খাগড়াছড়ি লক্ষীছড়িতে দিবাগত রাত্রে ইউপিডিএফ প্রসিত সন্ত্রাসীরা দীঘিনালার ঘটনার পাহাড়ি বাঙালি সংঘর্ষের জের ধরে নৃশংস ঘটনা ঘটায়। সাঁওতাল পাড়া এলাকার ফটিকছড়ি- লক্ষ্মীছড়ি সড়কে হামলার ঘটনা ঘটে। আহত বাঙালিরা হলেন- ১. মোঃ সাহেব আলী (৩৩), পিতা: ইসরাফিল গাজী। ২. মোঃ আনোয়ার হোসেন (২২), পিতা: মোঃ দুলাল জমাদ্দার। উভয় ঠিকানা: ১০ নং ময়ুরখীল, উপজেলা: লক্ষ্মীছড়ি, জেলা: খাগড়াছড়ি। এলোপাতাড়ি দায়ের কুপে গুরুতর আহত বাঙালিরা চিকিৎসাধীন আছেন।
এই দুই বাঙালি ময়ূরখীল ১০ নম্বরে বাসিন্দা, ফটিকছড়ি থেকে ব্যবসায়িক কাজ শেষে আসার সময় সাঁওতাল পাড়া নামক এলাকায় আনুমানিক রাত ১ টা বাজে তাদের উপর উপজাতি সন্ত্রাসীরা হামলা করে।
সাঁওতাল ও ইউপিডিএফ সমর্থিত পাহাড়ি লোকজন ছিলো, ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়েছে।আঘাতপাপ্ত ব্যক্তিরা অনেককেই চিনে ফেলেন,পরবর্তীতে তাদের হাত পা বেঁধে গহীন জঙ্গলে নিয়ে যাওয়া হয়। একঘন্টা পরে তাদের রাস্তায় ফেলে যায়।
জানা যায়, গত ১৮ সেপ্টেম্বর খাগড়াছড়ি নিউজিল্যান্ড এলাকায় উপজাতিরা বাঙালি মামুনকে হত্যা করে। তার প্রতিবাদে গত ১৯ সেপ্টেম্বর বিকালে বাঙালিরা খাগড়াছড়ি দীঘিনালা বিক্ষোভ কর্মসূচী করে। কর্মসূচীতে উপজাতি সন্ত্রাসীরা লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা করে। পরে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। পাহাড়িরা দীঘিনালা বাজারে আগুন দেয়। এসময় পাহাড়ি বাঙালি উভয় সম্প্রদায়ের বেশ কয়েকজন গুরুতর আহত হয়। একই সময় হামলা ছড়িয়ে পড়ে জেলার অন্যান্য উপজেলা। পানছড়ি ফায়ার স্টেশনে হামলা করে ইউপিডিএফ৷ তারা ব্যাপক ভাংচুর করে। তাদের ভয়ে ফায়ার সার্ভিসের লোকজন পালিয়ে যায়। জেলার আরো কয়েকটি স্থানে ইউপিডিএফ ও জেএসএস সংস্কারকে গুলি ও বাঙালিদের উপর হামলা করার অভিযোগ পাওয়া যায়।
সাম্প্রদায়িক দাঙ্গাহাঙ্গা সৃষ্টি করতে পাহাড়ি সন্ত্রাসীরা বিভিন্নভাবে প্রচেষ্ঠা করতেছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কুৎসা ও মিথ্যা রটিয়ে দিচ্ছে।