরবর্তীতে ভয়ংকর সংঘর্ষের রূপ নেয়।
পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের কার্যালয়ে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে৷ ফায়ার সার্ভিস এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এসময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা না ঘটলেও একটি গাড়ি পুড়ে যায়।
সন্ত্রাসীদের এই ঘৃণিত সাম্প্রদায়িক হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে সচেতন মহল।
পার্বত্য চট্টগ্রামের শান্ত পরিস্থিতি অশান্ত করতে মরিয়া এখানকার সন্ত্রাসী দলগুলো। তারা পাহাড়ে পাহাড়ি বাঙালি দাঙ্গা তৈরি করে রাজনৈতিক সুবিধা আদায়ে গভীর ষড়যন্ত্রে নেমেছে৷ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য ছড়িয়ে দিচ্ছে বাঙালিদের বিরুদ্ধে।
স্থানীয় অধিবাসীরা বলছেন, ঘটনার সূত্রপাত ও সাম্প্রদায়িক হামলা করেছে ইউপিডিএফ সন্ত্রাসীরা। কিন্তু এসব অপরাধ করেও ইউপিডিএফ রক্ষা পেয়ে যাচ্ছে৷ প্রশাসন তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ না করার কারণে পাহাড়ে বেপরোয়া ইউপিডিএফ।
রাঙামাটিতে পাহাড়ি-বাঙালি সহিংসতার ঘটনায় কোতোয়ালি থানা পুলিশ জানিয়েছে, এ ঘটনায় একজন পাহাড়ি নিহত হয়েছেন। বর্তমানে শহরে নিরাপত্তা টহল জোরদার করা হয়েছে। পাশাপাশি, সহিংসতায় জড়িত এবং হত্যাকাণ্ডে অংশগ্রহণকারীদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে পুলিশ জানিয়েছে।



